মকবুল তালুকদারঃ
অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কোন পার্বন বা উপলক্ষ ছাড়াই (যেমন জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, বন্ধু দিবস ইত্যাদি) বাংলাদেশের নোবেল লরিয়েট ড. মো: ইউনূসকে পএ মারফত গ্লোরীফাই করেছেন। ইংরেজী শব্দ গ্লোরীফাই এর বাংলা অর্থ হলো গুনকীর্তন করা/মহিমান্বিতকরা বা সুখ্যাতিকরা। ব্যক্তিগত বন্ধু হিসাবে তিনি সেটা করতেই পারেন।তবে ঠিক তার পরের দিন তিনি সহ প্রায় ১৬০ জন বিশ্ব বরেন্য ব্যক্তিবর্গ ড. মো: ইউনূসের গুনকীর্তন করে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা বরাবরে একটি অনুরোধ পএ প্রেরন করেছেন।যতটুকু জানা যায়, বিশ্ববরেন্য ১৬০ জনের মধ্যে প্রায় ১০০ জন নোবেল লরিয়েটও রয়েছেন। বাংলাদেশ আয়তনে একটি ছোট দেশ।দেশটি সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক দিক থেকে খুব একটা উন্নত না হলেও বিশ্ব রাজনীতিতে শেখ হাসিনার গৌরবোজ্জল ভূমিকার কারনে তিনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসাবে ইতোমধ্যেই স্বীকৃতি লাভ করেছেন। সংগত কারনেই বিশ্বনেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কল্যানে পরামর্শ বা আন্তর্জাতিক বিষয়ে সহায়তা চেয়ে অনুরোধ পএ প্রেরন অস্বাভাবিক কিছু নয়।তবে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে জানা যায়, অনুরোধ পএটি সে রকম নয়! অনুরোধটি হ’লো,”ড. মো: ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান দূর্নীতির মামলা স্হগিত করার অনুরোধ”। সত্যি বলতে কি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিন এই ভেবে যে বিশ্ব নেতারা এমন অনুরোধ করতে পারেন? প্রসংগত, যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যসহ উন্নত বিশ্বের সকল গনতান্ত্রিক দেশের মতই বাংলাদেশের সংবিধানে বিচার বিভাগ সম্পুর্ন স্বাধীন এবং স্বার্বভৌম। তাই বাংলাদেশের নির্বাহী বিভাগ বা প্রধানমন্ত্রী কোন ভাবেই বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপের ক্ষমতা সংরক্ষন করেন না বিধায় তাঁর নির্দেশে বিচার বিভাগ মামলা স্হগিত করবেন কি ভাবে? কথিত অনুরোধ পএে অত্যন্ত ভদ্রচিত ভাবেই ড. মো: ইউনূসের মামলা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক খ্যতি সম্পন্ন বিচারক ও আইনজীবিগনের মাধ্যমে পরিচালনার কথা বলা হলেও এর পাশাপাশি অত্যন্ত সুকৌশলে বাংলাদেশে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে “ধান বানতে শিবের গীত” শুনিয়ে অনেকটা চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে।তাই বিষয়টিকে আমি অনৈতিক কীর্তন বলেই মনে করি। এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, নোবেল লরিয়েট ড. মো: ইউনূস তাঁর মামলা চলাকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশেষজ্ঞ আইনজীবি নিয়োগ না করে কেন বিদেশে দৌড় ঝাপ করে আন্তর্জাতিক নোবেল লরিয়েট এবং বিশ্ব বরেন্য ও খ্যাতিমান বিশ্ব নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষর সংগ্রহে ব্রতি হলেন? বিশিষ্ট আইনজ্ঞদের মতে ইহা পরিস্কার যে, ড. মো: ইউনূস ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন তাঁর বিরুদ্ধে “মানি লন্ডারিং, কর ফাঁকি এবং শ্রমিকের টাকা আত্মসাতের মামলায়” তিনি অভিযুক্ত হবেন। তাই তিনি শাস্তি এড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক নোবেল লরিয়েট ও খ্যাতি সম্পন্ন বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের উপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে বিচার রোধ বা স্হগিতের জন্য ১৯৭৫ সালের ন্যায় “ইনডেমনিটি” পাওয়ার অপচেষ্টা করছেন।এটি অবশ্য ড. মো: ইউনূসের মজ্জাগত অভ্যাস বা চারিএিক বৈশিষ্ট।