ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমাজের দ্বৈত মানসিকতা* ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রধান হাসনাত আরিয়ান খানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ফ্রান্সে বিশ্ব স্বজন ফাউন্ডেশনের ১ যুগপূর্তি উদযাপন বালাগঞ্জে জামালপুর তোহফা ফাউন্ডেশনের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উন্মোচন ফ্রান্স বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহেরকে প্যারিস বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা দেওয়ানবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সম্মাননা ও প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে দোয়া মাহফিল সীমান্ত হত্যা বন্ধে লণ্ডনে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পালিত ফ্রান্সে গহরপুরবাসীর প্রথম সামাজিক সংগঠন ‘গহরপুর এসোসিয়েশন ইন ফ্রান্স’-এর আত্মপ্রকাশ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ব্যবসার মালিকানা পাবেন প্রবাসীরা

অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করল ফ্রান্স

  • আপডেট সময় ০৩:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
  • ২৪৬৪ বার পড়া হয়েছে

শরণার্থী প্রবেশ ঠেকাতে অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করল ফ্রান্স। শরণার্থীদের বৈধভাবে আশ্রয়গ্রহণ ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করে নতুন কঠোর অভিবাসন আইন পাস করেছে ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিুকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি।

দেশটির পার্লামেন্টে ৬১ ঘণ্টা টানা বিতর্ক শেষে সোমবার নতুন অভিবাসন আইন পাস করা হয়। এ আইনে অবৈধভাবে কেউ ফ্রান্সে প্রবেশ করলে, তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।

নতুন অভিবাসন বিলে আশ্রয় আবেদন জমা দানের শেষ সময় কমিয়ে আনা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের আটক রাখার সম্ভাব্য সময় দ্বিগুণ করা হয়েছে এবং ফ্রান্সে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে নতুন করে এক বছরের কারাদণ্ড নির্ধারিত হয়েছে।

অভিবাসী ও শরণার্থী অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে ফরাসি পার্লামেন্টে কয়েকশ’ সংশোধনী প্রস্তাব জমা পড়েছিল। সেখান থেকে বেছে খসড়া বিলের ওপর ভোট হয় গত শনি ও রোববারে।

সেখানে ১৩৯ ভোটের বিপরীতে ২২৮ ভোটে অনুমোদন পেয়েছে নতুন অভিবাসন বিল। ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন ২৪ সংসদ সদস্য।

এই আইনকে কঠোর না বলে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাত্রেঁদ্ধার ক্ষমতাসীন মধ্যপন্থী দল লা রিপাবলিক এন মার্চ (এলআরইএম) বলছে, এটি ফ্রান্সে আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে।

তবে বিরোধীদলীয় নেতা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, নতুন নেয়া ব্যবস্থাগুলো একটু বেশিই কঠোর হয়ে গেছে। এলআরইএমের সদস্য জ্য-মিশেল ক্লেমেন্ত আইনটির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। দলের আরও ১৪ জন ভোটদানে বিরত ছিলেন।

ভোটের পর প্রকাশিত বিবৃতিতে ক্লেমেন্ত বলেন, ‘আমরা এর মধ্য দিয়ে আমাদের সব সময় প্রচার করা সর্বজনীন বার্তাটি বিশ্ব নাগরিকদের কাছে পৌঁছাতে পারছি কিনা, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।’

ফ্রান্স-অভিবাসন আইন-এমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধা মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আশঙ্কা করছে, আশ্রয় আবেদনের সময়সীমা কমিয়ে ফেললে তা সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থায় থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারণ ওই সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে না পারার সম্ভাবনা তাদেরই বেশি।

সংস্থাটির ফ্রান্সে নিযুক্ত পরিচালক বেনেডিক্ট জেনেরোদ বিবৃতিতে বলেছেন, আরও বেশি কার্যকর আশ্রয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ছদ্মবেশে আসলে এই বিল এমন কিছু বিষয় আশ্রয় গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করছে যা বরং সুরক্ষা পাবার সুযোগ ধ্বংস করে দেবে।

বিভিন্ন মহল থেকে বিতর্কিত আইনটি আগামী জুনে ফ্রান্সের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে আলোচনায় উঠবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমাজের দ্বৈত মানসিকতা*

অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করল ফ্রান্স

আপডেট সময় ০৩:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

শরণার্থী প্রবেশ ঠেকাতে অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করল ফ্রান্স। শরণার্থীদের বৈধভাবে আশ্রয়গ্রহণ ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করে নতুন কঠোর অভিবাসন আইন পাস করেছে ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিুকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি।

দেশটির পার্লামেন্টে ৬১ ঘণ্টা টানা বিতর্ক শেষে সোমবার নতুন অভিবাসন আইন পাস করা হয়। এ আইনে অবৈধভাবে কেউ ফ্রান্সে প্রবেশ করলে, তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।

নতুন অভিবাসন বিলে আশ্রয় আবেদন জমা দানের শেষ সময় কমিয়ে আনা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের আটক রাখার সম্ভাব্য সময় দ্বিগুণ করা হয়েছে এবং ফ্রান্সে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে নতুন করে এক বছরের কারাদণ্ড নির্ধারিত হয়েছে।

অভিবাসী ও শরণার্থী অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে ফরাসি পার্লামেন্টে কয়েকশ’ সংশোধনী প্রস্তাব জমা পড়েছিল। সেখান থেকে বেছে খসড়া বিলের ওপর ভোট হয় গত শনি ও রোববারে।

সেখানে ১৩৯ ভোটের বিপরীতে ২২৮ ভোটে অনুমোদন পেয়েছে নতুন অভিবাসন বিল। ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন ২৪ সংসদ সদস্য।

এই আইনকে কঠোর না বলে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাত্রেঁদ্ধার ক্ষমতাসীন মধ্যপন্থী দল লা রিপাবলিক এন মার্চ (এলআরইএম) বলছে, এটি ফ্রান্সে আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে।

তবে বিরোধীদলীয় নেতা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, নতুন নেয়া ব্যবস্থাগুলো একটু বেশিই কঠোর হয়ে গেছে। এলআরইএমের সদস্য জ্য-মিশেল ক্লেমেন্ত আইনটির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। দলের আরও ১৪ জন ভোটদানে বিরত ছিলেন।

ভোটের পর প্রকাশিত বিবৃতিতে ক্লেমেন্ত বলেন, ‘আমরা এর মধ্য দিয়ে আমাদের সব সময় প্রচার করা সর্বজনীন বার্তাটি বিশ্ব নাগরিকদের কাছে পৌঁছাতে পারছি কিনা, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।’

ফ্রান্স-অভিবাসন আইন-এমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধা মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আশঙ্কা করছে, আশ্রয় আবেদনের সময়সীমা কমিয়ে ফেললে তা সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থায় থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারণ ওই সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে না পারার সম্ভাবনা তাদেরই বেশি।

সংস্থাটির ফ্রান্সে নিযুক্ত পরিচালক বেনেডিক্ট জেনেরোদ বিবৃতিতে বলেছেন, আরও বেশি কার্যকর আশ্রয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ছদ্মবেশে আসলে এই বিল এমন কিছু বিষয় আশ্রয় গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করছে যা বরং সুরক্ষা পাবার সুযোগ ধ্বংস করে দেবে।

বিভিন্ন মহল থেকে বিতর্কিত আইনটি আগামী জুনে ফ্রান্সের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে আলোচনায় উঠবে।