লন্ডন | ২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণী তাহমিনা আহমদ বৃটেনে শিক্ষা অঙ্গনে অসাধারণ এক কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। বিশ্বখ্যাত লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইন মেরি থেকে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে এমএসসি ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানঅর্জন করে তিনি গর্বিত করেছেন পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটিকে—বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেটিদের।
ধারাবাহিক সাফল্যের গল্প
গত বছর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে বিএসসি (অনার্স) ডিগ্রিতেও তাহমিনা প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। প্রতিটি বর্ষে তার গড় ফলাফল ফার্স্ট ক্লাসের উপরে ছিল। একাধিক বিষয়ে তিনি বিভাগে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত।
একাডেমিক ফলাফলের কিছু দৃষ্টান্ত
প্রথম বর্ষে:
ইকোনোমিকস ফর বিজনেস — ৯০%
ফান্ডামেন্টালস ফর বিজনেস স্টাডিজ অ্যান্ড স্কিলস — ৯৮%, ৮৬.৬%, ৮১%
ক্যারেন্ট চ্যালেঞ্জ ইন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (গ্রুপ প্রেজেন্টেশন) — ৮০%দ্বিতীয় বর্ষে:
বিজনেস ল’ — ৮৪.৯%
অপারেশন্স ম্যানেজমেন্ট — ৮১%তৃতীয় বর্ষে:
ম্যানেজিং ডাইভার্সিটি — ৭৯%
স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালাইসিস অ্যান্ড প্র্যাকটিস — ৮৩%
এমপ্লয়মেন্ট রিলেশনস — ৯০%
মেধা ও মূল্যবোধের পরিবার
লন্ডনে জন্ম নেওয়া তাহমিনার পৈত্রিক নিবাস সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বাহাড়া দুবাগ গ্রামে। তিনি বৃটেনের আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, লেখক ও নিউহ্যাম কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার নাজির আহমদ এবং কবি মিসেস সালমা আহমদের তৃতীয় সন্তান।
পরিবারের প্রতিটি সদস্যই উচ্চশিক্ষায় সাফল্যের ধারক—
বড় বোন তাসনিয়া আহমদ, এলএলবি (অনার্স) শেষে বর্তমানে সেকেন্ডারি স্কুল শিক্ষক।
মেঝো বোন ফারহানা আহমদ, লন্ডন ইউনিভার্সিটির সিটি ল’ স্কুল থেকে এলএলবি, এলএলএম ও বার-এট-ল সম্পন্ন করে লিংকন্স ইন-এর ব্যারিস্টার।
ছোট ভাই ইউসিএল-এ বিএসসি (অনার্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং একেবারে ছোট ভাই পড়ছে ব্রামটন মেনর একাডেমিতে।
উল্লেখ্য, তাহমিনার পিতা ব্যারিস্টার নাজির আহমদও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৮ বছর আগে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি সম্পন্ন করে বার-এট-ল পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছিলেন।
তাহমিনার কৃতজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য
এক প্রতিক্রিয়ায় তাহমিনা আহমদ বলেন,
“সর্বপ্রথম শুকরিয়া জানাই মহান আল্লাহপাকের প্রতি। আমার শ্রদ্ধেয় পিতামাতা, শিক্ষক ও বড় বোনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যাদের অনুপ্রেরণা ও সহায়তা ছাড়া এই অর্জন সম্ভব হতো না। আমি ভবিষ্যতে আলোকিত সমাজ ও মানবকল্যাণে ভূমিকা রাখতে চাই।”
ভবিষ্যতে তাহমিনার লক্ষ্য—মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে উচ্চপদে কাজ করা, বৃটিশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়া অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করা। তিনি সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।















