ফেরদৌস করিম আখনজীঃ ফ্রান্স দর্পণ টিম গেল বছরে কমিউনিটিতে নিজেদের কর্মের মাধ্যমে মানুষের মনে কার্যকর প্রভাব বিস্তার করা ৫ টি প্রতিষ্ঠান ও তাদের পেছনের কারিগরকে নির্বাচন করেছেন। আমাদের উদ্দেশ্য মানুষের কাজের ন্যুনতম স্বীকৃতি দেয়া যাতে, সমাজের সেবায় অন্যরা এগিয়ে আসে। গেল বছর সমাজ সেবায় বিভিন্ন ফেইস গ্রুপ জোরালো ভূমিকা পালন করেছে। তারা কেবল ফেইসবুকে সীমাবদ্ধ না থেকে তাদের বিভিন্ন সেবা সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন। এসব গ্রুপ ধীরে ধীরে নিজেদের একেকটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে দাড় করাতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে তারা ফ্রান্সের কমিউনিটির প্রচলিত সামাজিক সংগঠনগুলোকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। এখন মানুষ বিভিন্ন সমাজ কল্যাণ সংঠনের চেয়ে এসব গ্রুপ কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিক কার্যকর ও বিশ্বস্ত মনে করছে।
দেখা যাক ২০১৯ সালে ফ্রান্স দর্পণের চোখে কারা শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পারফর্মার
ফ্রান্স-বাংলা সেন্টার ফর কমিউনিকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এফবিসিসিডি) ঃঃ ফেইসবুক গ্রুপ ফ্রান্স-বাংলা সেন্টার ফর কমিউনিকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ( এফবিসিসিডি) গ্রুপটি আগ্রহীদের প্রশ্নের উত্তর ও এ-বিষয়ক সমস্যার সমাধান দিয়ে গেছে বছর জুড়ে। এর পেছনের মানুষ হলেন,ফারুক নওয়াজ খান, একজন পেশাদার সাংবাদিক। ২০১৩ সালে ফ্রান্সে স্থায়ী হন। ফ্রান্সে আসার পর থেকেই এখানকার বাংলাদেশী কমিউনিটি উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
গত বছর জুড়ে তিনি এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের ফরাসি ভাষা শিক্ষা ও নাগরিকত্ব নিয়ে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশীদের ফরাসী নাগরিকত্ব গ্রহণে আগ্রহী করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নাগরিকত্ব গ্রহণের পূর্ব শর্ত হিসাবে টিসিএফ কোর্সের জন্য প্রস্তুত করা, নাগরিকত্ব ইন্টারভিউয়ে সম্ভাব্য প্রশ্ন ও তার উত্তর তৈরি করে সবার মাঝে বিনামূল্যে সরবরাহ করা।
এসব বিষয় নিয়ে তিনি বছর জুড়ে অনলাইন ও সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সহযোগিতা করেন।
এবিষয়ে কমিউনিটিকে সেবা দিতে গড়ে তুলে ফেইসবুক গ্রুপ ফ্রান্স-বাংলা সেন্টার ফর কমিউনিকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ( এফবিসিসিডি)। এগ্রুপের মাধ্যমে আগ্রহীদের প্রশ্নের উত্তর ও এ-বিষয়ক সমস্যার সমাধান দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য ফ্রান্স দর্পণের গত বছরের শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পারফর্মার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ফারুক নওয়াজ খান ও তার প্রতিষ্ঠিত ফেইসবুক গ্রুপ ফ্রান্স-বাংলা সেন্টার ফর কমিউনিকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এফবিসিসিডি)।
বিসিএফঃ বিসিএফ ফ্রান্সের বাংলাদেশী কমিউনিটির কাছে অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় ফেইসবুক গ্রুপ। গত বছর গ্রুপটি একটি সংগঠন হিসাবে আত্মপ্রকাশের পাশাপাশি নিজস্ব অফিসে সীমিত আকারে তাদের সেবা কার্যক্রম শুরু করা করেছে। সে সেন্টার থেকে তারা ফ্রান্সের প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য এ গ্রুপ ও তার প্রতিষ্টাতা মোঃ নূর ফ্রান্স দর্পণের গেল বছরের শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পারফর্মার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে স্থান করে নিয়েছে।
