ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্সে মেয়র ডেভিড মার্টির সাথে শাহাবুদ্দিন শুভ’র সৌজন্য সাক্ষাৎ : ঐতিহ্যবাহী রিক্সা উপহার

  • আপডেট সময় ০৭:৩০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞপ্তি :ফ্রান্সের লুতখুজু (Le Creusot) শহরের মেয়র ডেভিড মার্টি (David Marti)-এর সাথে বাংলাদেশি সাংবাদিক, গবেষক ও সামাজিক কর্মী শাহাবুদ্দিন শুভ’র সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পূর্বনির্ধারিত এ সাক্ষাৎটি মেয়রের কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়।

সাক্ষাতের শুরুতে শুভ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে একটি ক্ষুদ্রাকৃতির রিক্সা রেপ্লিকা মেয়রকে উপহার দেন। এই অনন্য উপহার পেয়ে মেয়র আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ইউরোপের সমাজে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

আলোচনার সময় মেয়র ডেভিড মার্টি বলেন, “শুভ ফরাসি সমাজে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরছেন, যা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় কাজ।”

শুভ আলোচনায় বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় মেয়র শুভকে এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতের নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ দেন।

উল্লেখ্য, শাহাবুদ্দিন শুভ প্রায় এক বছর ধরে ফ্রান্সে বসবাস করছেন। তিনি সিলেটপিডিয়ার প্রধান সম্পাদক ও অভিবাসন পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি ফ্রান্সে মূলধারার সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। শহরের নানা বিষয় নিয়ে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে নিয়মিত ফিচার লিখছেন, যা ইতোমধ্যে ফরাসি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং লুতখুজু মেয়র অফিসের অফিশিয়াল পেজেও তার লেখা শেয়ার করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ জুলাই লুতখুজু মেয়র অফিস থেকে শাহাবুদ্দিন শুভকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি প্রশংসাপত্র পাঠানো হয়, যা তার কাজের প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের স্বীকৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের সংস্কৃতির সেতুবন্ধন রচনায় শাহাবুদ্দিন শুভ’র এই উদ্যোগ দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শাহাবুদ্দিন শুভ বলেন,“আজ আমার জন্মদিনে মেয়রের আমন্ত্রণে তার অফিসে গিয়ে নিজের ও দেশের কথা বলার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সত্যিই এক ভিন্ন অনুভূতি। আমি যেখানে থাকি না কেন, সবসময় চাই বাংলাদেশের কথা, আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে।”

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ফ্রান্স বিএনপির স্থবিরতা নিয়ে হতাশ কর্মী সমর্থকরা

ফ্রান্সে মেয়র ডেভিড মার্টির সাথে শাহাবুদ্দিন শুভ’র সৌজন্য সাক্ষাৎ : ঐতিহ্যবাহী রিক্সা উপহার

আপডেট সময় ০৭:৩০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিজ্ঞপ্তি :ফ্রান্সের লুতখুজু (Le Creusot) শহরের মেয়র ডেভিড মার্টি (David Marti)-এর সাথে বাংলাদেশি সাংবাদিক, গবেষক ও সামাজিক কর্মী শাহাবুদ্দিন শুভ’র সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পূর্বনির্ধারিত এ সাক্ষাৎটি মেয়রের কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়।

সাক্ষাতের শুরুতে শুভ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে একটি ক্ষুদ্রাকৃতির রিক্সা রেপ্লিকা মেয়রকে উপহার দেন। এই অনন্য উপহার পেয়ে মেয়র আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ইউরোপের সমাজে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

আলোচনার সময় মেয়র ডেভিড মার্টি বলেন, “শুভ ফরাসি সমাজে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরছেন, যা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় কাজ।”

শুভ আলোচনায় বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় মেয়র শুভকে এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতের নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ দেন।

উল্লেখ্য, শাহাবুদ্দিন শুভ প্রায় এক বছর ধরে ফ্রান্সে বসবাস করছেন। তিনি সিলেটপিডিয়ার প্রধান সম্পাদক ও অভিবাসন পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি ফ্রান্সে মূলধারার সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। শহরের নানা বিষয় নিয়ে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে নিয়মিত ফিচার লিখছেন, যা ইতোমধ্যে ফরাসি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং লুতখুজু মেয়র অফিসের অফিশিয়াল পেজেও তার লেখা শেয়ার করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ জুলাই লুতখুজু মেয়র অফিস থেকে শাহাবুদ্দিন শুভকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি প্রশংসাপত্র পাঠানো হয়, যা তার কাজের প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের স্বীকৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের সংস্কৃতির সেতুবন্ধন রচনায় শাহাবুদ্দিন শুভ’র এই উদ্যোগ দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শাহাবুদ্দিন শুভ বলেন,“আজ আমার জন্মদিনে মেয়রের আমন্ত্রণে তার অফিসে গিয়ে নিজের ও দেশের কথা বলার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সত্যিই এক ভিন্ন অনুভূতি। আমি যেখানে থাকি না কেন, সবসময় চাই বাংলাদেশের কথা, আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে।”