ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ল্যুভর জাদুঘরে চুরি ফ্রান্সে “আশা এবং আমার সংগ্রাম” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা দেড় হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১২তম মুসলিম চ্যারিটি রান বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করণীয় তরুণদের বিদেশমুখিতা: সুযোগ না সংকট? ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এক সতর্কবার্তা”

ফ্রান্স প্রবাসীদের নিরাপত্তা সংকট ঃ দরকার দূতাবাসকে সংগে নিয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ

  • আপডেট সময় ০৩:২০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০১৯
  • ৪৩০ বার পড়া হয়েছে

নিঃসন্দেহে ফ্রান্স বিশ্বের সবচেয়ে মানবতাবাদী দেশগুলির অন্যতম। আর তাদের মহানুভবতা ও মানবতাবাদী আইনের ফাঁক দিয়ে,আফ্রিকা ও মাগরেব অঞ্চল থেকে আগত ও আশ্রিত অভিবাসীদের বয়সে অপেক্ষাকৃত তরুণ একটি অংশ জড়িয়ে পড়েছে ছিনতাই, চুরি ডাকাতির মত নানা অপরাধে। আর এসব ছিচকে অপরাধীদের প্রধান টার্গেটে পরিনত হতে চলেছেন সেখানকার বাংলাদেশী অভিবাসীরা। মূলত নিরিহ টাইপ অথচ পরিশ্রম লব্ধ টাকা, মোবাইল বা মূল্যবান জিনিস পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই বাংলাদেশী অভিবাসীরা টার্গেটে পরিনত হয়েছেন। উপরন্তু রয়েছে প্রবল ভাষাগত দূর্বলতা। পক্ষান্তরে বিভিন্ন সাবেক ফরাসী কলনি থেকে আসা এসব অপরাধীরা ফ্রেঞ্চ ভাষায় বিশেষ পারদর্শী। ফলে একদিকে বাংলাদেশীরা পুলিশের কাছে যে কোন ঘটনার পূর্বাপর বর্ননা দিতে যেমন দূর্বল বা অনেকাংশে সেখানে বসবাসের প্রয়োজনীয় বৈধতার প্রশ্ন আসার ভয়ে তটস্থ অন্যদিকে অপরাধীরা ভাষা দক্ষতায় কাল্পনিক কাহিনীর মাধ্যমে সহজেই পুলিশের কাছ থেকে প্রাথমিক ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় দিন দিন এসব অপরাধ বেড়েই চলেছে। একসময় বাংলাদেশী প্রবাসীরা কেবল রাস্তায় ছিনতাই, চুরি বা হামলার শিকার হতেন এখন এ অপরাধ চক্র অস্ত্রসহ বাসায় এসে হানা দেয়ার সাহস দেখাচ্ছে! সর্বশেষ গত ৩০ মে রাতে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাত দল বাসায় ঢুকে বাসার মালিকসহ অন্যান্য সদস্যদের বেধে মারধর করে সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যায়। এসব আক্রমনে এদিকে যেমন প্রবাসীরা কষ্টার্জিত অর্থ-সম্পদ হারাচ্ছেন তেমনি স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ! দূর্ভাগ্যবশতঃ এখানকার দূতাবাসের কোন বিকার নেই তাতে। আবার বহুধা বিভক্ত কমিউনিটি এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ হয়েছে।
ফ্রান্সের বাংলাদেশী সাংবাদিকদের সংগঠন প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাব (অধুনা ফ্রান্স-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নামে পরিবর্তিত) বিভিন্ন সময় অবস্তান কর্মসূচি, মানব বন্ধন বা স্মারকলিপির মাধ্যমে সাধারণ প্রবাসীদের নিয়ে প্রতিবাদের চেষ্টা করেছে। পুলিশের সাথে বিভিন্ন বৈঠকে এ প্রতিবেদকের উপস্থিত থেকে আলোচনা করার অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়।
প্যারিসে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল থেকে আগত অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করেন এমন দুই জন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মনে করেন, এ সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিতে হবে বাংলাদেশ দূতাবাসকে। এ ব্যাপারে দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন বললেও বাস্তবে কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি।
প্রবাসী বিভিন্ন সংঘটন অনেক সময় লোক দেখানো কিছু প্রশাসনিক বৈঠকের কথা বললেও তার মিডিয়া দর্শন ছাড়া বিশেষ কিছু নয়।
সাধারণ প্রবাসীরা মনে করছেন, এ ধরনের সমস্যা সমাধানে দূতাবাস ও প্রবাসীরা মিলে দ্রুত কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশী প্রবাসী নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়বে।

