ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
তোমায় অনেক ভালবাসি-রকিবুল ইসলাম প্যারিসে “জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪ : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার দাবিতে সিডনিতে সমাবেশ শহীদ জিয়ার অবমাননা কোনোভাবেই বরদাশত নয়”—প্যারিসে এমরান আহমেদ চৌধুরী বৃটেনের কার্ডিফ শাহ্‌ জালাল মসজিদ এন্ড ইসলামিক কালচারেল সেন্টারের নতুন কমিটি গঠন আমি পুড়তে ভালবাসি -রকিবুল ইসলাম “আবু সাঈদ সাহসিকতা পুরস্কার” চালুর দাবি করলো “অখণ্ডবাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন” ঢাকা বিভাগ প্রবাসী এসোসিয়েশন ফ্রান্স’ নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্টিত মালয়েশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা মাল্টিপল ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন ফরাসিদের চোখে ফ্রান্সের ১৪ টি সেরা গ্রাম

ফ্রান্স কেন রাশিয়া বিশ্বকাপ জিততে পারে?

  • আপডেট সময় ০৩:১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুন ২০১৮
  • ২৫০ বার পড়া হয়েছে

১৯৯৮ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ২০০৬ সালে সর্বশেষ খেলেছে ফাইনাল। ২০১০ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই বাদ, ২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল—এই ছিল সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপে ফ্রান্সের দৌড়। তবে এবারের চিত্রটা ভিন্ন। রাশিয়া বিশ্বকাপ জিততে ফেবারিটদের তালিকার ওপরের দিকেই থাকবে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।

যে ৫টি কারণে বিশ্বকাপ জিততে পারে ফ্রান্স

দুর্দান্ত স্কোয়াড
বিশ্বকাপ জেতার জন্য যে রকম স্কোয়াড প্রয়োজন, সেটাই রয়েছে ফ্রান্সের। রক্ষণ, মিডফিল্ড, আক্রমণ—সব ক্ষেত্রেই দারুণ সামঞ্জস্য দলটির, যা অন্য দলগুলোর জন্য হতে পারে ঈর্ষার কারণ। এটি ফ্রান্সের আরেকটি সোনালি প্রজন্ম, যাদের ঘিরে ফরাসিরা স্বপ্ন দেখছে বিশ্বজয় করার। প্রত্যেক খেলোয়াড় যদি নিজ নিজ পজিশনে সেরাটা দিতে পারেন, তাহলে সেই স্বপ্ন সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।

ভুল থেকে শিক্ষা
২০১৬ ইউরোর স্বাগতিক ছিল ফ্রান্স। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ফেবারিটও ছিল লা ব্লুরা। ফাইনালেও উঠে গিয়েছিল তারা। কিন্তু সেখানে ছোট্ট একটি ভুলের কারণে পর্তুগালের কাছে হেরে রানার্সআপ হতে হয় ফ্রান্সকে। এবারের বিশ্বকাপে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের আরও সংঘবদ্ধ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স, যা রাশিয়ায় তাদের করে তুলেছে অন্যতম ফেবারিট। এ ছাড়া ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে মাত্র ১-০ গোলে হারের ক্ষত থেকেও শিক্ষণীয় রয়েছে অনেক কিছুই।
ফ্রান্সের স্কোয়াডের ২৩ জনই বিশ্বমানের। তাঁদের মধ্যে আবার কয়েকজন আছেন, যাঁরা যেকোনো সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। কিলিয়ান এমবাপ্পে, উসমানে ডেম্বেলে তো বর্তমান ফুটবল বিশ্বেরই সবচেয়ে সেরা দুই তরুণ খেলোয়াড়। এ ছাড়া আছেন নাবিল ফেকির, পল পগবা, আঁতোয়ান গ্রিজমানের মতো অসাধারণ খেলোয়াড়েরা। রক্ষণে আছেন স্যামুয়েল উমতিতিরা। তাঁদের মধ্যে যে কেউ এক মুহূর্তের জাদুতে ম্যাচের ফলে প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন।

ধারাবাহিকতা
২০১৬ ইউরোর ফাইনালে হারের পর থেকেই যেন ফ্রান্স ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছে। এরপর খেলা ২৭ ম্যাচের কেবল ২টিতে হেরেছে নীল সৈন্যরা। খেলছেও দারুণ। বিশ্বকাপ জিততে হলে ফাইনাল পর্যন্ত ৫ থেকে ৬টি ম্যাচ জিততে হয়। ধারাবাহিকতা রক্ষা এখানে বড় নিয়ামক। নিজেদের এই দিকটি ধরে রাখতে পারলে ফ্রান্সের সুযোগ বেড়ে যাবে বহুগুণ।

বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা
ফ্রান্স দলের সবচেয়ে বড় টনিক হলেন কোচ দিদিয়ের দেশম। ফ্রান্সের জেতা ১৯৯৮ বিশ্বকাপের দলের অধিনায়কই ছিলেন দেশম। যিনি আবার ২০১২ থেকে ফ্রান্সের কোচ। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে নিজের মতো করে দল গোছানোর সুযোগ পেয়েছেন দেশম। বিশ্বকাপ জিততে হলে ঠিক কী করতে হবে, সেটি দেশমের চেয়ে ফ্রান্স দলকে কে ভালো বোঝাতে পারবে বলুন!

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

তোমায় অনেক ভালবাসি-রকিবুল ইসলাম

ফ্রান্স কেন রাশিয়া বিশ্বকাপ জিততে পারে?

আপডেট সময় ০৩:১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুন ২০১৮

১৯৯৮ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ২০০৬ সালে সর্বশেষ খেলেছে ফাইনাল। ২০১০ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই বাদ, ২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল—এই ছিল সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপে ফ্রান্সের দৌড়। তবে এবারের চিত্রটা ভিন্ন। রাশিয়া বিশ্বকাপ জিততে ফেবারিটদের তালিকার ওপরের দিকেই থাকবে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।

যে ৫টি কারণে বিশ্বকাপ জিততে পারে ফ্রান্স

দুর্দান্ত স্কোয়াড
বিশ্বকাপ জেতার জন্য যে রকম স্কোয়াড প্রয়োজন, সেটাই রয়েছে ফ্রান্সের। রক্ষণ, মিডফিল্ড, আক্রমণ—সব ক্ষেত্রেই দারুণ সামঞ্জস্য দলটির, যা অন্য দলগুলোর জন্য হতে পারে ঈর্ষার কারণ। এটি ফ্রান্সের আরেকটি সোনালি প্রজন্ম, যাদের ঘিরে ফরাসিরা স্বপ্ন দেখছে বিশ্বজয় করার। প্রত্যেক খেলোয়াড় যদি নিজ নিজ পজিশনে সেরাটা দিতে পারেন, তাহলে সেই স্বপ্ন সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।

ভুল থেকে শিক্ষা
২০১৬ ইউরোর স্বাগতিক ছিল ফ্রান্স। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ফেবারিটও ছিল লা ব্লুরা। ফাইনালেও উঠে গিয়েছিল তারা। কিন্তু সেখানে ছোট্ট একটি ভুলের কারণে পর্তুগালের কাছে হেরে রানার্সআপ হতে হয় ফ্রান্সকে। এবারের বিশ্বকাপে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের আরও সংঘবদ্ধ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স, যা রাশিয়ায় তাদের করে তুলেছে অন্যতম ফেবারিট। এ ছাড়া ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে মাত্র ১-০ গোলে হারের ক্ষত থেকেও শিক্ষণীয় রয়েছে অনেক কিছুই।
ফ্রান্সের স্কোয়াডের ২৩ জনই বিশ্বমানের। তাঁদের মধ্যে আবার কয়েকজন আছেন, যাঁরা যেকোনো সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। কিলিয়ান এমবাপ্পে, উসমানে ডেম্বেলে তো বর্তমান ফুটবল বিশ্বেরই সবচেয়ে সেরা দুই তরুণ খেলোয়াড়। এ ছাড়া আছেন নাবিল ফেকির, পল পগবা, আঁতোয়ান গ্রিজমানের মতো অসাধারণ খেলোয়াড়েরা। রক্ষণে আছেন স্যামুয়েল উমতিতিরা। তাঁদের মধ্যে যে কেউ এক মুহূর্তের জাদুতে ম্যাচের ফলে প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন।

ধারাবাহিকতা
২০১৬ ইউরোর ফাইনালে হারের পর থেকেই যেন ফ্রান্স ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছে। এরপর খেলা ২৭ ম্যাচের কেবল ২টিতে হেরেছে নীল সৈন্যরা। খেলছেও দারুণ। বিশ্বকাপ জিততে হলে ফাইনাল পর্যন্ত ৫ থেকে ৬টি ম্যাচ জিততে হয়। ধারাবাহিকতা রক্ষা এখানে বড় নিয়ামক। নিজেদের এই দিকটি ধরে রাখতে পারলে ফ্রান্সের সুযোগ বেড়ে যাবে বহুগুণ।

বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা
ফ্রান্স দলের সবচেয়ে বড় টনিক হলেন কোচ দিদিয়ের দেশম। ফ্রান্সের জেতা ১৯৯৮ বিশ্বকাপের দলের অধিনায়কই ছিলেন দেশম। যিনি আবার ২০১২ থেকে ফ্রান্সের কোচ। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে নিজের মতো করে দল গোছানোর সুযোগ পেয়েছেন দেশম। বিশ্বকাপ জিততে হলে ঠিক কী করতে হবে, সেটি দেশমের চেয়ে ফ্রান্স দলকে কে ভালো বোঝাতে পারবে বলুন!