ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি” গহরপুর জামিয়ার ৬৮তম বার্ষিক মাহফিল বৃহস্পতিবার: সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হযরত শাহ জামাল (রহ.) দারুস সুন্নাহ নুরীয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার ওয়াজ ও দুয়া মাহফিল ৫ জানুয়ারি প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন বালাগঞ্জে শাহ আকিবুন নূর চৌধুরী বৃত্তি বিতরণ সম্পন্ন ফ্রান্সে প্রবাসে সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরনের পন্থা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত বালাগঞ্জে আল ইসলাহ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন স্বদেশ গমন উপলক্ষে আবু বক্করকে সংবর্ধনা প্রদান ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় ফ্রান্সে যুবদলের আনন্দ উৎসব বালাগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন : মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে ধানের শীষ

যুক্তরাজ্য-রাশিয়া উত্তেজনা

  • আপডেট সময় ০৮:১৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১৮
  • ৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্য থেকে ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরস্পর অল্টিমেটাম এবং দোষারোপের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আমরা কাউকে আল্টিমেটাম দেই না; কেউ এমন ভাষায় কথা বলুক তাও আমরা সহ্য করব না।” নেবেনজিয়া গত বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, “তোলপাড় সৃষ্টি করা এই অভিযোগের আমরা বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ চাই। প্রমাণ ছাড়া আমরা এ ঘটনাকে বিবেচনায় নিতে পারি না।” কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনাকে ‘অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও হঠকারিতামূলক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে রাশিয়া। এদিকে, পক্ষত্যাগী সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর নার্ভ গ্যাস হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার ২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার ‘সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র’ যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তের ‘সঙ্গে আছে’। যুক্তরাজ্যের মাটিতে সাবেক গুপ্তচরের ওপর হামলায় কীভাবে রাশিয়ার বানানো নার্ভ এজেন্ট ব্যবহৃত হল, মস্কো সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর মে কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘোষণা দেন বলে খবর বিবিসির। স্ক্রিপাল ও তার মেয়ের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। ৭০ ও ৮০’র দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এ সিরিজের নার্ভ এজেন্টগুলো তৈরি করেছে। যেগুলো সবচেয়ে মারাত্মক নার্ভ এজেন্ট (উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক) হিসাবে বিবেচিত। গত বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণার পর এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লন্ডনের রুশ দূতাবাস। দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের যে ক্ষতি হলো তার দায় যুক্তরাজ্যকেই বহন করতে হবে। আলেক্সান্ডার ইয়াকোভেঙ্কোএ ঘটনায় যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধেও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ইয়াকোভেঙ্কো। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত পক্ষত্যাগী সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেন থেরেসা মে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য এ ঘটনাকে হুমকি হিসেবেই বিবেচনা করছে। মঙ্গলবারের মধ্যে যদি তারা (রাশিয়া) কোনও যুক্তি দেখাতে না পারে তাহলে একে রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা হিসেবে দেখা হবে। থেরেসা মে বলেন, এটি হয়তো আমাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সরাসরি হামলা। অথবা দেশটির সরকার নিজের সামরিক বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যে মস্কোকে এই ঘটনার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন থেরেসা মে। রয়টার্স, বিবিসি, পার্সটুডে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি”

যুক্তরাজ্য-রাশিয়া উত্তেজনা

আপডেট সময় ০৮:১৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১৮

যুক্তরাজ্য থেকে ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরস্পর অল্টিমেটাম এবং দোষারোপের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আমরা কাউকে আল্টিমেটাম দেই না; কেউ এমন ভাষায় কথা বলুক তাও আমরা সহ্য করব না।” নেবেনজিয়া গত বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, “তোলপাড় সৃষ্টি করা এই অভিযোগের আমরা বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ চাই। প্রমাণ ছাড়া আমরা এ ঘটনাকে বিবেচনায় নিতে পারি না।” কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনাকে ‘অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও হঠকারিতামূলক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে রাশিয়া। এদিকে, পক্ষত্যাগী সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর নার্ভ গ্যাস হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার ২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার ‘সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র’ যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তের ‘সঙ্গে আছে’। যুক্তরাজ্যের মাটিতে সাবেক গুপ্তচরের ওপর হামলায় কীভাবে রাশিয়ার বানানো নার্ভ এজেন্ট ব্যবহৃত হল, মস্কো সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর মে কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘোষণা দেন বলে খবর বিবিসির। স্ক্রিপাল ও তার মেয়ের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। ৭০ ও ৮০’র দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এ সিরিজের নার্ভ এজেন্টগুলো তৈরি করেছে। যেগুলো সবচেয়ে মারাত্মক নার্ভ এজেন্ট (উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক) হিসাবে বিবেচিত। গত বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণার পর এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লন্ডনের রুশ দূতাবাস। দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের যে ক্ষতি হলো তার দায় যুক্তরাজ্যকেই বহন করতে হবে। আলেক্সান্ডার ইয়াকোভেঙ্কোএ ঘটনায় যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধেও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ইয়াকোভেঙ্কো। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত পক্ষত্যাগী সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেন থেরেসা মে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য এ ঘটনাকে হুমকি হিসেবেই বিবেচনা করছে। মঙ্গলবারের মধ্যে যদি তারা (রাশিয়া) কোনও যুক্তি দেখাতে না পারে তাহলে একে রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা হিসেবে দেখা হবে। থেরেসা মে বলেন, এটি হয়তো আমাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সরাসরি হামলা। অথবা দেশটির সরকার নিজের সামরিক বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যে মস্কোকে এই ঘটনার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন থেরেসা মে। রয়টার্স, বিবিসি, পার্সটুডে।