জনৈক সাইফুল ইসলাম,মান্নান লেখাটি পাটিয়েছেন,ফ্রান্স দর্পনের কাছে। তার লেখাটি কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশ করা হল।
আমরা ফ্রান্স বিএনপির সম্মানিত নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ সদস্যগণ দীর্ঘদিন ধরে অনুভব করছি যে, প্রবাসী নেতাকর্মীদের মধ্যে সাংগঠনিক স্থবিরতা, বিভাজন এবং হতাশা দেখা দিয়েছে। মূল কারণ হলো দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ফ্রান্স বিএনপি কমিটি গঠন না হওয়া।
১. যারা দীর্ঘকাল দলের কমিটি মানেননি, সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছেন, দলের প্রতি অনুপস্থিত থেকেছেন—তারা আজ কীভাবে আবার প্রার্থী হতে সাহস পাচ্ছেন? বিএনপি যখন দুঃসময়ে ছিল, তখন তাদের পাশে ছিল না। এখন সুবিধার সময় পদ-পদবীর লোভে আগ্রহী হওয়া কি দলের প্রতি আনুগত্য, নাকি ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি?
২. দীর্ঘকাল বিএনপি থেকে দূরে থাকা এবং বিএনপির আদর্শের বাইরে থাকা কিছু ব্যক্তি আজ আবার দলের নাম ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রার্থী হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি দলের শৃঙ্খলা এবং গ্রহণযোগ্যতাকে প্রভাবিত করছে।
৩. সদস্যপদ না থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রার্থী করার প্রক্রিয়া সুস্পষ্ট নয়। আমরা আশা করি, ফ্রান্স বিএনপি নেতৃত্ব এই বিষয়ের সুষ্ঠু ব্যাখ্যা দেবেন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবেন।
বিশেষ করে এম. এ. তাহের, কবির পাটোয়ারী, রেজাউল করিম, বুলু মিয়া ও মিল্টন সরকারের কর্মকাণ্ডের কারণে দীর্ঘ সময় কমিটি গঠন ব্যর্থ হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে দাবি জানাচ্ছি, এ ধরনের স্বার্থান্বেষী এবং সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় ফ্রান্স বিএনপির ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারময় হবে।
ফ্রান্স বিএনপি সম্মানিত নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যগণ