হাজী হাবিব- সিলেট সিটি নির্বাচন থেকে আওয়ামীলীগ সরকার চাইছে বিএনপি জামাতের কর্মীদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি করতে, জামাতের নেতাকর্মীদের নিরাপদ রেখে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা দিচ্ছে আর জেলে নিচ্ছে। জামাতের প্রার্থী কে জামাই আদর করছে সিটিবাসী মনে করে। যত অভিযোগ বিরুধীতা সব বিএনপির সাথে, তবে সাধারণ মানুষের জিঙ্গাসা বিগত দিনে ছাত্রশিবিরে জামাতের নেতাকর্মীদের উপর কেন এত নির্যাতন করা হয়েছে, পংঙ্গু করে দিয়েছে এই সরকার অনেককে, গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজকে সিলেটে যে মানবতা দেখানো হচ্ছে (সরকার ছাড় দিচ্ছে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কে নির্বাচিত করার জন্য) তা কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল বিগত দিনে! রাজশাহীতে শহীদ নোমানীকে নৃসংশভাবে হত্যার স্মৃতি, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দিলোয়ার হোসেন ও ড. মাসুদকে যে ভাবে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছিল সেই ক্ষত কি শুকিয়ে যাবে সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রতারনায় ? সেই ভালবাসা শীতিল থেকে হ্যানিমুনে দিকে মুড় নিতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করেন, বদর উদ্দিন আহমদ কামরান যদি জোটের ভোট বিভক্তির ফলে সাধারন ভোট যুদ্ধে নির্বাচিত হয়ে যান। সিলেটের সিটি নির্বাচনের লক্ষ্যে জামাত আর আওয়ামীলীগের আজকের ভালবাসা কি আগামি দিনের জাতীয় রাজনীতিতে সিড়ি হয়ে উচ্চ মাকামে পৌছে যেতে পারে?
আর বাংলাদেশের প্রতিটি সিটির চেয়ে সিলেট সিটির জলাবদ্ধতা,ট্রাফিক জাম নিরসন রাস্তা প্রসস্তকরন সহ নানামুখি উন্নয়নে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অনেক বেশী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। নিরপরাধ একজন নির্বাচিত মেয়রকে এক যুগের বেশী পুরোনো একটি হত্যা মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সরকার সম্পুরক সার্জসিটে অন্তরভুক্ত করে দুই বছরের অধিক সময় জেলে রেখেছিল। সেটাকে সিলেট সিটির নাগরিকবৃন্দ যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন তাদের জনপ্রিয় মেয়র কে এভাবে জেল জুলুম নির্যাতন করা তারা ভাল চোখে দেখেননি।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী যে দলের চেয়ারপারসন প্রায় ৭৪ বছর বয়সি একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ উপমহাদেশের একজন জনপ্রিয় নেতা, তাকে রাজনৈতিক চরম হিংসাপরায়ন হয়ে অনির্বাচিত অবৈধ, সৈরাচার সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রেখেছে। নানা কলাকৌশলে চলচাতুরি করে জামিন না দিয়ে স্যাঁত স্যাঁতে বসবাসের অনুপযোগী পরিত্যক্ত একটি বাড়ীতে রেখে চরম মানবাধিকার লংঙ্গিত করে যাচ্ছে ।
মানবিক গুনের অধিকারী আধ্যাতিক সিলেট নগরবাসী বেগম খালেদা জিয়ার কথা মাথায় রেখে এবারের নির্বাচনে জনাব আরিফুল হক চৌধুরীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে মনে হয়। আরিফুর হক চৌধুরী নির্বাচিত হইলে আওয়ামীলীগ আর জামাতের বর্তমান শীতল ভালবাসার চাকা থেমে যেতে পারে। বিগত দিনে দেশ ও জাতির কথা বিবেচনা করে চার দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা সময় উপযোগি সিদ্ধান্তে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে অদ্যবদি চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
উভয় দলের হাজার হাজার নেতা কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনের স্পেশাল সংযোজন গুমের শিকার শত শত নেতা কর্মী।
যখন দেশনেত্রী জালিমের কারাগারে সেই বিবেচনায় জামাতের নেতৃবন্দ অন্যান্য সিটির মত সিলেটে ছাড় দিলে জোটের জন্য যেমন ভাল হত তেমনি কারাগারে থাকা চারদলীয় জোটনেত্রী অনেক খুশী হতেন, আগামি দিনে উভয় দল এবং বিশ দলীয় জোট উপকৃত হইত। যারা জোটের সিটি নির্বাচনে দ্বিধা বিভক্তির কারনে অতি উৎসাহি কর্মী সমর্থকরা সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে বিশদগার করে তিক্ততা ছড়াচ্ছেন তাদের সতর্ক থাকা উচিত।
আসার কথা সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে অনুষ্ঠিত বিবিসি সংলাপ শুনলাম জনাব এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আওয়ামীলীগের নির্যাতনের স্মৃতিচারন করে বলেছেন বিগত দিনে অবৈধ সরকারের চরম নির্যাতন নিপিড়নের কথা, এতে আওয়ামীলীগ জামাতের আতাত নয় বরং বিভাজন প্রতিয়মান হয়েছে। আজকের আওয়ামীলীগের জামাত প্রীতি মধুর ভালবাসা কতদিন থাকবে যদি জামাত প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়ে যান? না পরের দিন যুব রাজাকার বলে জেলে নিয়ে যাবে।
নতুন ভোটাররা বর্তমান সরকারের, ৮০০ কোটি রিজার্ভ চুরি, ভল্টে রাখা সোনা জালিয়াতি, ২২৭ কোটি টাকার কয়লা ভক্ষন, অধিকাংশ ব্যাংকের হাজার বাজাব কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি বিবেচনায় এনে মধ্যমপন্হী, কাজের মানুষ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রুপকার প্রয়াত সাবেক অর্থ পরিকল্পনা মন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের চেয়ারম্যান এম সাইফুর রাহমান এবং আজকের অর্থমন্ত্রী অাবুল মাল আবুল মুহিতের পছদের আরিফুল হক চৌধুরিকে জয়যুক্ত করার জন্য সম্মানিত সিলেট সিটির সকল ভোটারদের প্রতি আকুল আবেদন জানাই।
লেখক
হাজী হাবীব।
সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাতীয়তাবাদী দল ফ্রান্স শাখা।
প্রিতিষ্টাতা সভাপতি গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ফ্রান্স ।