ইউরোপের প্রতিটি দেশে আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা রয়েছেন কিন্তু তৃণমুল থেকে উঠে আসা কয়জনই বা আছেন। চোখ বুলালে দেখা যাই সেই সংখ্যা খুবই নগন্য। এক জরিপে দেখা যাই, আশির দশকের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাই তৃণমুল থেকে উঠে আসা ইউরোপের বয়োজ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা। ১৯৮১ সাল থেকে জাতির জনকের কন্যা প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার পাশে ভ্যানগার্ড হিসেবে থাকা কর্মী একজনই আছেন তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ কাশেম । তিনি নেত্রীর প্রশ্নে যেমন কখনোই কোন আপোষ করেন না ঠিক নেত্রীও তাকে ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ মমতা করেন ।
এম এ কাশেম দুটি বিষয়ে খুবই ভাগ্যবান , প্রথমটি হলো ইউরোপিয়ান আওয়ামী রাজনীতির একমাত্র ভাগ্যবান তিনিই যার বিয়েতে জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং উপস্হিত থেকে আশির্বাদ করেছিলেন। দ্বিতীয়টি হলো প্রিয় নেত্রী ২০১৭ সালে ফ্রান্স সফরের সময় একমাত্র নেতা যার সাথে বোনের মমতায় অনেক ক্ষন একান্তে দলীয় ও ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলেন। তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর ছেলে মেয়েকে নিয়ে গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে পরম মমতায় তিনি বড় বোনের স্নেহে বলেন , কাশেম বউ কই , বউকে আনো নাই । তখনও প্রিয় নেত্রী জানতেন না যে তার স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন । তিনি দলকে এতটাই ভালবাসতেন যে তার স্ত্রী টানা প্রায় ৫ বছর হাসপাতালে ভর্তি কালীন সময়েও ১ দিনের জন্যও কোন কর্মসূচী মিস করেন নি। ১/১১ সময়েও ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা কালীন সময়ে নেত্রী মুক্তি আন্দোলনে জোড়ালো ভূমিকা পালন করেন । বর্তমান শুদ্ধি অভিযানে ঝড়ে দলের ত্যাগী ও দু:সময়ের কর্মীদের সামনে আনার যে তাগিদ রয়েছে তার সাথে আমরা একমত। নেত্রীর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আনুগত্যকে পুঁজি করে এগিয়ে চলা দু:সময়ের কর্মী এম এ কাশেম কে আগামী কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে দলে কাজ করার সুযোগ দিয়ে তৃনমূল থেকে উঠে আসা একজন কর্মীর সঠিক মূল্যায়ন হবে আমরা মনে করি । আশা করি জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্দিনের অন্যান্য কর্মীদের মত তাকেও মূল্যায়ন করবেন।
সর্বশেষ সংবাদ
“ইউরোপে মুজিবাদর্শের রণযোদ্ধা একজন এম এ কাশেম”
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