উল্লেখ্য, চাকুরীর সুবাদে আমি এক সময় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় কর্মরত ছিলাম বিধায় প্রায়শই আমাকে কৃষিব্লক পরিদর্শনে যেতে হতো। একবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা গ্রামে ব্যাপক পামরী পোকার আক্রমন হয়। উপজেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে পোকা দমন পরিদর্শনে অসংখ্য বার কথিত জোবরা গ্রাম ও তার পার্শ্ববরতী এলাকায় আমাকে যেতে হয়েছে। প্রসংগত, ১৯৭৯ সালে যুক্তরাজ্যের রিড়িং ইউনিভারসিটিতে অধ্যায়ন কালীন সময়ে ড. মো: ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋনের আতুর ঘর বলে কথিত জোবরা গ্রামের নাম শুনেছি। উক্ত গ্রামে ড. মো: ইউনূস “ক্ষুদ্র ঋন” কর্মসূচি পরিচালনা করেছিলেন বলে জেনেছিলাম। তাই উৎসুক বশত: ড. মো: ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋন কর্মসূচির পরীক্ষা মুলক কার্যক্রম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। বিস্তারিত জেনে চোঁখ কপালে উঠে যায়। প্রশ্ন উওরে গ্রামবাসী জানান প্রথম দিকে চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ঐ গ্রামে ক্ষুদ্র ঋনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন; কিন্তু পরবর্তীতে ড. মো: ইউনূস ক্ষুদ্র ঋনের ঐ ধারনাটি হাইজ্যাক করে নিজের নামে পরিচালনা শুরু করেন। তবে বাস্তবিক অর্থে তাঁর “ক্ষুদ্র ঋন” কার্যক্রম সেখানে ব্যর্থ হয়।তাঁরা জানান পোষাকে আষাকে ড. মো: ইউনূসকে একজন সহজ সরল ভদ্র মানুষ মনে হলেও এলাকাবাসি তাঁকে “মাক্কাল” ফল নামে উপাধি দিয়েছিল( মাক্কাল ফলের উপরের খোসা লাল টুক টুকে হলেও ভিতরে কুঁচ কুঁচে কালো) এবং তাঁকে একজন ধূর্ত ও সুবিধাবাদী প্রকৃতির লোক বলে মনে করেন।
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমি কোন বিশেষজ্ঞ নই। তবে সামাজিক, রাজনৈতিক বা মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কে আমি বরাবরই সচেতন। মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমার গৌরবোজ্জল ভূমিকা ছিল। পেশা ভিত্তিক লেখা পড়া করে সরকারী চাকুরীর সুবাদে অধিকাংশ সময় গ্রামান্চলে কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছি। পাশাপাশি দু:খজনক ভাবে লক্ষ্য করেছি সরকারের সরলতার সুযোগ নিয়ে গ্রামীন ব্যাংক কিভাবে দারিদ্র বিমোচনের নামে কিম্বা ক্ষুদ্র ঋনের ফাঁদে ফলে কৃষকদেরকে আরো নি:স্ব ও সহায় সম্বলহীন করে অতি দরিদ্র বানিয়েছে।কষ্ট পেয়েছি গ্রামীন ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরার একজন কৃষানী শিখা রানীর আত্মহত্যার খবর শুনে।এতদভিন্ন, অসংখ্য তথ্য রয়েছে, যা কিনা প্রমান করে,”দারিদ্র বিমোচনে”গ্রামীন ব্যাংকের কথিত ক্ষুদ্র ঋন বাংলাদেশের কোথাও কোন সহায়ক ভূমিকা পালন করে নাই। তবে মহাজনী কায়দায় উচ্চ সুদ আদায় এবং গলাবাজি করে ড. মো: ইউনূস অবৈধ ভাবে ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিনত হয়েছেন এবং ক্লিন্টন ফাউন্ডেশনে চাঁদা প্রদান করে নোবেল পুরস্কার বাগিয়েছেন বলে শোনা যায়।প্রসংগত উল্লেখ্য, ড. মো: ইউনূসের অনৈতিক, অবৈধ, প্রতারনার ও দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে বিশ্বের কিছু সংখ্যক বরেন্য ব্যক্তিবর্গের স্নেহধন্য হলেও একথা চ্যালেন্জ দিয়ে বলা যায় বাংলাদেশে গুটি কয়েক হলুদ সাংবাদিকতায় সিদ্ধ হস্ত তথাকথিত সাংবাদিক এবং ক্ষমতালোভী, আদর্শচ্যুৎ ও অনুর্বর মস্তিস্কের হাতে গোনা দু’একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও কেউ ড. মো: ইউনূসকে পছন্দ করেননা বা তাঁর কোন গ্রহন যোগ্যতা নাই। কারন ড. মো: ইউনূস তাঁর জন্মের পর থেকে আজ অবধি বাংলাদেশের মানুষের সুখে-দুখে তাঁদের পাশে থাকেনি। বরন্চ উল্টো তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে তাঁর বিদেশী বন্ধুদের মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মানে বিশ্ব ব্যাংকের ঋন সহায়তা বন্ধ করেছেন। দ্বিতীয়ত:তিনি(ড.