ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ল্যুভর জাদুঘরে চুরি ফ্রান্সে “আশা এবং আমার সংগ্রাম” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা দেড় হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১২তম মুসলিম চ্যারিটি রান বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করণীয় তরুণদের বিদেশমুখিতা: সুযোগ না সংকট? ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এক সতর্কবার্তা”

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ধনী ছিলেন এক মুসলমান

  • আপডেট সময় ০৪:২৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ৩০৪ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বে বর্তমানে গেটস, বেজোসরা ধনীর তালিকায় শীর্ষে থাকলেও এরা কিন্তু সর্বকালের সবচেয়ে ধনী নন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এমন এক জন যার সম্পত্তির পরিমাণের ধারে কাছেও বিল-জেফরা যেতে পারবেন না! এমনকী ইতিহাসের কোনও রাজাও ছুঁতে পারেননি না তাকে।
ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে ২০১৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আমাজনের সিইও জেফ বেজোস (১১২ বিলিয়ন ডলার)। তারপর মাইক্রোসফ‌্ট অধিকর্তা বিল গেটস (৯০ বিলিয়ন ডলার) এবং মার্কিন সংস্থা বার্কশায়ার হাথাওয়ের অধিকর্তা ওয়ারেন বাফে (৮৪ বিলিয়ন ডলার)। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ধনী মুকেশ অম্বানী (৩৯ বিলিয়ন ডলার)। আর যার কথা হচ্ছে, সর্বকালের সেই সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন? ৪০০ বিলিয়ন ডলার।
তিনি মানসা মুসা। আফ্রিকার বর্তমানে গরিব দেশ মালির আমির ছিলেন তিনি। ১৩১২ সালে মালির সিংহাসনে বসার আগে তার নাম ছিল মুসা কেইটা-১। রাজা হওয়ার পর তারই নামকরণ করা হয় মানসা মুসা। সম্প্রতি আমেরিকার ইভানস্টোনে নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে তার জীবন নিয়ে একটি প্রদর্শনীও হয়।
ইতিহাসবিদদের মতে, তার সম্পত্তির পরিমাণ এত ছিল যে, ভবিষ্যতেও কেউ তা ছুঁতে পারবেন না। আফ্রিকার মালির মতো এত গরিব দেশের শাসক কী ভাবে সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন? প্রশ্নটা আসতেই পারে।
ইতিহাসবিদরা জানাচ্ছেন, সে সময়কার পরিস্থিতি ছিল বর্তমান পরিস্থিতির ঠিক উল্টো। আফ্রিকা তখন ফুলেফেঁপে উঠেছে। কারণ, মালি সাম্রাজ্য তখন মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। প্রকৃত অর্থেই সোনা ফলত মালির মাটিতে। আর সেই সোনাই তাকে সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। প্রচুর সোনার খনি রয়েছে মালিতে। মানসা মুসাই প্রথম এই খনির সন্ধান পান।
ক্ষমতায় আসার পর নিজের সামাজ্যের বিস্তৃতি ঘটিয়েছিলেন মুসা। সেনেগাল, গাম্বিয়া, গিনিয়া, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজেরিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তার করেন।
ইতিহাসবিদদের মতে, ১৩২৪ সালে মুসা মক্কা যাত্রা করেন। ৪ হাজার মাইলের এই যাত্রা ছিল আড়ম্বরপূর্ণ। অফুরন্ত ধনদৌলতের সঙ্গে নিয়েছিলেন বিশাল বাহিনীকে। কয়েক হাজার সেনা, ক্রীতদাস এবং প্রজাদের। মানসা মুসার সামনে ছিল ৫০০ সেনা, যারা শুধুমাত্র সোনা বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সোনা বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজে লাগানো হয় উট এবং ঘোড়াদেরও।
যাত্রাপথের বিভিন্ন জায়গায় ওই সোনা দান করেছিলেন মুসা। ইতিহাসবিদদের দাবি, মিশরের কায়রোতে তিনি এত সোনা দান করেছিলেন যে ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছিল। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগেছিল। ১৩৩৭ সালে মানসা মুসা মারা যান। তার ছেলে মেঘান ১ রাজা হন। সূত্র: লাইভ সায়েন্স।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ধনী ছিলেন এক মুসলমান

