ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্রান্সে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণ প্যারিসে বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন ফ্রান্সের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলর রাব্বানী খানের ফ্রান্স সিনেটের ‘মেডেল ড’অনার’ লাভ “অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমাজের দ্বৈত মানসিকতা* ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রধান হাসনাত আরিয়ান খানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ফ্রান্সে বিশ্ব স্বজন ফাউন্ডেশনের ১ যুগপূর্তি উদযাপন বালাগঞ্জে জামালপুর তোহফা ফাউন্ডেশনের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উন্মোচন ফ্রান্স বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহেরকে প্যারিস বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা দেওয়ানবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সম্মাননা ও প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

যে লেখার কোনো শিরোনাম হয় না মাহবুব শাহজালাল

  • আপডেট সময় ০৪:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • ৩১১ বার পড়া হয়েছে

একদিন এক পোষা পাখিকে গান শেখাতে চেয়েছিলাম,
অনেক চেষ্টা করেও আমি তাকে গান শেখাতে পারিনি,
এ ছিল আমারই দুর্বলতা।
আমি কোনোকালেই গান গাইতে পারিনি।

কীসের জন্য গান গো তোমার? 
কোন পিয়াসীর সুর?
গানের কলি গাঁথছো কোথায়
কোন সে অচিনপুর?

তাই গান ছেড়ে এবার এলাম গল্পের আসরে।
অবোধ এক শিশু বায়না ধরলো
তাকে গল্প শোনাতেই হবে।
অর্ধেক গল্প বলার আগেই শিশুটি ঘুমিয়ে পড়লো।
হয়তো আমার গল্পে তার মন ভরেনি।

গল্পে আমায় দাও ভুলিয়ে
বুকের হাহাকার,
কল্পলোকের গল্প বানাও
ব্যর্থ রূপকার।

গল্পের আসর বাদ দিয়ে এবার রম্যলেখায় হাত দিলাম,
আমার মতো আনকোরা গুটিকয়েক পাঠকবন্ধু
হা হা রিয়েক্ট করে বুঝিয়ে দিল
আর যাই হোক আমার দ্বারা এসব হবে টবে না।

গেদু চাচা লিখে যায় 
লেখা নাকি রম্য,
ভাবনার লিখা যা তা 
নয় বোধগম্য। 

সব ছেড়ে এবার মন দিলাম কবিতার পাতায়,
এবার ভাবলাম অন্ততঃ পাঠক হৃদয়ে ঠাঁই পাবো
তাদের সকল ভাবনার ভুবন জুড়ে।

এক বাচিক শিল্পী বললেন,
না না, প্লিজ আমাকে পড়তে বলবেন না,
এসব লিখা পড়ে নিজের ইমেজ নষ্ট করতে পারব না।

একজন শিল্পীকে বললাম
কবিতাটা একবার পড়ে দেখবেন? প্লিজ,
উনি বললেন, ওহে লেখক, তুমি হয়ত জানো না,
একটা কবিতা পড়তে আমি হাজার টাকা নিই।

এক সিন্ধু হাহাকার নিয়ে
কবিতা ও কাব্যের গল্পটার ইতি টেনে
আনমনে এবার নিজেই শুদ্ধস্বরে উচ্চারণ করলাম,

রিক্ত হৃদের ভাবনা তোমার
সিক্ত করিবে কারে?
খ্যাতির আশা ত্যাজ্য করিয়া 
গড়ি লও আপনারে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ফ্রান্সে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণ

যে লেখার কোনো শিরোনাম হয় না মাহবুব শাহজালাল

আপডেট সময় ০৪:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

একদিন এক পোষা পাখিকে গান শেখাতে চেয়েছিলাম,
অনেক চেষ্টা করেও আমি তাকে গান শেখাতে পারিনি,
এ ছিল আমারই দুর্বলতা।
আমি কোনোকালেই গান গাইতে পারিনি।

কীসের জন্য গান গো তোমার? 
কোন পিয়াসীর সুর?
গানের কলি গাঁথছো কোথায়
কোন সে অচিনপুর?

তাই গান ছেড়ে এবার এলাম গল্পের আসরে।
অবোধ এক শিশু বায়না ধরলো
তাকে গল্প শোনাতেই হবে।
অর্ধেক গল্প বলার আগেই শিশুটি ঘুমিয়ে পড়লো।
হয়তো আমার গল্পে তার মন ভরেনি।

গল্পে আমায় দাও ভুলিয়ে
বুকের হাহাকার,
কল্পলোকের গল্প বানাও
ব্যর্থ রূপকার।

গল্পের আসর বাদ দিয়ে এবার রম্যলেখায় হাত দিলাম,
আমার মতো আনকোরা গুটিকয়েক পাঠকবন্ধু
হা হা রিয়েক্ট করে বুঝিয়ে দিল
আর যাই হোক আমার দ্বারা এসব হবে টবে না।

গেদু চাচা লিখে যায় 
লেখা নাকি রম্য,
ভাবনার লিখা যা তা 
নয় বোধগম্য। 

সব ছেড়ে এবার মন দিলাম কবিতার পাতায়,
এবার ভাবলাম অন্ততঃ পাঠক হৃদয়ে ঠাঁই পাবো
তাদের সকল ভাবনার ভুবন জুড়ে।

এক বাচিক শিল্পী বললেন,
না না, প্লিজ আমাকে পড়তে বলবেন না,
এসব লিখা পড়ে নিজের ইমেজ নষ্ট করতে পারব না।

একজন শিল্পীকে বললাম
কবিতাটা একবার পড়ে দেখবেন? প্লিজ,
উনি বললেন, ওহে লেখক, তুমি হয়ত জানো না,
একটা কবিতা পড়তে আমি হাজার টাকা নিই।

এক সিন্ধু হাহাকার নিয়ে
কবিতা ও কাব্যের গল্পটার ইতি টেনে
আনমনে এবার নিজেই শুদ্ধস্বরে উচ্চারণ করলাম,

রিক্ত হৃদের ভাবনা তোমার
সিক্ত করিবে কারে?
খ্যাতির আশা ত্যাজ্য করিয়া 
গড়ি লও আপনারে।