নজমুল কবিরঃ ফ্রান্স দর্পণে আমরা আমাদের ভেতর-বাহির দেখবো। কমিউনিটির উত্থান পতন, সাফল্য ব্যর্থতা, ভাল দিক খারাপ দিক – সবকিছু তুলে ধরবো। ফ্রান্স তথা ইউরোপের অভিবাসনের এবং ইউরোপীয় জীবন ব্যবস্থায় অভিযোজন প্রক্রিয়ায় শিকর সন্ধানে হাবুডুবু খাওয়া প্রজন্মের আত্মপরিচয়ের সন্ধানে ভূমিকা রাখবে ফ্রান্স দর্পণ।
এদেশে আমাদের আজকের কতিপয় সাফল্য পূর্বাগত অভিবাসীদের কষ্টকর জীবনের পথ বেয়ে আসা। আজকের প্রজন্মের কাছে সেসব সুদক্ষ লেখকের কোনো গল্প বা উপন্যাসের খন্ডাংশ, শ্রম-ঘামে গড়া গল্পের প্লট। এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গল্পের প্লট আমাদের উদীয়মান সূর্যের ভিত্তিভূমি। ফ্রান্স দর্পণ এইসব সমৃদ্ধ জীবনের গল্প তুলে আনবে। সাফল্যের গল্প থেকে শক্তি শক্তি সঞ্চার করবে, আর ব্যর্থতা থেকে শুধরে নেবার পাঠ নেবে। এভাবেই কমিউনিটি ধীরে ধীরে শানিত হবে। ফ্রান্স দর্পণ তা ধারণ করবে।
ফ্রান্স দর্পণ পত্রিকা আয়োজিত ‘পরিচিতি ও পরামর্শ বৈঠক’ শীর্ষক আলোচনার পুরোটাই ওঠে এসেছে উপরোক্ত কথামালা। পত্রিকার পরামর্শক প্যানেলের সাথে পরিচয়পর্বে তাদের সুচিন্তিত পরামর্শ প্রদানে আলোচকগন ‘ফ্রান্স দর্পণ’ পত্রিকাকে ইউরোপের শীর্ষ জনপ্রিয় পত্রিকায় রূপান্তরে তাদের আগ্রহের কথা জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দাপটে প্রিন্ট ভার্সন তাদের অস্তিত্বের সংকটের যুদ্ধে লিপ্ত। কিন্তু প্রিন্ট ভার্সনের যে একটি আলাদা অনুভূতি, আলাদা গন্ধ, ছুঁয়ে দেখে, উল্টে পাল্টে দেখার যে একটি তৃপ্তি সেটিকে সমূলে উৎপাটন অসম্ভব। তাইতো এখনও প্রিন্ট ভার্সনের পত্রিকার এখনও কদর আছে। তবে এটিকে পাঠক-বন্ধু হিসেবে গড়ে তুলতে কেবল প্রিন্ট ভার্সনে সীমিত থাকলে চলবে না। বরং ডিজিটাল এবং সামাজিক নানা প্লাটফর্মে ফ্রান্স দর্পণ তার উপস্থিতি নিশ্চিত করবে। উপদেষ্টারা সেই অগ্রাভিজানে সংগী হবে।
ফ্রান্স দর্পণ উপদেষ্টামন্ডলী আজ তাদের অলআউট সাপোর্ট দেবার অঙ্গীকার করেছে আজকের পরিচিতি ও পরামর্শ সভায়। প্যারিসের একটি রেস্তোরায় এই পরিচিতি সভার আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন পত্রিকার সম্পাদক মোঃ শামসুল ইসলাম। পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ফেরদৌস করীম আখঞ্জীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বার্তা সম্পাদক নজমুল কবির।
উপদেষ্টাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ উত্তম বড়ুয়া, ফারুক খান, শাহীন আরমান চৌধুরী, তওফিকা শাহেদ, আজাদ মিয়া, বদরুল বিন হারুণ, মুহিবুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত থাকা ফ্রান্স দর্পণ পত্রিকার প্রকাশকের বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়৷ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এমডি কাওসার আহমেদ, বিজ্ঞাপন ম্যানেজার ও একাউন্ট্যান্টকে পত্রিকার ব্যাজ পড়িয়ে দেয়া হয়।