ঢাকা ০২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত সামাজিক সংস্থা ‘সাফ’ এর নতুন কমিটি গঠন : নয়ন সভাপতি, আকাশ হেলাল সহসভাপতি, রুবেল সাধারন সম্পাদক পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে শাহাব উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান জিলুকে বহিস্কার প্যারিসে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত : চ্যাম্পিয়ন সিলেট ফাইটার্স

৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করবো: বরিস জনসন

  • আপডেট সময় ১০:২০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে ‘ঐতিহাসিক’ জয় এনে দেওয়ার পর আগামী মাসের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন এবং ভোটারদের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জয়ী হওয়ার পর সমর্থকদের সামনে জনসন বলেন, যারা ব্রেক্সিটের জন্য ভোট দিয়েছেন, আমি তাদের হতাশ করবো না। কোনও ‘যদি’ বা ‘কিন্তু’ নয়। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট হচ্ছেই। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এমন ঘোষণা দেন তিনি।

ব্রিটেনের মোট ৬৫০টি আসনের আইনপ্রণেতা নির্বাচন করতে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোট দিয়েছে ভোটাররা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে প্রয়োজন পড়ে ৩২৬টি আসন। সেখানে কেবল কনজারভেটিভরাই পেয়েছে ৩৬৫টি আসন। আর লেবার ২০৩, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৪৮, লিবারেল ডেমোক্রেটরা ১১ এবং আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) জয়লাভ করেছে ৮টি আসনে।

শুক্রবার বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আশা প্রকাশ করছেন তার পার্টি ‘ঐতিহাসিক’ জয় পাওয়ায় ব্রেক্সিট বিতর্কের অবসান হবে। টোরিদের এ অসামান্য জয়ে ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টে দীর্ঘদিন ধরে যে অচলাবস্থা চলছিল, তা নিরসনের প্রবল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটেনের যে এলাকাগুলো লেবার পার্টির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত, সেখানেও এবার ভাল ভোট পেয়েছে কনজারভেটিভরা। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, ব্রেক্সিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েই লেবার পার্টির ভোটের একাংশ নিজের দিকে নিয়ে এসেছেন বরিস জনসন। লেবার পার্টির যে সমর্থকরা এবার কনজারভেটিভদের ভোট দিয়েছেন, তাদের উদ্দেশে বরিস জনসন বলেন, ‘যারা কাঁপা কাঁপা হাতে ব্যালট পেপারে ছাপ দিয়েছেন, তাদের হতাশ করবো না। তাদের আস্থার প্রতিবাদ দেবো।’

জনসন বলেন, ‘আপনারা হয়তো আপনাদের ভোট আমাদের ধার দিয়েছেন। আপনারা কখনও প্রকৃত কনজারভেটিভ সমর্থক নন। পরের বার হয়তো আবারও লেবার পার্টিকেই ভোট দেবেন। তবে একবারের জন্য আপনারা যে আমাদের ওপরে আস্থা রেখেছেন, সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’

নির্বাচনি প্রচারে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেননি। সেজন্য হয়তো লেবার পার্টির ঘাঁটি ‘রেড ওয়াল’ নামে পরিচিত সেন্ট্রাল ও নর্দার্ন ইংল্যান্ডেও অনেকে এবার কনজারভেটিভ পার্টিকে ভোট দিয়েছেন। বরিস জনসন বলেছেন, ‘আমরা এমন মানুষজনেরও আস্থা অর্জন করেছি যারা আগে কখনও আমাদের ভোট দেননি। যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন, তারা পরিবর্তন চান। সেজন্য আমাদের প্রথম কাজ হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত

৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করবো: বরিস জনসন

আপডেট সময় ১০:২০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে ‘ঐতিহাসিক’ জয় এনে দেওয়ার পর আগামী মাসের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন এবং ভোটারদের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জয়ী হওয়ার পর সমর্থকদের সামনে জনসন বলেন, যারা ব্রেক্সিটের জন্য ভোট দিয়েছেন, আমি তাদের হতাশ করবো না। কোনও ‘যদি’ বা ‘কিন্তু’ নয়। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট হচ্ছেই। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এমন ঘোষণা দেন তিনি।

ব্রিটেনের মোট ৬৫০টি আসনের আইনপ্রণেতা নির্বাচন করতে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোট দিয়েছে ভোটাররা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে প্রয়োজন পড়ে ৩২৬টি আসন। সেখানে কেবল কনজারভেটিভরাই পেয়েছে ৩৬৫টি আসন। আর লেবার ২০৩, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৪৮, লিবারেল ডেমোক্রেটরা ১১ এবং আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) জয়লাভ করেছে ৮টি আসনে।

শুক্রবার বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আশা প্রকাশ করছেন তার পার্টি ‘ঐতিহাসিক’ জয় পাওয়ায় ব্রেক্সিট বিতর্কের অবসান হবে। টোরিদের এ অসামান্য জয়ে ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টে দীর্ঘদিন ধরে যে অচলাবস্থা চলছিল, তা নিরসনের প্রবল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটেনের যে এলাকাগুলো লেবার পার্টির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত, সেখানেও এবার ভাল ভোট পেয়েছে কনজারভেটিভরা। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, ব্রেক্সিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েই লেবার পার্টির ভোটের একাংশ নিজের দিকে নিয়ে এসেছেন বরিস জনসন। লেবার পার্টির যে সমর্থকরা এবার কনজারভেটিভদের ভোট দিয়েছেন, তাদের উদ্দেশে বরিস জনসন বলেন, ‘যারা কাঁপা কাঁপা হাতে ব্যালট পেপারে ছাপ দিয়েছেন, তাদের হতাশ করবো না। তাদের আস্থার প্রতিবাদ দেবো।’

জনসন বলেন, ‘আপনারা হয়তো আপনাদের ভোট আমাদের ধার দিয়েছেন। আপনারা কখনও প্রকৃত কনজারভেটিভ সমর্থক নন। পরের বার হয়তো আবারও লেবার পার্টিকেই ভোট দেবেন। তবে একবারের জন্য আপনারা যে আমাদের ওপরে আস্থা রেখেছেন, সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’

নির্বাচনি প্রচারে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেননি। সেজন্য হয়তো লেবার পার্টির ঘাঁটি ‘রেড ওয়াল’ নামে পরিচিত সেন্ট্রাল ও নর্দার্ন ইংল্যান্ডেও অনেকে এবার কনজারভেটিভ পার্টিকে ভোট দিয়েছেন। বরিস জনসন বলেছেন, ‘আমরা এমন মানুষজনেরও আস্থা অর্জন করেছি যারা আগে কখনও আমাদের ভোট দেননি। যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন, তারা পরিবর্তন চান। সেজন্য আমাদের প্রথম কাজ হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা।’