নজমুল কবিরঃ এই প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক স্বর্নোজ্জল সময়ে। তুমুল জনপ্রিয় ফুটবলকে পেছনে ফেলে ক্রিকেট হয়ে ওঠে একক জনপ্রিয় খেলা। ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের দাপুটে উপস্থিতি এই জনপ্রিয়তাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়েছে। বিনোদনের সবচেয়ে উত্তেজক ইভেন্ট হয়ে ওঠেছে ক্রিকেট। বিনোদনের এমন উন্মাতাল উপস্থিতি আমাদের রক্তকণিকায় মিশে গেছে। তাইতো পৃথিবীর নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের ক্রিকেট-বিনোদন ছাড়া থাকতে পারা অলীক কল্পনা।
ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বিনোদনের নিয়মিত ইভেন্ট ক্রিকেট। এদেশ ফুটবলের দেশ। কিন্তু বাংলাদেশীদের সেই গন্ডির মধ্যে রাখতে পারেনি। তাইতো প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেখা যায় ক্রিকেট ক্লাব গড়ে তুলতে। ইতোমধ্যেই ডজন দু’য়েক ক্লাব গড়ে উঠেছে। ক্রিকেটের জাতীয় বোর্ডে বাংলাদেশীরা জায়গা করে নিয়েছে, জাতীয় দলেও খেলে চলেছে।
ক্রিকেটাঙ্গনে এমন মাদকতার পরিচয় মেলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজনে টেপ টেনিস টুর্নামেন্ট এর সফল আয়োজন।
ক্রিকেটানুরাগী তরুন বাংলাদেশীদের প্রচেষ্টা এবং সফল ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতায় রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) এই আয়োজনে প্রধান অনুঘটক ছিলেন শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান সাত্তার আলী সুমন। উপস্থিত ছিলেন তারই সহধর্মিনী ফাতেমা খাতুন মরিয়ম যিনি ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছেন।
টুর্নামেন্টে ২০ টি দল অংশগ্রহণ করে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ফাইনালে ওঠে সিলেট ফাইটার্স এবং ক্র্যাক প্লাটুন। উত্তেজনায় ভরা ফাইনালে সিলেট ফাইটার্স ক্লাব ক্র্যাক প্লাটুনকে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাত্তার আলী সুমন। পুরস্কার বিতরণ শেষে বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশী সকল ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশী ক্লাবগুলুকে পৃষ্ঠপোষকথার আহ্বান জানান।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এমডি নুর, সিনিয়র সাংবাদিক আবু তাহির, নাসির উদ্দীন ভুইয়া, ফারুক শোয়েব, শাহজাহান আহমেদ, রাসেল খান, আব্দুর রহমান শিপন, মাশুক রহমান, শাহ মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, আশরাফ বাবু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন রানা আহমেদ।
অনুষ্ঠানে ২ হাজার ইউরো প্রাইজ মানি এবং চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেয়া হয় সিলেট ফাইটার্স ক্লাবকে। রানার্স আপ দল ক্র্যাক প্লাটন পায় ১ হাজার ইউরো। পাশাপাশি গুণীজনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।