ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া বালাগঞ্জে চলন্ত ফ্যান খুলে গিয়ে ৩ শিক্ষার্থী আহত জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত সামাজিক সংস্থা ‘সাফ’ এর নতুন কমিটি গঠন : নয়ন সভাপতি, আকাশ হেলাল সহসভাপতি, রুবেল সাধারন সম্পাদক পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন

সুখী দেশের তালিকায় ফ্রান্স কিছুটা এগিয়েছে,  শীর্ষে ফিনল্যান্ড,  বাংলাদেশ ১১৫

  • আপডেট সময় ০৯:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১৮
  • ৮৭০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বে সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড। এ তালিকায় তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান ২৩ তম যা গেলবারের তুলনায় কিছুটা ভাল। এর আগের বছর ফ্রান্সের অবস্থান ছিল ৩২ তম। তবে ফ্রান্স তার প্রতিদ্বন্দি যুক্তরাজ্যের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে আছে। তালকায় তাদের অবস্থান ১৯ এ। আর সুখী দেশের এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫ নম্বরে। তবে ভারতের চেয়ে উপরে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ক্রমাগত ধনী হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ক্রমশ কম সুখী হয়ে উঠছে। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কসের (এসডিএসএন) করা ২০১৮ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের ১৫৬টি দেশের গড় জাতীয় প্রবৃদ্ধি, সামাজিক সামর্থ্য, স্বাস্থ্যগত জীবনকাল, সামাজিক স্বাধীনতা, মহত্ব ও দুর্নীতির অনুপস্থিতির মতো সূচকের ওপর ভিত্তি করে জরিপ চালিয়ে এই তালিকা করা হয়েছে। এতে ১৫৬টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৩৩ নম্বরে। পাকিস্তানের চেয়েও তাদের অবস্থান অনেক নিচে। ওই সূচক বা তালিকা অনুসারে ভারতের চেয়ে পাকিস্তান অনেক সুখী দেশ। তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান ৭৫ নম্বরে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১১৬তম। কিন্তু ভয়াবহ ঠাণ্ডার দেশ ফিনল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফিনল্যান্ডবাসী বলেছেন তাদের রয়েছে প্রাকৃতিক সুরক্ষা, শিশুদের যত্ন নেয়া হয়, আছে ভাল স্কুল। আছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা। দেশটিতে এমনি আরো অনেক সেবা রয়েছে, যার জন্য ফিনল্যান্ডবাসী সুখী। এ জন্যই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিনল্যান্ডে চলে এসেছেন ব্রায়ানা ওয়েনস। তিনি এখন ফিনল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর এসপোতে শিক্ষকতা করেন। এই শহরের জনসংখ্যা মাত্র দুই লাখ ৮০ হাজার। এ সম্পর্কে ব্রায়ানা ওয়েনস বলেন, আমি অন্য মার্কিনিদের সঙ্গে কৌতুক করি। তাদেরকে বলি আমেরিকানরা যেসব স্বপ্ন নিয়ে আছেন আমি সেই স্বপ্ন খুঁজে পেয়েছি ফিনল্যান্ডে। আমার মনে হয় এই দেশটিতে যা কিছু রয়েছে তার সবটাই মানুষের সফলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে পরিবহন সর্বত্র একই অবস্থা। মানুষ যাতে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার জন্য এই প্রচেষ্টা। উল্লেখ্য, গত বছর এই তালিকায় ৫ম দেশ ছিল ফিনল্যান্ড। আর নরওয়ে ছিল এক নম্বরে। কিন্তু এবার সেই নরওয়েকে নকআউট করে দিয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছে ফিনল্যান্ড। এ বছর শীর্ষ ১০টি দেশ হলো ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়া। এবারের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ১৮তম অবস্থানে। গত বছর তারা ছিল ১৪ নম্বরে। ফলে সুখী দেশের তালিকায় চার পয়েন্ট অবনতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আর বৃটেনের অবস্থান ১৯ নম্বরে। এর পরেই অর্থাৎ ২০ নম্বর অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যেসব স্বাস্থ্যগত সমস্যা সামনে আসছে তা তুলে ধরা হয়েছে ১৭০ পৃষ্ঠার ওই রিপোর্টে। এর মধ্যে রয়েছে স্থূলতা, বিষন্নতা, নেশাজাতীয় সঙ্কট। বিশেষ করে এক্ষেত্রে নজর দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। সেখানে এই তিনটি সমস্যাই অন্য দেশগুলোর চেয়ে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত অর্ধ শতাব্দীতে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মাথাপিছু আয়। কিন্তু দুর্বল সামাজিক সমর্থনকারী নেটওয়ার্ক, সরকার ও ব্যবসায় দুর্নীতি বৃদ্ধি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আস্থা হ্রাস পেয়েছে। নিউ ইয়র্কে অবস্থিত কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ও এসডিএসএন-এর প্রধান প্রফেসর জেফ্রে স্যাশ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবশ্যই আমরা সামাজিক সঙ্কট দেখতে পাচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে অসমতা, আস্থায় সঙ্কট, সরকারের মধ্যে কম আস্থা। যুক্তরাষ্ট্রে এখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তা সেদেশের ভবিষ্যত সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে কি প্রভাব ফেলতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সময়ই বলে দেবে। তবে আমি সাধারণ অর্থে বলতে পারি সরকারে যখন আস্থা একেবারে কমে যায়, দুর্নীতি বেড়ে যায়, অসমতা ঊর্ধ্বমুখী থাকে, স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলোর অবনতি হয়, সেই পরিবেশকে তো ভালো থাকার অনুভূতির অনুকূলে বলা যায় না।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া

