২৩ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনের আগে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন নাও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড লিডিংটন। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলে আসছেন, ইইউ নির্বাচনের আগে আইন প্রণেতারা ব্রেক্সিট চুক্তিতে সম্মত হতে পারলে যুক্তরাজ্যকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে না। তবে এখন লিডিংটন বলেছেন, দুর্ভাগ্যক্রমে নির্দিষ্ট তারিখের আগে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে যুক্তরাজ্যকে আইনগত কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড লিডিংটন
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড লিডিংটন
২০১৬ সালের এক গণভোটের রায় অনুযায়ী এ বছরের ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা। তবে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ইইউ-এর সাথে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে একমত হতে কয়েক দফায় ব্যর্থ হন ব্রিটিশ আইন প্রণেতারা। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে আনতে সক্ষম হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তবে তারও আগে যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বের হয়ে যেতে পারবে। সেক্ষেত্রে ব্রেক্সিট চুক্তিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন পেতে হবে। কিন্তু ২৩ মে’র আগে যুক্তরাজ্য তা করাতে ব্যর্থ হলে আইনগতভাবে ইউরোপ জুড়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য যুক্তরাজ্য। ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচিত ইইউ-এর আইন প্রণেতাদের পাঠাতে হবে ব্রাসেলসে।
ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টের অচলাবস্থা কাটাতে চুক্তির শর্ত নিয়ে লেবার পার্টির সাথে আবারও আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল। লেবার পার্টির ছায়া বাণিজ্যমন্ত্রী রেবেকা লং বেইলি বলেছেন, মঙ্গলবারের আলোচনা খুব জোরালো হলেও কোনও কিছুতেই সম্মত হওয়া যায়নি। লেবার পার্টির একটি সূত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে এখনও মৌলিক কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, গঠনমূলক এবং বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে আর বুধবার বিকেলেও এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
বেশ কয়েকটি দল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা করে প্রচারণা শুরু করলেও রক্ষণশীল দল এখনও তা করেনি। মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড লিডিংটন বলেছেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যত তাড়াতাড়ি ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করা যায় তা নিশ্চিতের উপায় খুজতে অন্য দলগুলোর সাথে আলোচনার গতি দ্বিগুণ বাড়াবে সরকার।
যুকক্তরাজ্যের সরকারি সূত্রগুলো বলেছে, ৩০ জুনের আগে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় আইনপ্রণেতাদের পার্লামেন্টে বসতে হবে না। তবে জুলাইতে গ্রীষ্মকালীন অধিবেশন শুরু হয়ে গেলে ব্রিটিশ আইন প্রণেতাদের ১ আগস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে একমাস নিজেদের আসনে থাকতে হবে। সূত্রগুলোর ধারণা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রায় ১৫ কোটি ইউরো খরচ হবে।