ডেস্ক: ফ্রান্স আওয়ামী লীগের কিছূ বিতর্কিত নেতার ছ্রত্রছায়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন প্রচারনা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সরকার বিপুল পরিমান অর্থ আদায় করছে বলে ফেসবুকে প্রচারনা চালাচ্ছে কিছূ ব্যক্তি। এসবের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে সরকারের ভাবমুর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে।
জানা যায়, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের বিতর্কিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমেন বড়ুয়া লিটন এবং কিছু কর্মী বিএনপি সমর্থিত সংখ্যালঘুদের সংগঠন হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান ঐক্য ফ্রন্টের নেতা কর্মীদের নিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সরকার বিরোধী মানব বন্ধন করে। এ মানববন্ধন থেকে সরকার বিরোধী নানা প্রচারনা চালানো হয়।
তথ্য মতে, গত ১৪ মে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ইউরোপের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউরোপিয়ান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমরেন্দ্র রায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৌমেন বড়ুয়া লিটন।
ইউরোপীয়ান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমরেন্দ্র রায় গত ৩০ মে নিজের ফেসবুক থেকে সরকার বিরোধী নানা প্রচারনা চালান। সেখানে তিনি লিখেন, ‘দীর্ঘ দিন যাবত মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হেফাজতি সম্পর্ক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে মানুষের মনে যে সংশয় ছিলো এ রিপোর্টে তা সত্য প্রমান পাবেন দেশবাসী’। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর মোনাজাতরত অবস্থার একটি ছবি ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করেন।
একই দিন অমরেন্দ্র রায় আবার লিখেন,‘ধিক্কার জানাই এমন রাষট প্রধান কে। রহিঙগাদের নিয়ে সর্বকালের মোনাফার ব্যবসা করেছে বাংলাদেশ। সংখ্যালঘুদের নির্যাতন সরকারের এক ধরনের দলীয় আরজানডা যার জন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সরকার দিচ্ছে না’। সে স।ট্যটাসের নীচে প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘ সংখ্যা লঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি বাংলাদেশ’ নামক একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করে।
৩০ মে বাংলাদেশে সংখ্যালঘূদের নির্যাতনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ কামনা করে স্ট্যাটাস দেন এ অমরেন্দ্র রায়।
এছাড়া একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যঙ্গ করে মানবতার জননী নামে কিছু স্ট্যটাস দেন এ অমরেন্দ্র রায়।
অমরেন্দ্র রায়ের এসব সরকার বিরোধী উস্কানীমুলক স্ট্যাটাস ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে বিরুপ প্রভাব ফেলছে বলে অনেকে মনে করেন। এর ফলে সাধারন জনতা সরকারের সকল অর্জনকে নেতিবাচকভাবে গ্রহন করবে বলে অনেকে জানান।
সৌমেন বড়ুয়া লিটন ফ্রান্সে বসবাসরত বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর মাঝে একজন ধিকৃত ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে নানা অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে মেরী দি ক্লিসির এক বড়ুয়ার বাসায় ১০ ভরি স্বণ চুরি করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে সালিশ হয়েছিল। ঐ সালিশে তাপস বড়ুয়া রিপন, দেবেশ বড়ুয়া, মনতোষ বড়ুয়া সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। চুরির অপরাধে তাকে ফ্রান্সের বৌদ্ধ সমাজ বয়কট করে আসছে।
সেয়মেন বড়ুয়ার এরকম অপকর্মের একাধিক প্রমান পাওয়া গেছে। বর্তমান ফ্রান্স আওয়ামী লীগের ব্যানারে নে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলেও সরকার বিরোধী নানা প্রচারনার কারনে তার রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে সন্দেহ ঘনীভুত হচ্ছে।
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্রান্স আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় সরকার বিরোধী প্রচারনা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