লন্ডন ডেস্ক- গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার রায়কে কেন্দ্র করে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা, ভাংচুর ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি খুলে ভাংচুরের ঘটনায় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
একইসঙ্গে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার খন্দকার এম তালহাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে আগামী ৭ মের মধ্যে দায়িত্ব ছেড়ে ঢাকায় ফিরে আসতে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
ডেপুটি হাইকমিশনার খন্দকার তালহা বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার দিন ৭ ফেব্রুয়ারি ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। হাইকমিশনার নাজমুল কাউনাইন তার পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য তখন স্কটল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। ওই দিন স্থানীয় সময় বিকেলে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী স্মারক লিপি প্রদানের নামে হাইকমিশনে যায়। তারা খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে কয়েকজন স্মারক লিপি প্রদানের নামে হাইকমিশনে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ছবি খুলে অবমাননা ও ভাংচুর করে। বাংলাদেশ সরকার এ ঘটনায় ব্রিটিশ সরকারকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানায়। পুলিশ একজনকে আটক করে। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের অবহেলা ছিল বলে প্রতীয়মান হয়। এর প্রেক্ষিতে ডেপুটি হাইকমিশনার খন্দকার তালহাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
একটি সূত্র জানায়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। মের শুরুতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে গত ২২ মার্চ যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের এক সভায় বক্তব্যে এই বিষয়ে কড়া অবস্থান নিতে বলেন। এরপরই ডেপুটি হাইকমিশনার তালহাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।