বিশ্বকাপের জন্যই দেশমের জন্ম।’ খেলোয়াড় হিসেবে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। কোচ হয়ে দু’বার দলকে বিশ্বকাপে তুলেছেন। কোচ দিদিয়ের দেশমকে নিয়ে তাই কথাটা বলেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার করিম বেনজেমাও হয়তো বুঝে গিয়েছিলেন এই দেশমকে ছাড়বে না ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন। সেজন্যই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছেন।
ঐতিহ্য অনুযায়ী ফ্রান্স দেশি কাউকে কোচ করতে পছন্দ করে। ১৯৬৪ সালে স্বদেশি হেনরিকে দিয়ে যার শুরু। তবে দু’জন বিদেশিও দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন স্পেনের হোসে আরিবাস, অন্যজন রোমানিয়ার স্টেফেন কোভাক। এরপর ঘরের ছেলেরাই দায়িত্ব পেয়েছেন। চতুর্থ মেয়াদে চুক্তি নবায়ন করায় ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পাওয়া কোচ তিনি। ১৪ বছর এক পদে তিনি। সেখানে দারুণসব অর্জন তার। কোচ হিসেবে এরই মধ্যে নয়টি ট্রফি ছুঁয়েছেন। যার মধ্যে দুটি ফ্রান্সের হয়ে বাকিগুলো ক্লাবে।
তিনি ফ্রান্সের সফল কোচদের একজন। সামনের দুটি প্রতিযোগিতায় (২০২৪ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২৬ সালে বিশ্বকাপ) শিরোপা জয়ের আশা নিয়েই দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। একটি ট্রফি পেলেও কোচ হিসেবে লিখবেন নতুন ইতিহাস। দেশম পুনরায় দায়িত্ব নেওয়ায় তার সাবেক সতীর্থ ও সাবেক রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানের হয়তো মন খারাপ। আপাতত লেস ব্লুজদের ডাগ আউটে দাঁড়ানো হচ্ছে না তার। এমবাপ্পের সঙ্গে দেশমের সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে ওই এমবাপ্পেও কোচ হিসেবে মনে মনে জিদানকেই চাইতেন। জিজু অবশ্য ব্রাজিলের কোচ হয়ে ওই আক্ষেপ পূরণ করতে পারেন। গুঞ্জন তো তেমনই।