সুখী দেশের তালিকায় ফ্রান্স কিছুটা এগিয়েছে,  শীর্ষে ফিনল্যান্ড,  বাংলাদেশ ১১৫

আপডেট সময় ০৯:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১৮

বিশ্বে সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড। এ তালিকায় তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান ২৩ তম যা গেলবারের তুলনায় কিছুটা ভাল। এর আগের বছর ফ্রান্সের অবস্থান ছিল ৩২ তম। তবে ফ্রান্স তার প্রতিদ্বন্দি যুক্তরাজ্যের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে আছে। তালকায় তাদের অবস্থান ১৯ এ। আর সুখী দেশের এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫ নম্বরে। তবে ভারতের চেয়ে উপরে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ক্রমাগত ধনী হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ক্রমশ কম সুখী হয়ে উঠছে। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কসের (এসডিএসএন) করা ২০১৮ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের ১৫৬টি দেশের গড় জাতীয় প্রবৃদ্ধি, সামাজিক সামর্থ্য, স্বাস্থ্যগত জীবনকাল, সামাজিক স্বাধীনতা, মহত্ব ও দুর্নীতির অনুপস্থিতির মতো সূচকের ওপর ভিত্তি করে জরিপ চালিয়ে এই তালিকা করা হয়েছে। এতে ১৫৬টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৩৩ নম্বরে। পাকিস্তানের চেয়েও তাদের অবস্থান অনেক নিচে। ওই সূচক বা তালিকা অনুসারে ভারতের চেয়ে পাকিস্তান অনেক সুখী দেশ। তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান ৭৫ নম্বরে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১১৬তম। কিন্তু ভয়াবহ ঠাণ্ডার দেশ ফিনল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফিনল্যান্ডবাসী বলেছেন তাদের রয়েছে প্রাকৃতিক সুরক্ষা, শিশুদের যত্ন নেয়া হয়, আছে ভাল স্কুল। আছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা। দেশটিতে এমনি আরো অনেক সেবা রয়েছে, যার জন্য ফিনল্যান্ডবাসী সুখী। এ জন্যই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিনল্যান্ডে চলে এসেছেন ব্রায়ানা ওয়েনস। তিনি এখন ফিনল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর এসপোতে শিক্ষকতা করেন। এই শহরের জনসংখ্যা মাত্র দুই লাখ ৮০ হাজার। এ সম্পর্কে ব্রায়ানা ওয়েনস বলেন, আমি অন্য মার্কিনিদের সঙ্গে কৌতুক করি। তাদেরকে বলি আমেরিকানরা যেসব স্বপ্ন নিয়ে আছেন আমি সেই স্বপ্ন খুঁজে পেয়েছি ফিনল্যান্ডে। আমার মনে হয় এই দেশটিতে যা কিছু রয়েছে তার সবটাই মানুষের সফলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে পরিবহন সর্বত্র একই অবস্থা। মানুষ যাতে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার জন্য এই প্রচেষ্টা। উল্লেখ্য, গত বছর এই তালিকায় ৫ম দেশ ছিল ফিনল্যান্ড। আর নরওয়ে ছিল এক নম্বরে। কিন্তু এবার সেই নরওয়েকে নকআউট করে দিয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছে ফিনল্যান্ড। এ বছর শীর্ষ ১০টি দেশ হলো ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়া। এবারের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ১৮তম অবস্থানে। গত বছর তারা ছিল ১৪ নম্বরে। ফলে সুখী দেশের তালিকায় চার পয়েন্ট অবনতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আর বৃটেনের অবস্থান ১৯ নম্বরে। এর পরেই অর্থাৎ ২০ নম্বর অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যেসব স্বাস্থ্যগত সমস্যা সামনে আসছে তা তুলে ধরা হয়েছে ১৭০ পৃষ্ঠার ওই রিপোর্টে। এর মধ্যে রয়েছে স্থূলতা, বিষন্নতা, নেশাজাতীয় সঙ্কট। বিশেষ করে এক্ষেত্রে নজর দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। সেখানে এই তিনটি সমস্যাই অন্য দেশগুলোর চেয়ে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত অর্ধ শতাব্দীতে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মাথাপিছু আয়। কিন্তু দুর্বল সামাজিক সমর্থনকারী নেটওয়ার্ক, সরকার ও ব্যবসায় দুর্নীতি বৃদ্ধি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আস্থা হ্রাস পেয়েছে। নিউ ইয়র্কে অবস্থিত কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ও এসডিএসএন-এর প্রধান প্রফেসর জেফ্রে স্যাশ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবশ্যই আমরা সামাজিক সঙ্কট দেখতে পাচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে অসমতা, আস্থায় সঙ্কট, সরকারের মধ্যে কম আস্থা। যুক্তরাষ্ট্রে এখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তা সেদেশের ভবিষ্যত সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে কি প্রভাব ফেলতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সময়ই বলে দেবে। তবে আমি সাধারণ অর্থে বলতে পারি সরকারে যখন আস্থা একেবারে কমে যায়, দুর্নীতি বেড়ে যায়, অসমতা ঊর্ধ্বমুখী থাকে, স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলোর অবনতি হয়, সেই পরিবেশকে তো ভালো থাকার অনুভূতির অনুকূলে বলা যায় না।