মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইনঃ প্রবীন সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সাঈদ তারেক বলেছেন, আর্দশ ভিত্তিক বিপ্লব ব্যতিত বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের পরিবর্তন অসম্ভব।
তিনি গতকাল ১৯ জুলাই ২০২৪ শনিবার বিকেলে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আয়োজিত “জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪ : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা”
শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
ইউরো ভিশন নিউজ ফ্রান্স এর সম্পাদক এম এ মান্নান আজাদ এর সভাপতিত্বে ও ফ্রান্স বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এফবিজেএ এর সমন্বয়ক ও দৈনিক নয়াদিগন্তের ফ্রান্স প্রতিনিধি মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা বাঁধ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা এডভোকেট কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফ্রান্স বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের এফবিজেএ এর মুখপাত্র ও ফ্রান্স টোয়েন্টিফর এর সাংবাদিক মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ, একটিভিষ্ট ও সমাজকর্মী এডভোকেট মনোয়ার হোসেন, সোস্যাল এক্টিভিষ্ট খালেদ মাহমুদ, ফ্রান্স বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এফবিজেএ এর সদস্য ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ফ্রান্স প্রতিনিধি সাংবাদিক তানভীর আহমেদ তোহা, পার্বত্য অন্চল বিষয়ক আন্তর্জাতিক এক্টিভিষ্ট জাফরুল হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক শাহ সুহেল, আকাশ গবেষক সালমান, কমিউনিটি নেতা শহিদুল ইসলাম, টাইম টেলিভিশনের সাবেক ফ্রান্স প্রতিনিধি সাংবাদিক অনুক্ত কামরুল, সমাজকর্মী ওয়াদুদ তানভীর, কবি আব্দুল কুদ্দুস হাসান, বাংলা ভিশন টেলিভিশনের ফ্রান্স প্রতিনিধি সাংবাদিক ইয়াসির খোকন, চ্যানেল ২৪ এর ফ্রান্স প্রতিনিধি সাংবাদিক মামুন মাহিন ও মোহাম্মদ আরাফাত প্রমুখ।
প্রধান অতিথি প্রবীন সাংবাদিক সাঈদ তারেক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২০২৪ এর জুলাই মাসে যে অভ্যুত্থান দেশের আপামর জনগণ সংঘটিত করলো তা একটি পূর্ণাঙ্গ বিপ্লবের সুচনা মাত্র।এদেশকে স্বকীয় স্বাধীন ও মর্যাদাপূর্ণ সত্তা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে আর্দশ ভিত্তিক বিপ্লবের বিকল্প নেই।
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা বাঁধ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা এডভোকেট কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের প্রকৃত শত্রু দিল্লীর সম্প্রসারণবাদী শাসক গোষ্ঠী। এদেশের মানুষকে স্বাধীন সত্তা নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে হলে দলমত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দিল্লীর ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমাদের জাতিসত্তার ইতিহাস শুধু একাত্তরকে কেন্দ্র করে নয়, হাজার বছরের নানা সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ১৯৪৭ সালে মুসলমানদের স্বাধীন ভূখন্ড পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয়।শাসকদের বিমাতাসুলভ মনোভাবের কারনে একাত্তরে আমরা পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করছিলাম। সেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তি বিগত ৫৪ বছর এদেশের আপামর জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি।সেজন্য একাত্তর পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ও ৭ নভেম্বর রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে আমরা জোটবদ্ধ হয়েছিলাম।একথা দিবালোকের মতো সত্য, একাত্তর পরবর্তী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চার বছরের শাসনকালেই বাংলাদেশ স্বাধীন ও স্বকীয়তা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।তারা বলেন, ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লব মূলত একাত্তরের এক্সটেনশন।