ঢাকা ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
কাজের আওতায় অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বৈধতার শর্ত শিথিল করল স্পেন শহীদ আবু সাঈদসহ সবার প্রতি সালাম জানালেন বিলেতের প্রধান কবি আহমেদ ময়েজ বালাগঞ্জে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যেগে মানববন্ধন প্যারিসে খিয়াং নয়ন রচিত মোটিভেশনাল বিষয়ক ‘Impression de vie’ জীবনের ছাপ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে- নবাগত ওসি নির্মল দেব এর মতবিনিময় ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময়

নোয়াখালী ৩ আসনের আ.লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন এম এ কাসেম

  • আপডেট সময় ০২:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ কাসেম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে। একটি সূত্রে জানা যায়, যে সকল প্রবাসী নেতারা আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন,তাদের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের সুনজর রয়েছে এম এ কাসেমের প্রতি। নোয়াখালী বেগমগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য তিনি মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। সেই আসনে তাকে মনোনয়ন দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। প্রবাসী মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রায় সকলেই প্রবাসে রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত বহুদিন যাবত। কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করে নানা কর্মসূচিতেও সোচ্চার থাকেন। দেশের সাথে সংযোগ রেখে দলীয় সব কর্মসূচী তারা পালন করেন। নেতা-নেত্রীরা ইউরোপে এলে কাজ-কর্ম ছেড়ে তাদের আতিথেয়তায় ব্যস্ত হন।

দলের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন,ইউরোপের আওয়ামী পরিবারের কাজকর্মের ওপর বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার। তার ‘গুড বুকে’ যারা রয়েছেন তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।

এম এ কাসেমের সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবন, এম এ কাসেম,নোয়াখালীর চৌমুহনী শহর ছাত্রলীগের কর্মী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রভাবশালী ছাত্রনেতা। বর্তমান ফ্রান্স আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে আছেন। সন্ত্রাস বিরোধী মনোভাব ও মানবিক মুল্যবোধ সম্পন্ন এ ছাত্রনেতা ছাত্র রাজনীতিতে ছিলেন রোল মডেল। ১৯৫৪-এর ১০ ডিসেম্বর নোয়াখালী জেলার বেগম গঞ্জ থানার হাজিপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে জন্মনেন এম এ কাসেম। চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও চৌমুহনী এস. এ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু কে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে,তখন নোয়াখালী সদরে যেই কয়জন এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তাদের মধ্যে এম এ কাসেম অন্যতম একজন।

১৯৭৩ সালে নোয়াখালী চৌমুহনী শহর ছাত্রলীগের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও নোয়াখালীর আওয়ামী রাজনীতির প্রাণপুরুষ নুরুল হকের জৈষ্ঠ্যা কন্যা ও ডি জি এফ আইয়ের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল আকবর হোসেনের মা মোসাম্মৎ রহিমা খানম মনির নেতৃত্বে সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রদের কে সংগঠিত করার চেষ্টা করেন। গঠন করেন নব-উম্মেষ ক্লাব। চৌমুহনী নব-উম্মেষ ক্লাবের মাধ্যমে তারা ১৫ আগষ্ট হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে কাজ করেন। সে সময় মোছাম্মৎ রহিমা খানম মনি নব-উন্মেষ ক্লাবের সভাপতি ও এম এ কাশেম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। আশির দশকের দিকে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, ভর্তি হয়ে পড়া লেখার ফাঁকে ফাঁকে ছাত্রলীগ কে সংগঠিত করতে কঠোর পরিশ্রম করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল আওয়ামী রাজনীতির প্রতিকুলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের দুর্গ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেন এম এ কাশেম। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের প্যানেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এ জি এস পদপ্রার্থী হওয়ার পর থেকে জামায়াত শিবিরের রোষানলে পড়েন তিনি।জামায়াত শিবির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে, এক পর্যায়ে প্রাণ নাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে দেশান্তরী হয়ে ১৯৮৭ সালের শেষের দিকে ফ্রান্সে চলে আসেন। কথায় আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে- যার ভেতর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনা লুকায়িত সে কখনো ঘরে বসে থাকতে পারেনা। সুদুর প্রবাসে এসেও বসে থাকেননি। ঐ বছরই ফ্রান্সে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের সংগঠিত করার কাজে হাত দেন। ব্যাপক সাড়া মেলে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে গঠন করেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি। সে কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হন তিনি। পরবর্তীতে সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সে থেকে বেশ কয়েকবার সংগঠনের প্রয়োজনে সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরু দায়িত্ব পালন করেন। এক-এগারোর পরবর্তী দুঃসময়ে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে এম এ কাসেম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগকে। সেই সময় তিনি ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা ইউরোপ চষে বেড়িয়েছেন এম এ কাসেম। লন্ডন প্রবাসী বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ রেহেনার পরামর্শে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন সাহসী ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিক হিসেবে সে স্বাক্ষর তিনি রেখেছেন অনেক আগেই।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে তিনি কখনো বিচ্যুত হননি। ৭৫ পরবর্তী স্বৈরশাসকদের আমল থেকে দেশের ওপর অনেক ঘাত-প্রতিঘাত আসলেও এম এ কাসেম সব সময় বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে থেকেছেন।

দলের প্রতি আস্থা-বিশ্বাস ও আদর্শ অটুট রেখে চলেছেন। তৃণমূলের কর্মীরা যাকে বলেন, ইউরোপ আওয়ামী লীগের প্রাণভোমরা।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। ১৯৯২ সালে আ্যডভোকেট জান্নাত রেহেনা মনির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কাসেম-মনি জুটিকে আর্শিবাদ করেছিলেন। কথা প্রসঙ্গে এম এ কাসেম বলেন,নেত্রীর সেই আর্শিবাদ আমার চলার পথে পাথেয়। শেখ হাসিনার মতো দেশবৃক্ষের ছায়াতলে আমরণ নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।

আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে দিন রাত পরিশ্রম করেন।

কোথায় নেই তিনি! সকল ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমে তার উপস্থিতি শতভাগ। ইউরোপের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ান আওয়ামী লীগ কর্মীদের শক্তিশালী ও উজ্জীবিত।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

কাজের আওতায় অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বৈধতার শর্ত শিথিল করল স্পেন

নোয়াখালী ৩ আসনের আ.লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন এম এ কাসেম

আপডেট সময় ০২:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ কাসেম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে। একটি সূত্রে জানা যায়, যে সকল প্রবাসী নেতারা আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন,তাদের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের সুনজর রয়েছে এম এ কাসেমের প্রতি। নোয়াখালী বেগমগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য তিনি মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। সেই আসনে তাকে মনোনয়ন দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। প্রবাসী মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রায় সকলেই প্রবাসে রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত বহুদিন যাবত। কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করে নানা কর্মসূচিতেও সোচ্চার থাকেন। দেশের সাথে সংযোগ রেখে দলীয় সব কর্মসূচী তারা পালন করেন। নেতা-নেত্রীরা ইউরোপে এলে কাজ-কর্ম ছেড়ে তাদের আতিথেয়তায় ব্যস্ত হন।

দলের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন,ইউরোপের আওয়ামী পরিবারের কাজকর্মের ওপর বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার। তার ‘গুড বুকে’ যারা রয়েছেন তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।

এম এ কাসেমের সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবন, এম এ কাসেম,নোয়াখালীর চৌমুহনী শহর ছাত্রলীগের কর্মী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রভাবশালী ছাত্রনেতা। বর্তমান ফ্রান্স আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে আছেন। সন্ত্রাস বিরোধী মনোভাব ও মানবিক মুল্যবোধ সম্পন্ন এ ছাত্রনেতা ছাত্র রাজনীতিতে ছিলেন রোল মডেল। ১৯৫৪-এর ১০ ডিসেম্বর নোয়াখালী জেলার বেগম গঞ্জ থানার হাজিপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে জন্মনেন এম এ কাসেম। চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও চৌমুহনী এস. এ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু কে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে,তখন নোয়াখালী সদরে যেই কয়জন এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তাদের মধ্যে এম এ কাসেম অন্যতম একজন।

১৯৭৩ সালে নোয়াখালী চৌমুহনী শহর ছাত্রলীগের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও নোয়াখালীর আওয়ামী রাজনীতির প্রাণপুরুষ নুরুল হকের জৈষ্ঠ্যা কন্যা ও ডি জি এফ আইয়ের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল আকবর হোসেনের মা মোসাম্মৎ রহিমা খানম মনির নেতৃত্বে সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রদের কে সংগঠিত করার চেষ্টা করেন। গঠন করেন নব-উম্মেষ ক্লাব। চৌমুহনী নব-উম্মেষ ক্লাবের মাধ্যমে তারা ১৫ আগষ্ট হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে কাজ করেন। সে সময় মোছাম্মৎ রহিমা খানম মনি নব-উন্মেষ ক্লাবের সভাপতি ও এম এ কাশেম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। আশির দশকের দিকে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, ভর্তি হয়ে পড়া লেখার ফাঁকে ফাঁকে ছাত্রলীগ কে সংগঠিত করতে কঠোর পরিশ্রম করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল আওয়ামী রাজনীতির প্রতিকুলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের দুর্গ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেন এম এ কাশেম। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের প্যানেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এ জি এস পদপ্রার্থী হওয়ার পর থেকে জামায়াত শিবিরের রোষানলে পড়েন তিনি।জামায়াত শিবির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে, এক পর্যায়ে প্রাণ নাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে দেশান্তরী হয়ে ১৯৮৭ সালের শেষের দিকে ফ্রান্সে চলে আসেন। কথায় আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে- যার ভেতর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনা লুকায়িত সে কখনো ঘরে বসে থাকতে পারেনা। সুদুর প্রবাসে এসেও বসে থাকেননি। ঐ বছরই ফ্রান্সে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের সংগঠিত করার কাজে হাত দেন। ব্যাপক সাড়া মেলে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে গঠন করেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি। সে কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হন তিনি। পরবর্তীতে সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সে থেকে বেশ কয়েকবার সংগঠনের প্রয়োজনে সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরু দায়িত্ব পালন করেন। এক-এগারোর পরবর্তী দুঃসময়ে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে এম এ কাসেম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগকে। সেই সময় তিনি ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা ইউরোপ চষে বেড়িয়েছেন এম এ কাসেম। লন্ডন প্রবাসী বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ রেহেনার পরামর্শে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন সাহসী ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিক হিসেবে সে স্বাক্ষর তিনি রেখেছেন অনেক আগেই।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে তিনি কখনো বিচ্যুত হননি। ৭৫ পরবর্তী স্বৈরশাসকদের আমল থেকে দেশের ওপর অনেক ঘাত-প্রতিঘাত আসলেও এম এ কাসেম সব সময় বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে থেকেছেন।

দলের প্রতি আস্থা-বিশ্বাস ও আদর্শ অটুট রেখে চলেছেন। তৃণমূলের কর্মীরা যাকে বলেন, ইউরোপ আওয়ামী লীগের প্রাণভোমরা।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। ১৯৯২ সালে আ্যডভোকেট জান্নাত রেহেনা মনির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কাসেম-মনি জুটিকে আর্শিবাদ করেছিলেন। কথা প্রসঙ্গে এম এ কাসেম বলেন,নেত্রীর সেই আর্শিবাদ আমার চলার পথে পাথেয়। শেখ হাসিনার মতো দেশবৃক্ষের ছায়াতলে আমরণ নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।

আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে দিন রাত পরিশ্রম করেন।

কোথায় নেই তিনি! সকল ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমে তার উপস্থিতি শতভাগ। ইউরোপের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ান আওয়ামী লীগ কর্মীদের শক্তিশালী ও উজ্জীবিত।