এ গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। তাদের রয়েছে একটি শক্তিশালী কর্মী বাহিনী। ভাল টিম ওয়ার্ক থাকায় সহজেই তারা যেকোন কর্মসূচি বাস্থবায়ন করতে পারে। যেমন ফ্রান্সে নতুন আসা অনেক পরিবার তাদের বিপদে এই গ্রুপের সহযোগিতা পেয়েছে। ২০১৯ ছিল বি সি এফের একটি গুরত্বপূর্ন বছর। ২০১৯ সালের মে মাসে বি সি এফ তার সেবা কাজ পরিচালনার জন্য বি সি এফ হেল্প সেন্টার চালু করে। বিসিএফের দাবী, গত বছর তারা প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশীকে কাজ পেতে সরাসরি সহযোগিতা প্রদান করেন। বি সি এফ হেল্প সেন্টার চাকুরী খোঁজার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২০০-২৫০ এর মতো সিভি এবং ৫০ টির অধিক মোটিভেশন লেটার বানিয়ে দিয়ার কথা বলেন তারা।
গতবছর প্রায় ৪০ জন বাংলাদেশী এবং ফরাসী বংশোদ্ভূত বাংলাদেশী কৃতি শিক্ষার্থীদের বিসিএফ এর পক্ষ থেকে সম্মাননা এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশী দের নানাবিধ সমস্যা বিশেষ করে ভিনদেশি দুস্কৃতিকারীদের দ্বারা হামলা ও ছিনতাই বিষয়গুলি অবহিতকরন ও আশু সমাধানের লক্ষ্যে ফ্রেঞ্চ পার্লামেন্ট মেম্বারদের সাথে সাক্ষাত করে।
ফ্রান্স দর্পণের বিভিন্ন জরীপে গ্রুপটি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে।
শ্রমিক গ্রুপঃঃ ফ্রান্স দর্পণের গত বছরের শ্রেষ্ঠ পার্ফমার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্থান পেয়েছে “শ্রমিক গ্রুপ” ও তার প্রতিষ্ঠাতা আবু হাসান। গ্রুপটি গড়ে উঠার পেছনের কারন খুজতে গিয়ে জানা যায় চমকপ্রদ কিছু তথ্য। ২০১৭ সালে Ubereats নিয়ে একটি অসাধু চক্র আইডি খুলার বিনিময়ে ১৩০ থেকে ১৫০ ইউরো পর্যন্ত নিয়ে নিচ্ছে স্বদেশী ভাইদের কাছ থেকে। সাধারণ মানুষের অগোচরে ১৫০ ইউরোর বাইরেও Parrainage কোড মেরে Uber থেকে হাতিয়ে নিতো আরো ৭০ ইউরো। আর এমন মুনাফাখুরদের রুখতেই এগিয়ে আসেন এক তরুন, আবু হাসান। তার বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে। ২০১০ সালে অল্প বয়সে ফ্রান্সে আসায় দ্রুত ফরাসি ভাষা রপ্ত করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্স নিয়ে নিজের কেরিয়ার গঠন করেন। এদিকে রেষ্টুরেন্টে কাজের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে Ubereats এ ডেলিবারি কাজের সুবাদে এ বিষয়ে প্রচুর দক্ষতা অর্জন করেন তুনি। মূলত উবার ইটস নিয়ে গড়ে উঠা
দালালচক্রকে দূর্বল করতেই “ফ্রান্সে বাংলাদেশী শ্রমিক গ্রুপ” এর আবির্ভাব, বলছিলেন আবু হাসান। আর এ গ্রুপের মাধ্যমেই প্রচারণা চালান Auto entrepreneur, Ubereats, Deliveroo, Glovo, Nestor সহ বিভিন্ন কোম্পানিতে একাউন্ট খুলার নিয়ম কানুন নিয়ে। ধীরে ধীরে মানুষের মনে সাহস আনতে সক্ষম হন, দালাল ছাড়াই নিজে নিজেই আইডি খুলার, এ দাবি করেন আবু হাসান। সময়ের সাথে সাথে ব্যতিক্রমী এ গ্রুপে লোক সংখ্যা বাড়তে থাকে, মূল গ্রুপের বাহিরেও দক্ষ লোক দ্বারা মেসেনজারে গড়ে উঠে #FBSG কার্যকরী কমিটি। মোট সাত হাজার মেম্বার নিয়ে শ্রমিক গ্রুপের ব্যানারে গড়ে তুলা হয় আরো তিনটি শাখা:
১/ #FBSG Bénévolat
2/ #FBSG Cricket team
3/ #FBSG travel team
এই তিনটি শাখা নিয়ে গত বছর একাধিকবার সিভি লিখে দিয়েছি ২০০ এর উপরে, মোটিভেশন লেটার দিয়েছি ৫০ এর উপরে, একাধিক ক্রিকেট টুনামেন্ট আয়োজন করেছি বিনা এন্টি-ফি তে।
ফ্রান্সে নবাগতদের ডেলিবারির কাজ শিখাতে বিনা মূল্যেই বাইক চালানো শিখিয়েছে গ্রুপটি।
ফ্রেঞ্চ কিচেন শিখাচ্ছেন তারা একদম বিনা পারিশ্রমিকে।
এছাড়া ফরাসী নাগরিকত্ব আবেদনের নিয়ম-কানুন মানুষের কাছে পৌছে দেয়া ও সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ তৈরীতে ফারুক নেওয়াজ খানকে নিয়ে প্রগ্রাম করেন শ্রমিক গ্রুপ।
শ্রমিক গ্রুপের কর্ণধার আবু হাসান সিলেট জেলের বিয়ানী বাজারে বাড়ি আমার। ফ্যামেলির বড় ছেলে হিসেবে পরিবারের হাল ধরতে ২০১০ সালের শেষ দিকেতে আমি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্রান্সে পা রাখি।
এমসি ইন্সটিটিউটঃ ফ্রান্সের পাশের দেশ ব্রিটেনে দশকের পর দশক ধরে বাস করে আসছেন বাংলাদেশীরা। ফলে সেখানে গড়ে উঠেছে বহু বাংলাদেশী পরিচালিত ইসলামী প্রতিষ্ঠান। যেখানে মূল সিলেবাসের মধ্যে থেকেও শিশু-কিশোরদের ইসলামি ও বাংলা শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। সেদিক থেকে ফ্রান্সে এ ধরনের কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না। এমসি ইন্সটিটিউটই এমন প্রথম বাংলাদেশী শিক্ষালয় যেখানে মূল ধারায় থেকে ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা শিক্ষা প্রদান করা হয়। অনেক দিন থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হলেও গত বছরই প্রতিষ্ঠানটি প্যারিসের পার্শ্ববর্তী সার্সেলে তাদের ভাড়া করা ভবনে কার্যক্রম চালু করে। এজন্য ফ্রান্স দর্পণের চোখে গেল বছরের শ্রেষ্ঠ পার্ফরমার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের একটি নির্বাচিত হয়েছে প্রতিষ্ঠান ও তার পরিচালক বদরুল-বিন হারুন।
প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য মানুষের মূল্যবোধকে শানিত করা,আর্ত মানবতার সেবা এবং ফ্রান্স সহ ইউরোপের পরবর্তী প্রজন্মকে নিজেদের সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে দেওয়া।
এ প্রতিষ্টানে বাংলা ,আরবি ও ইংরেজি মাধ্যমে সম্পূর্ণ সিলেবাস ভিত্তিক পাঠ্যসূচি সাজানো হয়েছে, এখানে বাংলা, আরবি, ফরাসি ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী অভিজ্ঞ শিক্ষক, তাদের ছাত্রদের পাঠ দান করেন। তারা দাবী করেন, এখানে ৪/৫ বছরের সফল শিক্ষা গ্রহণ শেষে এক জন ছাত্র আলেম হিসেবে গড়ে উঠা সম্ভব। তারা প্রতিষ্ঠানটি দেশ-বিদেশের সর্বোচ্চ সনদ প্রাপ্ত আলেমদের দ্বারা পরিচালনার স্বপ্নের কথা বলেন।এছাড়া তারা বয়ষ্ক শিক্ষার বিশেষ কোর্স (আরবি ও ফরাসি) চালু করার পরিকল্পনার কথাও জানান।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বদরুল বিন হারুন ২০০৩ সালে কর্ণেল গাদ্দাফী বৃত্তি নিয়ে লিবিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এ অনার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।এরপর ২০০৫ সালে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাশ করেন। এরপর সিলেটের জালালাবাদ ইউনিভারসিটি কলেজে ইসলামিক স্টাডিজের লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ২০০৮ সালে ফ্রান্সে আসেন। এখানে আসার পর থেকেই তিনি বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের ইসলামি ও বাংলা শিক্ষার বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্টা করেন ইসলামিক ইন্সটিটিউট ফ্রান্স। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গেল বছর বাংলাদেশি অধ্যুষিত গার্জ সার্সেলে এম সি ইনিস্টিটিউট নিজস্ব কেম্পাসে তাদের পাঠদান শুরু করে।
কমিউনিটির অনেকের কাছে এটি বাংলাদেশি শিশু কিশুরদের নৈতিক শিক্ষার আশার বাতিঘর হবে।
ফ্রঁন্সে আভেক রাব্বানীঃ ২০১২ সালে ইউটিউবে ভিডিও দিয়ে শুরু ফ্রসে আভেক রাব্বানী, বর্তমান অফিওরা নামে পরিচিত। ছোট্ট একটি টেক্সী ফোন থেকে শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দ্বিতল ভবনে চালাচ্ছে তার কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, প্রতিদিন তারা গড়ে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে নানা ধরনের সেবা দিয়ে থাকেন। এরমধ্যে ৯০ শতাংশই প্রতিষ্ঠানের সামাজিক কাজ বা বিনামূল্যে সেবা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে শুধু বাংলাদেশী নয়, অন্যান্য কমিউনিটির মানুষও এই প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা পাচ্ছেন। গেল বছর জুড়ে প্রতিষ্ঠানটি তার নানামুখী কার্যক্রম নিয়ে কমিউনিটিতে আলোচনায় ছিল। তাই ফ্রান্স দর্পণের বছর সেরা পারফর্মার ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানে স্থান করে নিয়েছে ওফিওরা ও তার পরিচালক রাব্বানী খান।
প্রসংগত, এ বছরের ১৪ জানুয়ারি অফিস পরিদর্শন করতে এসে ওবেরভিলিয়ের মেয়র বলেন : আমাদের শহরে এই প্রতিষ্ঠান এভাবে পরিচালিত হচ্ছে দেখে আমি গর্বিত। কোন প্রকার সরকারি সহায়তা ছাড়াই এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি অনুকরণীয়, বলছিলেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রাব্বানী খান।
অনুকরনীয় এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা রব্বানী খান ২০০৬ সালে মায়ের সাথে ফ্রান্সে আসে বাবার কাছে। ২০০৮ থেকেই কমিউনিটির জন্য কিছু করার ইচ্ছেটা ডানা মেলে ২০১২ সালে।
ফ্রঁন্সে আবেক রাব্বানী ঃ ২০১২ সালে ইউটিউবে ভিডিও দিয়ে শুরু ফ্রসে আভেক রাব্বানী, বর্তমান অফিওরা নামে পরিচিত। ছোট্ট একটি টেক্সী ফোন থেকে শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দ্বিতল ভবনে চালাচ্ছে তার কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, প্রতিদিন তারা গড়ে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে নানা ধরনের সেবা দিয়ে থাকেন। এরমধ্যে ৯০ শতাংশই প্রতিষ্ঠানের সামাজিক কাজ বা বিনামূল্যে সেবা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে শুধু বাংলাদেশী নয়, অন্যান্য কমিউনিটির মানুষও এই প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা পাচ্ছেন। গেল বছর জুড়ে প্রতিষ্ঠানটি তার নানামুখী কার্যক্রম নিয়ে কমিউনিটিতে আলোচনায় ছিল। তাই ফ্রান্স দর্পণের বছর সেরা পারফর্মার ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানে স্থান করে নিয়েছে ওফিওরা ও তার পরিচালক রাব্বানী খান।
প্রসংগত, এ বছরের ১৪ জানুয়ারি অফিস পরিদর্শন করতে এসে ওবেরভিলিয়ের মেয়র বলেন : আমাদের শহরে এই প্রতিষ্ঠান এভাবে পরিচালিত হচ্ছে দেখে আমি গর্বিত। কোন প্রকার সরকারি সহায়তা ছাড়াই এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি অনুকরণীয়, বলছিলেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রাব্বানী খান।
অনুকরনীয় এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা রব্বানী খান ২০০৬ সালে মায়ের সাথে ফ্রান্সে আসে বাবার কাছে। ২০০৮ থেকেই কমিউনিটির জন্য কিছু করার ইচ্ছেটা ডানা মেলে ২০১২ সালে।