দর্পণ ডেস্ক: প্যারিসের নিকটবর্তী এক ট্রেনে এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ভুক্তভোগী ঝোরদানা দিয়াস (২৬) নামের এক ব্রাজিলীয় নাগরিক চলতি মাসের শুরুতে এ হামলার শিকার হন। তিনি স্থানীয় ল্য প্যারিসিয়েন পত্রিকাকে জানান, ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তি উঠে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং তার অন্তর্বাস টানার চেষ্টা করে।
দিয়াসের চিৎকার শুনে অন্য এক নারী যাত্রী মোবাইলে ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনটি যখন একটি স্টেশনে থামে, তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি দ্রুত নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি ফ্রান্সজুড়ে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
ফরাসি গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মান্ত-লা-জোলি এলাকায় পরিবহন পুলিশের হাতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কীভাবে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে কোনো পরিচয়পত্র ছিল না। তবে তিনি নিজেকে ২৬ বছর বয়সী মিসরীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ অক্টোবর, প্যারিসের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শোয়াজি-লে-রোয়া এবং ভিলনভ-লে-রোয়া ট্রেন স্টেশনের মধ্যবর্তী রুটে।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি কালো ট্র্যাকসুট ও টুপি পরে ট্রেনের বগিতে অবস্থান করছে। পেছনে এক নারীর চিৎকার শোনা যায়, আর ভিডিওধারী নারীকে বলতে শোনা যায়— “তুমি সেখানেই থাকো।” কিছুক্ষণ পরই ট্রেন থামলে ওই ব্যক্তি দ্রুত নেমে প্ল্যাটফর্ম দিয়ে পালিয়ে যায়।
ভিডিও ধারণকারী ওই নারী, যার নাম শুধু “মার্গারিট” হিসেবে প্রকাশ করেছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম, তাকে এখন অনেকেই ঝোরদানা দিয়াসকে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার কৃতিত্ব দিচ্ছেন।
ফরাসি ভাষা না জানায় দিয়াস তার ভাইয়ের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ভাই অনুবাদ করে তার বর্ণনা পুলিশকে জানান।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেক নারী ফ্রান্সে গণপরিবহনে যৌন হয়রানির নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
এদিকে লে প্যারিসিয়েন জানায়, আরও দুই নারী দাবি করেছেন যে, তারা একই ব্যক্তির হাতে পূর্বে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
















