বিজ্ঞানীরা বলছেন এই ভাইরাস শরীরে ঢুকলে উপসর্গ দেখা দিতে সময় লাগে গড়ে পাঁচ দিন। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দিতে সময় লাগতে পারে আরও বেশি দিন।
ইনকিউবেশন কাল অর্থাৎ যে সময়টায় কোনও ভাইরাস মানুষের শরীরে থাকে কিন্তু তার কোনও লক্ষণ দেখা যায় না, সেই ইনকিউবেশনের সময়টা কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে হল ১৪ দিন পর্যন্ত – এই মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
কিন্তু কোনও কোনও গবেষক বলছেন যে এই সময়টা ২৪ দিন পর্যন্তও হতে পারে।
অর্থাৎ জীবাণু আপনার শরীরে সুপ্ত অবস্থায় এতটা লম্বা সময় ধরে থাকতে পারে।
তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ২১ দিন পর্যন্ত ভাইরাসের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে ধরা হচ্ছে – এমনটা জানিয়েছেন আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন।
মুশতাক হোসেন বলেন, “একজন ব্যক্তির দেহে যেদিন প্রথমবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং এরপর তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে যদি তার উপসর্গ চলে যায়, তাহলে প্রথম দিন থেকে হিসেব শুরু করে ২১ দিন পর তিনি আর কাউকে সংক্রমিত করতে পারবেন না বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
তবে আক্রান্ত রোগী শুধুমাত্র মৃদু উপসর্গ সম্পন্ন রোগী হলে এবং তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে তার উপসর্গ চলে গেলেই ২১ দিন পর ওই ব্যক্তিকে নিরাপদ ধরে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন