ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা! আননূর মাদরাসার পক্ষ থেকে হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু-কে মেলবন্ধন স্মারক প্রদান বালাগঞ্জে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে “নবাগত ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ’র মতবিনিময় বালাগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ‘হাতের মুঠোয় সকল সেবা’ কার্যক্রম চালু বিমানের প্যারিস-ঢাকা ফ্লাইট পুনরায় চালুর জোরালো দাবী প্রবাসীদের বালাগঞ্জে ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ হত্যা মামলার অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খলকু মিয়া আটক গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে সংবর্ধনা ও শিক্ষা সেমিনার অন্তর্বর্তীকালীন সকল সিদ্ধান্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নেওয়া উচিত- বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া

কুলাউড়া মহিলা কলেজের শফিক স্যারের কোচিং বানিজ্য

  • আপডেট সময় ০১:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

তিনি শিক্ষক,মানুষ গড়ার কারিগর।জাতিগঠনে শিক্ষকরাই গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখেন।আর হ্যা তিনিও ভূমিকা রাখছেন তবে একটু ব্যতিক্রম । তার ইচ্ছে নাকি বড়লোক হওয়া,আর সেইজন্য তিনি বেছে নিয়েছেন সহজ একটি উপায় আর তা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ‘প্রাইভেট পড়ানো’।তার নিয়ম হচ্ছে প্রতিমাসে ১২ দিন পড়াবেন সেইজন্য শিক্ষার্থী প্রতি গুনতে হবে দুই হাজার টাকা তবে সেই টাকাও দিতে হবে অগ্রিম। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করেছিলেন- স্যার, আপনি আমাদের উপর এমন জুলুম কেন করছেন তার উত্তর ‘আমি বড়লোক হতে চাই’।বড়লোক হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষার্থিদের কাছেও হাত পাততে কুণ্ঠাবোধ করেন না। আর সেইজন্য তার জন্মদিনে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা সকল শিক্ষার্থীদের কাছে উপহার চেয়েছেন। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে না আসলে তিনি যে বিষয় পড়ান সেই বিষয়ে ফেল করে রাখারও হুমকি দিয়েছেন।তাই বাধ্যহয়ে অনেক গরীব শিক্ষার্থীকে নানান উপায়ে প্রাইভেটের টাকা যোগাড় করে তার কাছে প্রাইভেট পড়েন। নামপ্রকাশে ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন- ‘এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সব বন্ধুরা একবার ভেবেছিলাম ফেইসবুকে লিখব পরে ভয়ে আর কেউ লিখি নি যদি স্যারের কানে কোনভাবে যায় তাহলে তিনি আমাদের ফেল করিয়ে রাখবেন’। নিয়ম হচ্ছে একশ নম্বরের মধ্যে আশি হচ্ছে লিখিত আর বিশ নম্বর সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক দিবেন। যে কারণে শফিক স্যার শিক্ষার্থীদের একধরনের জিম্মি করে রেখেছেন,সেই সাথে কিছুটা হুমকি দিয়ে বলেছেন – ‘আমার সাথে যাদের ভাল সম্পর্ক তাদের আমি বেশী নম্বর দিব’।আর তার সাথে ভাল সম্পর্ক হচ্ছে ‘প্রাইভেট পড়া’। তার পড়ানোর বিষয় হচ্ছে হিসাব বিজ্ঞান এবং অর্থনীতি । আর সে হিসেবে তার হাতে চল্লিশ নম্বর । তার পুরো নাম শফিকুল আলম।বাড়ি কুমিল্লায়।সিলেটের মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সুনাম এবং ভাল ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কমার্স বিভাগের একজন শিক্ষক । বর্তমানে তিনি কুলাউড়া শহরের মাগুরায় বসবাস করছেন। অভিভাবকরা শিক্ষক শফিকুল আলমের এমন প্রাইভেট বানিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষক শফিকুল আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায় নি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা!

কুলাউড়া মহিলা কলেজের শফিক স্যারের কোচিং বানিজ্য

আপডেট সময় ০১:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

তিনি শিক্ষক,মানুষ গড়ার কারিগর।জাতিগঠনে শিক্ষকরাই গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখেন।আর হ্যা তিনিও ভূমিকা রাখছেন তবে একটু ব্যতিক্রম । তার ইচ্ছে নাকি বড়লোক হওয়া,আর সেইজন্য তিনি বেছে নিয়েছেন সহজ একটি উপায় আর তা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ‘প্রাইভেট পড়ানো’।তার নিয়ম হচ্ছে প্রতিমাসে ১২ দিন পড়াবেন সেইজন্য শিক্ষার্থী প্রতি গুনতে হবে দুই হাজার টাকা তবে সেই টাকাও দিতে হবে অগ্রিম। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করেছিলেন- স্যার, আপনি আমাদের উপর এমন জুলুম কেন করছেন তার উত্তর ‘আমি বড়লোক হতে চাই’।বড়লোক হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষার্থিদের কাছেও হাত পাততে কুণ্ঠাবোধ করেন না। আর সেইজন্য তার জন্মদিনে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা সকল শিক্ষার্থীদের কাছে উপহার চেয়েছেন। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে না আসলে তিনি যে বিষয় পড়ান সেই বিষয়ে ফেল করে রাখারও হুমকি দিয়েছেন।তাই বাধ্যহয়ে অনেক গরীব শিক্ষার্থীকে নানান উপায়ে প্রাইভেটের টাকা যোগাড় করে তার কাছে প্রাইভেট পড়েন। নামপ্রকাশে ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন- ‘এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সব বন্ধুরা একবার ভেবেছিলাম ফেইসবুকে লিখব পরে ভয়ে আর কেউ লিখি নি যদি স্যারের কানে কোনভাবে যায় তাহলে তিনি আমাদের ফেল করিয়ে রাখবেন’। নিয়ম হচ্ছে একশ নম্বরের মধ্যে আশি হচ্ছে লিখিত আর বিশ নম্বর সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক দিবেন। যে কারণে শফিক স্যার শিক্ষার্থীদের একধরনের জিম্মি করে রেখেছেন,সেই সাথে কিছুটা হুমকি দিয়ে বলেছেন – ‘আমার সাথে যাদের ভাল সম্পর্ক তাদের আমি বেশী নম্বর দিব’।আর তার সাথে ভাল সম্পর্ক হচ্ছে ‘প্রাইভেট পড়া’। তার পড়ানোর বিষয় হচ্ছে হিসাব বিজ্ঞান এবং অর্থনীতি । আর সে হিসেবে তার হাতে চল্লিশ নম্বর । তার পুরো নাম শফিকুল আলম।বাড়ি কুমিল্লায়।সিলেটের মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সুনাম এবং ভাল ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কমার্স বিভাগের একজন শিক্ষক । বর্তমানে তিনি কুলাউড়া শহরের মাগুরায় বসবাস করছেন। অভিভাবকরা শিক্ষক শফিকুল আলমের এমন প্রাইভেট বানিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষক শফিকুল আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায় নি।