ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ল্যুভর জাদুঘরে চুরি ফ্রান্সে “আশা এবং আমার সংগ্রাম” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা দেড় হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১২তম মুসলিম চ্যারিটি রান বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করণীয় তরুণদের বিদেশমুখিতা: সুযোগ না সংকট? ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এক সতর্কবার্তা”

ফ্রান্সে ডাক্তারদের সাবধানবানী, ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা

  • আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
  • ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

সাবধান করে দিলেন ফ্রান্সের ডাক্তাররা। করোনা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। এরপর হাসপাতালে জায়গা হবে না।

করোনা নিয়ে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। সাবধানবানী চিকিৎসকদের। তাঁরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে এরপর ডাক্তারদের ভাবতে বাধ্য হবেন, তাদের হাতে যে পরিকাঠামো আছে, তা দিয়ে কোন রোগীার চিকিৎসা তারা করতে পারবেন, কার করতে পারবেন না।

চিকিৎসকদের এই হুঁশিয়ারি প্রকাশিত হয়েছে ফ্রান্সের একটি সংবাদপত্রে, যেখানে বহু চিকিৎসক সই করেছেন।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এখন সেখানে চার হাজার ৮০০ মানুষ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে(আইসিইউ) ভর্তি হয়ে আছেন। এই বছরে এত মানুষ এর আগে কখনো আইসিইউ-তে থাকেননি। চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি এর থেকেও অনেক খারাপ হবে। প্যারিসের ৪১টি এলাকার চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা এমন পরিস্থিতির কথা আগে কখনো ভাবতে পারিনি। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলার থেকেও এই পরিস্থিতি খারাপ।”

চিকিৎসকদের মতে, প্যারিস ও অন্য কিছু জায়গায় সামান্য কড়াকড়ি করা হয়েছে। তার জন্যই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। যদি এখনই কোনো কড়া সিদ্ধান্ত না হয়., তা হলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা আমাদের হাসপাতালের পরিস্থিতি জানি। তাতে কতজনের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেটাও আমাদের জানা। এমন সময় আসছে, যখন আমাদের আগে দেখতে হবে, কোন রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।”

তাদের আশঙ্কা, ”প্যারিসে শীঘ্রই সব আইসিইউ ভর্তি হয়ে যাবে। এরপর একটি আইসিইউ বেডের জন্য দুই বা তার থেকে বেশি রোগী দাবিদার হবেন। তখন আমাদের দেখতে হবে, কাকে আমরা চিকিৎসা করে বাঁচাতে পারব। আর কাকে ভর্তি করব না। এই পরিস্থিতির দিকেই আমরা এগোচ্ছি।”

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ফ্রান্সে ডাক্তারদের সাবধানবানী, ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা

আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১

সাবধান করে দিলেন ফ্রান্সের ডাক্তাররা। করোনা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। এরপর হাসপাতালে জায়গা হবে না।

করোনা নিয়ে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। সাবধানবানী চিকিৎসকদের। তাঁরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে এরপর ডাক্তারদের ভাবতে বাধ্য হবেন, তাদের হাতে যে পরিকাঠামো আছে, তা দিয়ে কোন রোগীার চিকিৎসা তারা করতে পারবেন, কার করতে পারবেন না।

চিকিৎসকদের এই হুঁশিয়ারি প্রকাশিত হয়েছে ফ্রান্সের একটি সংবাদপত্রে, যেখানে বহু চিকিৎসক সই করেছেন।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এখন সেখানে চার হাজার ৮০০ মানুষ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে(আইসিইউ) ভর্তি হয়ে আছেন। এই বছরে এত মানুষ এর আগে কখনো আইসিইউ-তে থাকেননি। চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি এর থেকেও অনেক খারাপ হবে। প্যারিসের ৪১টি এলাকার চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা এমন পরিস্থিতির কথা আগে কখনো ভাবতে পারিনি। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলার থেকেও এই পরিস্থিতি খারাপ।”

চিকিৎসকদের মতে, প্যারিস ও অন্য কিছু জায়গায় সামান্য কড়াকড়ি করা হয়েছে। তার জন্যই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। যদি এখনই কোনো কড়া সিদ্ধান্ত না হয়., তা হলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা আমাদের হাসপাতালের পরিস্থিতি জানি। তাতে কতজনের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেটাও আমাদের জানা। এমন সময় আসছে, যখন আমাদের আগে দেখতে হবে, কোন রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।”

তাদের আশঙ্কা, ”প্যারিসে শীঘ্রই সব আইসিইউ ভর্তি হয়ে যাবে। এরপর একটি আইসিইউ বেডের জন্য দুই বা তার থেকে বেশি রোগী দাবিদার হবেন। তখন আমাদের দেখতে হবে, কাকে আমরা চিকিৎসা করে বাঁচাতে পারব। আর কাকে ভর্তি করব না। এই পরিস্থিতির দিকেই আমরা এগোচ্ছি।”

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)