আপডেট সময় ০৪:২৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বিশ্বে বর্তমানে গেটস, বেজোসরা ধনীর তালিকায় শীর্ষে থাকলেও এরা কিন্তু সর্বকালের সবচেয়ে ধনী নন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এমন এক জন যার সম্পত্তির পরিমাণের ধারে কাছেও বিল-জেফরা যেতে পারবেন না! এমনকী ইতিহাসের কোনও রাজাও ছুঁতে পারেননি না তাকে।
ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে ২০১৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আমাজনের সিইও জেফ বেজোস (১১২ বিলিয়ন ডলার)। তারপর মাইক্রোসফ‌্ট অধিকর্তা বিল গেটস (৯০ বিলিয়ন ডলার) এবং মার্কিন সংস্থা বার্কশায়ার হাথাওয়ের অধিকর্তা ওয়ারেন বাফে (৮৪ বিলিয়ন ডলার)। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ধনী মুকেশ অম্বানী (৩৯ বিলিয়ন ডলার)। আর যার কথা হচ্ছে, সর্বকালের সেই সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন? ৪০০ বিলিয়ন ডলার।
তিনি মানসা মুসা। আফ্রিকার বর্তমানে গরিব দেশ মালির আমির ছিলেন তিনি। ১৩১২ সালে মালির সিংহাসনে বসার আগে তার নাম ছিল মুসা কেইটা-১। রাজা হওয়ার পর তারই নামকরণ করা হয় মানসা মুসা। সম্প্রতি আমেরিকার ইভানস্টোনে নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে তার জীবন নিয়ে একটি প্রদর্শনীও হয়।
ইতিহাসবিদদের মতে, তার সম্পত্তির পরিমাণ এত ছিল যে, ভবিষ্যতেও কেউ তা ছুঁতে পারবেন না। আফ্রিকার মালির মতো এত গরিব দেশের শাসক কী ভাবে সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন? প্রশ্নটা আসতেই পারে।
ইতিহাসবিদরা জানাচ্ছেন, সে সময়কার পরিস্থিতি ছিল বর্তমান পরিস্থিতির ঠিক উল্টো। আফ্রিকা তখন ফুলেফেঁপে উঠেছে। কারণ, মালি সাম্রাজ্য তখন মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। প্রকৃত অর্থেই সোনা ফলত মালির মাটিতে। আর সেই সোনাই তাকে সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। প্রচুর সোনার খনি রয়েছে মালিতে। মানসা মুসাই প্রথম এই খনির সন্ধান পান।
ক্ষমতায় আসার পর নিজের সামাজ্যের বিস্তৃতি ঘটিয়েছিলেন মুসা। সেনেগাল, গাম্বিয়া, গিনিয়া, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজেরিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তার করেন।
ইতিহাসবিদদের মতে, ১৩২৪ সালে মুসা মক্কা যাত্রা করেন। ৪ হাজার মাইলের এই যাত্রা ছিল আড়ম্বরপূর্ণ। অফুরন্ত ধনদৌলতের সঙ্গে নিয়েছিলেন বিশাল বাহিনীকে। কয়েক হাজার সেনা, ক্রীতদাস এবং প্রজাদের। মানসা মুসার সামনে ছিল ৫০০ সেনা, যারা শুধুমাত্র সোনা বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সোনা বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজে লাগানো হয় উট এবং ঘোড়াদেরও।
যাত্রাপথের বিভিন্ন জায়গায় ওই সোনা দান করেছিলেন মুসা। ইতিহাসবিদদের দাবি, মিশরের কায়রোতে তিনি এত সোনা দান করেছিলেন যে ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছিল। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগেছিল। ১৩৩৭ সালে মানসা মুসা মারা যান। তার ছেলে মেঘান ১ রাজা হন। সূত্র: লাইভ সায়েন্স।