মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে আদালতের যে রায়ের কথা বলা হচ্ছে, তা মূল রায় নয়। এই অংশটা আদালতের পর্যবেক্ষণ (the reservation of 30% quota the children of freedom fighter Shall be followed strictly, aû case if the quota canÕt be filled up the concerned post be kept vacant)
মূল রায় নয়। মূল রায় মানা বাধ্যতামূলক। অমান্য করলে আদালত অবমাননা করা হয়। পর্যবেক্ষণ মানা বাধ্যতামূলক নয়।এই পর্যবেক্ষণেও নাতি-পুতিদেরও (Grand Children) কথা লেখা হয়নি।
ত্রয়োদশ সংশোধনীর মামলায় আদালতের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ছিল, সংসদ চাইলে আরও দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে। সরকার তা মানেনি। এতে আদালত অবমাননাও হয়নি। কারণ এটা মূল রায় ছিল না, ছিল পর্যবেক্ষণ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী প্রথম দিন যা বলেছেন, দ্বিতীয় দিন সংসদেও প্রধানমন্ত্রী সেকথাই বলেছেন। হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে, বা তিনি ভুল বুঝেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যও রায়ের সঠিক প্রতিফলন নয়।
তিনি গত ১১ই এপ্রিল কোটা বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২রা মে বলেছিলেন ‘কোটা বাতিল হয়ে গেছে’- তা থেকে সরে এসে গতকাল বলেছেন, আদালতের রায় থাকায় কোটা বাতিল করা যাবে না।
তাছাড়া এটা মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকা না থাকা বিষয়ক মামলা ছিল না। এটা ছিল ‘Government of Bangladesh vs Jamal Uddin Shikder ’ (2062 of 2013) অন্য একটি মামলার পর্যবেক্ষণ।
দলে এত বড় বড় আইনজীবী আছেন, তাদের কেউ ‘রায়’ আর ‘পর্যবেক্ষণ’র সঠিক ব্যাখ্যাটা দিতে পারলেন না!
সূত্র: ফেসবুক থেকে নেয়া
সর্বশেষ সংবাদ
আমাদের কান চিলেই নেয়…
ট্যাগস :