ডেস্ক রিপোর্ট -৭১৩টি শিশুর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে রেকর্ড গড়েছিলেন বাংলাদেশের শিশু অধিকারকর্মী থাকা অবস্থায়।এরপর ইউএনসিআরসি অনুচ্ছেদ ৪ ও ১৯ কাজ করে ঝুলিতে জমা হয়েছে ইউনিসেফ, সেভ দ্য চিলড্রেনস পদক। ২০২০ সালে জাতিসংঘ ৭৫ পোস্টারে স্থান পেয়েছে তার ছবি ! তার নাম আরিফ রহমান শিবলী যে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, তাদের না বলা কথা, সমস্যা-সম্ভাবনা প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছে দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনফারেন্সে অংশ নিয়ে।
শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত জায়গা থেকেও শিশুদের জন্য কাজ করে গেছেন তিনি। স্কুল জীবনে গণমাধ্যমের গন্ডিতে পা রাখেন তিনি। যোগ দেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনে। কাজ করেন আরো জনপ্রিয় কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিউজ ও প্রোগ্রাম প্রডিউসার হিসেবে। তার নিজের আয়ের একটা অংশ দিয়ে ১৭ জন অস্বচ্ছল পড়ুয়ার পড়াশোনায় এগিয়ে এসেছেন তিনি।ঢাকায় জন্ম এবং ঢাকাতেই বেড়ে উঠেছেন এই তরুন। বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল থেকে এসএসসি, গুলশান কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা তেজগাঁও কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
প্রোগ্রাম প্রডিউসার হিসেবে কাজ করা অবস্থায় জনপ্রিয় রক ব্যান্ড লিংকিন পার্ক নিয়ে আরিফের তৈরি করা বায়োগ্রাফি ব্যান্ডটির সদস্যদের নজরে আসে। তাকে নিয়ে পরবর্তীতে অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন ব্যান্ডটির র্যাপ ভোকাল মাইক সিনোডা।
শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা সরকারের বিভিন্ন ইভেন্টে অতীতে অংশ নিয়েছেন আরিফ। পেয়েছেন ‘ইউনাইটেড ভয়েজ অব বাংলাদেশ চিলড্রেন্স’ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি, পরিচিতি। গত বছর ২০ নভেম্বর কানাডা সরকার তাদের আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসে সম্মান প্রদর্শন করেন এ বাংলাদেশী তরুণকে।যে সম্মান অতীতে পেয়েছিলেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফ।
‘চাইল্ড ম্যাসেজে’ প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন রয়টার্সের সাবেক সংবাদকর্মী কার্লোস, বার্তা সম্পাদক আরেক ব্রিটিশ সাংবাদিক এলিস্টার ব্রিংটন। পিআর হিসেবে কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়ান এবিসি কিডস টিভি গণমাধ্যমে অতীতে কাজ করা লিও রিন্ডা। আর সেখানে বাংলাদেশি আরিফ রহমান শিবলী আছেন বর্তমানে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে! ৫ মাসে যেটা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচিত ও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এই তরুন সম্প্রতি আমাদের ফ্রান্স প্রতিবেদকের মুখোমুখি হয়ে জানান, ২৫০ টাকা স্কুলে বেতন দিতে না পারায় অনেক কস্ট পোহাতে হয়েছে তাকে। তিনি আরও বলেন, ইউএনসিআরসি অনুচ্ছেদ ১৩ বাস্তবায়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আনা হচ্ছে অনেক পরিবর্তন।