মো: ইউনূস) নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে শঠতার আশ্রয় নিয়েছেন; যেমন, (ক) তিনি নিজেও জানেন তাঁর ক্ষুদ্র ঋন বিতরন, সুদের উচ্চ হার এবং আদায় প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে দারিদ্র বিমোচনে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তিনি নোবেল পুরস্কার প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে অর্থনীতি কিংবা দারিদ্র বিমোচনে তাঁর পক্ষে কোন প্রস্তাবনা তৈরী না করে গোঁজা মিল দিয়ে নির্লজ্জ ভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির আবেদন করেছিলেন। যদিও শান্তি প্রচেষ্টায় বা শান্তি স্হাপনে দেশে বিদেশে কোথাও তাঁর কোন অবদান নেই।অধিকন্তু, বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তিতেও কোন অবদান নাই। উপরন্তু, বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আইলা-সিডরের মতো প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড় পরবর্তীতে হতদরিদ্র ছিন্নমূল কিংবা গৃহহারা সর্বহারা মানুষের পাশে দাড়াননি, হলি আর্টিজেনে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জ্ঞাপন বা নিহত দেশী-বিদেশীদের পক্ষে কোন বিবৃতি প্রদান বা ২১ আগষ্ট’২০০৪ সালে বিরোধী দলের শান্তি পুর্ন জনসভায় সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলার বিরুদ্ধে টুশব্দটি পর্যন্ত করেন নাই, এমন কি একজন মুসলমান হয়েও গ্রেনেড হামলায় নিহত ২৪ জনের আত্মার মাগফেরাত কামনা পর্যন্ত করেন নাই, ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত নির্বাচিত হয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং শান্তি স্হাপনের পক্ষে তিনি বিবৃতি প্রদানেও বিরত থাকেন; যা কিনা শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির পক্ষে উদাহরন হিসাবে দেখাতে পারতেন। সর্বপরি, মিয়ানমার সরকার কর্তৃক বিতারিত ১১ লক্ষ দুস্হ, ছিন্নমূল ও গৃহহীন রোহিঙ্গা জনগোষ্টির পক্ষে নিন্দা বিবৃতি প্রদান না করে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির যুক্তিকতা প্রমান করতে পারেন নাই। তাহলে এ কথা স্পষ্টতই বলা চলে ড. মো: ইউনূস মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছেন এবং সংগত কারনেই বাংলাদেশের জনগন মনে করেন ড. মো: ইউনূস শান্তিতে নোবেল জয়ী হলেও শান্তি প্রচেষ্টায় দেশে কিংবা বিদেশে তাঁর কোন অবদান নাই। তিনি শুধু নিজের স্বার্থ সিদ্ধির ধান্ধায় নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। বর্নিত কারনে নোবেল বিজয়ী ড. মো: ইউনূসের পরিবর্তে তিনি সুদখোর ইউনূস নামেই বেশী পরিচিত।
এবার আসছি প্রবন্ধের “অনৈতিক বিশ্ব কীর্তন” শীর্ষক আলোচনায়। সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, উপরোক্ত বর্ননা ছাড়াও আপনারা আলোচিত ড. মো: ইউনূস সম্পর্কে কমবেশী অবগত রয়েছেন।ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, “মানি লন্ডারিং, কর ফাঁকি এবং শ্রমিকের টাকা আত্মসাতের” বিষয়ে বহু পুর্বেই ড. মো: ইউনূসের বিরুদ্ধে ফৌজদারী আদালতে এবং শ্রম আদালতে কয়েকটি মামলা হয়। মামলা গুলি করেছেন গ্রামীন টেলিকমের অধিকার বন্চিত শ্রমিক কর্মচারীগন এবং দূর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তথ্য-উপাত্ব ঘেঁটে যতটুকু জানা যায় তার বর্ননা হলো: গ্রামীন টেলিকমের আয় কৃত বা লভ্যাংশের শতকরা ৫(পাঁচ) ভাগ অর্থ সর্বমোট প্রায় ২২(বাইশ) কোটি টাকা শ্রমিক/কর্মচারীদের মধ্যে বন্টনের আইনানূগ বাধ্য বাধকতা থাকলেও ঐ টাকা তাঁদেরকে না দিয়ে ড. মো: ইউনূস সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন। ফলে শ্রমিক/কর্মচারী গন তাঁদের পাওনা আদায়ের জন্য শ্রম আদালতে ড. মো: ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি অধিকার বন্চিত শ্রমিক-কর্মচারীদের; অথচ বিশ্বের ১৬০ জন বিশ্ব বরেন্য ব্যক্তিত্ব ড. মো: ইউনূসের মিথ্যাচারে প্রভাবিত হয়ে অযাতিত ভাবে মামলা প্রত্যাহার বা স্হগিতের জন্য সম্পুর্ন অনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনাকে চাপ প্রয়োগ করছেন। এছাড়া মানি লন্ডারিং বা বিদেশে টাকা পাচার এবং বিপুল পরিমান টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে এনবিআর এবং দূর্নীতি দমন কমিশন ড. মো: ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।