বিনোদন প্রতিবেদক ঃ ছোটবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পারফরমেন্স দেখে ঘোষণা দেন মেজর হয়ে দেশের জন্য কাজ করবেন। পরিবারের অন্যদের ও তাই ইচ্ছে ছিলও কিন্তু সবার স্বপ্নই কি পূরণ হয় জীবনে?হয়তো না ! ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় স্বপ্ন বালককে ,তাতে কি জীবনের সেই চরম মুহূর্তে মানিয়ে নিয়েছেন।চিকিৎসক যখন প্রশ্ন করলেন, কি হবে ভবিষ্যতে? হাসিমুখে আবারও বললেন, সেনা অফিসার। যখন শুনলেন চিকিৎসকের মুখে আর কখনো স্বপ্ন পূরণ হবে না! কান্না তাকে তখন ছিঁড়ে ছিঁড়ে শেষ করে দেয়। বড় ভাই রোমান এবং দুঃসময়ের বন্ধু মরহুম সুরাইয়া দ্রিপ্তি’র সাহসে সহযোগিতায় স্বাভাবিক জীবনে পদচারণ করেন সাউথ এশিয়ান ফাস্ট জারনালিসম ইন্সটিউট এ আর কিডস মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী যিনি একাধারে রক ভোকাল, কম্পোজার, নাট্যকার, নির্মাতা, সফল নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন দেশে এবং দেশের বাইরে।তাজরিন গার্মেন্টস যখন পুড়ে গেলো আহত শ্রমিকদের জন্য ছুটে গিয়েছিলেন আরিফ সেবা করার জন্য,রানা প্লাজা দুর্ঘটনায়ও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন সেচ্ছাসেবক হিসেবে।গণমাধ্যমে কাজ করে নিজের আয়ের টাকা দিয়ে পাঁশে দাঁড়িয়েছেন ১৭ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীর ।মানবিক কাজ শুধু দেশ ই নয় নেপাল,শ্রীলংকা ,ফিলিস্তিন এর অসহায় মানুষের জন্যও সমানতালে কাজ করেছেন এবং ঢাকায় অবস্থান করা দেশগুলোর দূতাবাসে দুরসময়ের বন্ধু হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন আরিফ।সম্মানিত হয়েছেন তিনি নিজে সম্মানিত করেছেন পুরো দেশ কে।তার এইসকল মানবিক কাজের খবর জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ঢাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছেন সম্মাননা।আরিফের নিজ হাতে করা ‘ব্যান্ড কুয়াশা ‘অল্পদিনে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে, রেডিও এফএমএ পারফর্ম করে আলোচিত হয় তরুন শ্রোতাদের কাছে।যে মানুষ নিয়ে ভাবতেন গান লিখতেন আরিফ সে ই প্রিয় বন্ধু (দ্রিপ্তি) চলে যান মৃত্যুর অপারে ২০০৭ সালে। জীবনযাত্রায় অনেক বেশী থমকে যান তিনি !বড় ভাই লন্ডনে চলে যাওয়ার কারণে ব্যান্ড আর করা হয়নি। অনেক নামি-দামি ব্যান্ডের রক ভোকাল হিসেবেও অফার পেয়ে কাজে লাগাননি তিনি। পড়াশোনাতে মোটামুটি হলেও ইংরেজিতে সবসময় খারাপ করার কারণে মন খারাপ থাকত! ইংরেজি গান শুনলে আত্মীয়-স্বজন অনেকেই হাসাহাসি করত। সেই আরিফ ই বাংলাদেশের চ্যানেলে মিউজিক্যাল অনুষ্ঠানে আনলেন পরিবর্তন। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ ইংরেজি ভাষায় চালু হয় ” ইংলিশ রক টাউন ” নামে একটি অনুষ্ঠান যার স্ক্রিপ্ট, পরিকল্পনা, পরিচালনা করে আরিফ আবারও জানান দেন নিজের প্রতিভার। পৃথিবীর জনপ্রিয় রক ব্যান্ড লিংকিন পার্ক-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আরিফের নির্মিত ‘লিংকিন পার্কের বায়গ্রাফি’ সেই ভিডিও স্থানও পায়। যা বাংলাদেশের একজন অনুষ্ঠান নির্মাতার জন্য অনেক বড় গৌরবের।যারা অনেক হাসাহাসি করত তাদের সেই হাসিকে জীবনে বড় হওয়ার ওষুধ বলে মনে করেন তিনি।গণমাধ্যমে নিজের কাজের দক্ষতায় এবং মিউজিক্যাল সেক্টরে ভালো পারফর্ম করে তরুন আরিফ এখন নিয়মিত দেশের চ্যানেলগুলোর পর্দায় এবং অল্প সময়ে ই পেয়েছেন জনপ্রিয়তা।এই প্রতিবেদকের সাথে একান্তে কথা বলার সময় জানালেন , ব্যান্ড কুয়াশা কে নিয়ে নতুন ভাবে শ্রোতাদের কাছে আবারো ফিরবেন এইছারাও ফিরবেন খুব দ্রুত গণমাধ্যমে অনুষ্ঠান অথবা বার্তা প্রযোজক হিসেবে।সত্যিই! দেশের হয়ে কাজ করছেন হয়তো ! ক্যান্টনমেন্ট ভিত্তিক নয় সাধারণ মানুষ হয়ে নিজ কর্মদক্ষতায় অসাধারণ রূপে চলে এসেছেন অসংখ্যবার খবরের শিরোনামে।
সর্বশেষ সংবাদ