শামসুল ইসলাম, সম্পাদক, ফ্রান্স দর্পণ

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ফ্রান্স প্রবাসীদের নিরাপত্তা সংকট ঃ দরকার দূতাবাসকে সংগে নিয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ

আপডেট সময় ০৩:২০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০১৯

নিঃসন্দেহে ফ্রান্স বিশ্বের সবচেয়ে মানবতাবাদী দেশগুলির অন্যতম। আর তাদের মহানুভবতা ও মানবতাবাদী আইনের ফাঁক দিয়ে,আফ্রিকা ও মাগরেব অঞ্চল থেকে আগত ও আশ্রিত অভিবাসীদের বয়সে অপেক্ষাকৃত তরুণ একটি অংশ জড়িয়ে পড়েছে ছিনতাই, চুরি ডাকাতির মত নানা অপরাধে। আর এসব ছিচকে অপরাধীদের প্রধান টার্গেটে পরিনত হতে চলেছেন সেখানকার বাংলাদেশী অভিবাসীরা। মূলত নিরিহ টাইপ অথচ পরিশ্রম লব্ধ টাকা, মোবাইল বা মূল্যবান জিনিস পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই বাংলাদেশী অভিবাসীরা টার্গেটে পরিনত হয়েছেন। উপরন্তু রয়েছে প্রবল ভাষাগত দূর্বলতা। পক্ষান্তরে বিভিন্ন সাবেক ফরাসী কলনি থেকে আসা এসব অপরাধীরা ফ্রেঞ্চ ভাষায় বিশেষ পারদর্শী। ফলে একদিকে বাংলাদেশীরা পুলিশের কাছে যে কোন ঘটনার পূর্বাপর বর্ননা দিতে যেমন দূর্বল বা অনেকাংশে সেখানে বসবাসের প্রয়োজনীয় বৈধতার প্রশ্ন আসার ভয়ে তটস্থ অন্যদিকে অপরাধীরা ভাষা দক্ষতায় কাল্পনিক কাহিনীর মাধ্যমে সহজেই পুলিশের কাছ থেকে প্রাথমিক ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় দিন দিন এসব অপরাধ বেড়েই চলেছে। একসময় বাংলাদেশী প্রবাসীরা কেবল রাস্তায় ছিনতাই, চুরি বা হামলার শিকার হতেন এখন এ অপরাধ চক্র অস্ত্রসহ বাসায় এসে হানা দেয়ার সাহস দেখাচ্ছে! সর্বশেষ গত ৩০ মে রাতে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাত দল বাসায় ঢুকে বাসার মালিকসহ অন্যান্য সদস্যদের বেধে মারধর করে সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যায়। এসব আক্রমনে এদিকে যেমন প্রবাসীরা কষ্টার্জিত অর্থ-সম্পদ হারাচ্ছেন তেমনি স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ! দূর্ভাগ্যবশতঃ এখানকার দূতাবাসের কোন বিকার নেই তাতে। আবার বহুধা বিভক্ত কমিউনিটি এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ হয়েছে।
ফ্রান্সের বাংলাদেশী সাংবাদিকদের সংগঠন প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাব (অধুনা ফ্রান্স-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নামে পরিবর্তিত) বিভিন্ন সময় অবস্তান কর্মসূচি, মানব বন্ধন বা স্মারকলিপির মাধ্যমে সাধারণ প্রবাসীদের নিয়ে প্রতিবাদের চেষ্টা করেছে। পুলিশের সাথে বিভিন্ন বৈঠকে এ প্রতিবেদকের উপস্থিত থেকে আলোচনা করার অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়।
প্যারিসে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল থেকে আগত অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করেন এমন দুই জন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মনে করেন, এ সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিতে হবে বাংলাদেশ দূতাবাসকে। এ ব্যাপারে দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন বললেও বাস্তবে কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি।
প্রবাসী বিভিন্ন সংঘটন অনেক সময় লোক দেখানো কিছু প্রশাসনিক বৈঠকের কথা বললেও তার মিডিয়া দর্শন ছাড়া বিশেষ কিছু নয়।
সাধারণ প্রবাসীরা মনে করছেন, এ ধরনের সমস্যা সমাধানে দূতাবাস ও প্রবাসীরা মিলে দ্রুত কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশী প্রবাসী নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়বে।

শামসুল ইসলাম, সম্পাদক, ফ্রান্স দর্পণ