উল্লেখ্য, এনবিআর এবং দূর্নীতি দমন সংস্হা দুইটি সংবিধিবদ্ধ আইন অনুযায়ী সম্পুর্ন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠান দ্বয়ের উপর নির্বাহী বিভাগ বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন প্রকার চাপ বা হস্তক্ষেপ করার অধিকার সংরক্ষন করেন না। উল্লেখ্য, ইতিপুর্বে একটি মামলার রায় অনুযায়ী ড. মো: ইউনূস ফাঁকি দেয়া করের কিয়দাংশ পরিশোধ করলেও বাদবাকী বিরাট অংকের টাকা এখনো পরিশোধ করেন নাই। অন্যদিকে শ্রমিক কর্মচারীদের মামলা গুলি কোর্টের বাইরে অনৈতিকভাবে উৎকোচ প্রদান করে শ্রমিক-কর্মচারীদের সাথে দফারফা করতে চেয়েছিলেন এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের সাথে বৈঠক করে ওয়াদা করেও অর্থের পরিমান বেশী দেখে শ্রমিক কর্মচারীদের সাথে কথিত রফাদফা করেন নাই। বর্তমানে তিনি তাঁর কর্তৃক আত্মসাৎকৃত টাকা দিয়ে বিশ্ব বরেন্য নোবেল লরিয়েট ও নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নেমে শ্রমিক কর্মচারীদের বিরাগ ভাজন বা চক্ষুশূলে পরিনত হয়েছেন।বর্নিত অবস্হায় শ্রমিক কর্মচারীগন ড. মো: ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রায় ১৮ টি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা কথিত ১৬০ জন বিশ্বখ্যাত নেতৃবৃন্দের অনুরোধ পএের প্রক্ষিতে তাঁদেকে বাংলাদেশে এসে বিচার কার্যক্রম ও রেকর্ড পএাদি পর্যবেক্ষন করার অনুরোধ করেছেন। বিশেষজ্ঞগন মনে করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেন্জ অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টন সহ আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজ্ঞগন বাংলাদেশ সফরে আসুন এবং ড. মো: ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার কার্যক্রম পরিযবেক্ষন করুন। অধিক আস্হা ও বিশ্বাসের সাথে বাংলাদেশের আইনবিশেষজ্ঞ গন মনে করেন যদি তাঁবা বাংলাদেশে আসেন,তবে ড. মো: ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারের সচ্ছতা দেখে সন্তোষ্ট হবেন এবং ইউনূস প্রীতি কমে যাবে।আইন বিশেষজ্ঞগন আরো বিশ্বাস করেন দুনিয়ার কোন আইনজীবিই ড. মো: ইউনূসকে নির্দোষ প্রমান করতে পারবেনা। তখন কি হবে? তখন তো তিনি মিথ্যাচার করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নেতৃবৃন্দ ও নোবেল লরিয়েটদেকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন বলে প্রমানিত হবে। এই বিশ্বাস থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইন বিশেষজ্ঞগন সহ বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগন মনে করেন বিষয়টি চ্যালেন্জ হিসাবে নেয়া উচিত এবং সকল প্রকার প্রটোকল সহায়তা প্রদান করে হলেও অন্তত পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং হিলারী ক্লিন্টনের বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করে ড. মো: ইউনূসের বিচার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করনের ব্যবস্হা গ্রহন প্রয়োজন।আমি মনে করি এতে ড. মো: ইউনূসের আসল চেহারা উন্মোচিত হবে এবং চিরকালের জন্য বাংলাদেশ বিরোধীতা দূরীভূত হবে।
পরিশেষে, সন্মানিত বিশ্বনেতৃবন্দ ও নোবেল লরিয়েটের প্রতি নিবেদন জানাই, দয়া করে বাংলাদেশে আসুন! দেখে যান! ড. মো: ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋন কার্যক্রমে আদৌ বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হয়েছেন কিনা? এবং মামলার নথিপএ পর্যবেক্ষন করুন! দেখুন তাঁকে(ড. মো: ইউনূস) বিনা অপরাধে হয়রানী করা হচ্ছে কিনা?
*যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃষিবিদ, লেখক, গবেষক, কলামিষ্ট এবং উপদেষ্টা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ।