ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা! আননূর মাদরাসার পক্ষ থেকে হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু-কে মেলবন্ধন স্মারক প্রদান বালাগঞ্জে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে “নবাগত ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ’র মতবিনিময় বালাগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ‘হাতের মুঠোয় সকল সেবা’ কার্যক্রম চালু বিমানের প্যারিস-ঢাকা ফ্লাইট পুনরায় চালুর জোরালো দাবী প্রবাসীদের বালাগঞ্জে ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ হত্যা মামলার অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খলকু মিয়া আটক গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে সংবর্ধনা ও শিক্ষা সেমিনার অন্তর্বর্তীকালীন সকল সিদ্ধান্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নেওয়া উচিত- বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া

সহপাঠীর দুর্দিনে এগিয়ে আসলেন স্কুল জীবনের বন্দুরা

  • আপডেট সময় ০৯:৪৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৯
  • ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

এসএম হেলাল, বালাগঞ্জ ঃবালাগঞ্জে অসহায় সহপাঠির অসুস্থ কন্যার চিকিৎসা জন্য আর্থিক সহায়তা
প্রদান করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্কুল জীবনের সহপাঠির কন্যার চিকিৎসা জন্য বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী সহপাঠীদের দেয়া অর্থ তুলে দেয়া হয়। প্রবাসীদের মধ্যে সাহায্য দাতারা হলেন মো. আবুল মিয়া, মাসুকুর রহমান জাহিদ, রুহেল মিয়া, লিটন আহমদ রফু, আবুল হোসেন রুসন,জয়নাল আহমদ, নাজমা বেগম, আজিজুর রহমান, বদরুল ইসলা। তাদের পক্ষ থেকে ৫১ হাজার ৩শ ৫০টাকার আর্থিক অনুদান অসুস্থ মুমিনা ইয়াসমিনের মা স্বপ্নার হাতে তুলে দেন সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য ও দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড
কলেজের ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. লোকন মিয়া।
এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এডভোকেট ইকবাল আহমদ, ব্যাংকার আব্দুস
সালাম ফয়েজ, সায়েক আহমদ, খন্দকার আব্দুল মুুমিন, ডা. ময়নুল হক এবং বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক এসএম হেলাল।
প্রসঙ্গত, বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মুমিনা ইয়াসমিন দীর্ঘনি যাবত জটিল রোগে আক্রন্ত। তার পিতা ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় ১৬বছর আগের মুমিনার জন্মের পূর্বেই নিরুদ্দেশ হন। এখনো তিনি নিখোঁজ। তখন থেকেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বালাগঞ্জের দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের শিওরখাল গ্রামস্থ হতদরিদ্র
পিতা আকবর আলীর বাড়িতে জীবনযাপন করছেন মুমিনার মা স্বপ্না বেগম।
স্বপ্না বেগম, ১৯৯৮ সালে দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে সংসারী জীবনের স্বল্প সময়েই মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীকে
হারিয়ে একা হয়ে পড়েন। তারপরও, একমাত্র মেয়েকে নিয়েই স্বপ্না বেগমের জীবন সংগ্রাম শুরু। নিজে ঘরে বসে টুকটাক সেলাইয়ের কাজ করেই মেয়ের পড়ালেখা আর সংসারের খরচপাতি চালাতেন স্বপ্না বেগম। ইতিমধ্যে স্বল্প আয়ের এবং সঞ্চয়ের পুরোটাই ব্যয় হয়েছে কন্যার চিকিৎসায়। তবু মুমিনাকে চিকিৎসা ও পড়ালেখা
করিয়ে মানুষ করার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্চেন অসহায় স্বপ্না বেগম।
এরই মাঝে মুমিনা তার ১১বছর বয়স থেকে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে মুমিনা দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির
ছাত্রী। কিন্তু বিগত কয়েক মাস যাবত সে গুরুতর অসুস্থ, শয্যাশায়ী রয়েছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা গ্রহণের পর তার
অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড় দেয়া হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, মুমিনার পূর্ণ সুস্থতার জন্য উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আলসারসহ বিভিন্ন রোগ ধরা পড়েছে মুুমিনার।
স্বামী হারানো স্বপ্না বেগম তাঁর একমাত্র মেয়ে মুমিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন। মেয়ের চিকিৎসার সামর্থ্যে কুলাচ্ছেনা তাঁর। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রবাসীসহ এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ ও নিজ সহপাঠিদের দারস্থ হয়ে মেয়ে
চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহের জন্য মুমিনার সহপাঠীরাও বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে স্বপ্না বেগম সহপাঠিদের আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে আলাহ্ পাকের শুকরিয়া আদায় করেন তিনি সহপাঠীদের প্রতি কৃতঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মেয়ের জন্য সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা!

সহপাঠীর দুর্দিনে এগিয়ে আসলেন স্কুল জীবনের বন্দুরা

আপডেট সময় ০৯:৪৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৯

এসএম হেলাল, বালাগঞ্জ ঃবালাগঞ্জে অসহায় সহপাঠির অসুস্থ কন্যার চিকিৎসা জন্য আর্থিক সহায়তা
প্রদান করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্কুল জীবনের সহপাঠির কন্যার চিকিৎসা জন্য বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী সহপাঠীদের দেয়া অর্থ তুলে দেয়া হয়। প্রবাসীদের মধ্যে সাহায্য দাতারা হলেন মো. আবুল মিয়া, মাসুকুর রহমান জাহিদ, রুহেল মিয়া, লিটন আহমদ রফু, আবুল হোসেন রুসন,জয়নাল আহমদ, নাজমা বেগম, আজিজুর রহমান, বদরুল ইসলা। তাদের পক্ষ থেকে ৫১ হাজার ৩শ ৫০টাকার আর্থিক অনুদান অসুস্থ মুমিনা ইয়াসমিনের মা স্বপ্নার হাতে তুলে দেন সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য ও দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড
কলেজের ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. লোকন মিয়া।
এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এডভোকেট ইকবাল আহমদ, ব্যাংকার আব্দুস
সালাম ফয়েজ, সায়েক আহমদ, খন্দকার আব্দুল মুুমিন, ডা. ময়নুল হক এবং বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক এসএম হেলাল।
প্রসঙ্গত, বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মুমিনা ইয়াসমিন দীর্ঘনি যাবত জটিল রোগে আক্রন্ত। তার পিতা ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় ১৬বছর আগের মুমিনার জন্মের পূর্বেই নিরুদ্দেশ হন। এখনো তিনি নিখোঁজ। তখন থেকেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বালাগঞ্জের দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের শিওরখাল গ্রামস্থ হতদরিদ্র
পিতা আকবর আলীর বাড়িতে জীবনযাপন করছেন মুমিনার মা স্বপ্না বেগম।
স্বপ্না বেগম, ১৯৯৮ সালে দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে সংসারী জীবনের স্বল্প সময়েই মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীকে
হারিয়ে একা হয়ে পড়েন। তারপরও, একমাত্র মেয়েকে নিয়েই স্বপ্না বেগমের জীবন সংগ্রাম শুরু। নিজে ঘরে বসে টুকটাক সেলাইয়ের কাজ করেই মেয়ের পড়ালেখা আর সংসারের খরচপাতি চালাতেন স্বপ্না বেগম। ইতিমধ্যে স্বল্প আয়ের এবং সঞ্চয়ের পুরোটাই ব্যয় হয়েছে কন্যার চিকিৎসায়। তবু মুমিনাকে চিকিৎসা ও পড়ালেখা
করিয়ে মানুষ করার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্চেন অসহায় স্বপ্না বেগম।
এরই মাঝে মুমিনা তার ১১বছর বয়স থেকে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে মুমিনা দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির
ছাত্রী। কিন্তু বিগত কয়েক মাস যাবত সে গুরুতর অসুস্থ, শয্যাশায়ী রয়েছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা গ্রহণের পর তার
অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড় দেয়া হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, মুমিনার পূর্ণ সুস্থতার জন্য উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আলসারসহ বিভিন্ন রোগ ধরা পড়েছে মুুমিনার।
স্বামী হারানো স্বপ্না বেগম তাঁর একমাত্র মেয়ে মুমিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন। মেয়ের চিকিৎসার সামর্থ্যে কুলাচ্ছেনা তাঁর। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রবাসীসহ এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ ও নিজ সহপাঠিদের দারস্থ হয়ে মেয়ে
চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহের জন্য মুমিনার সহপাঠীরাও বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে স্বপ্না বেগম সহপাঠিদের আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে আলাহ্ পাকের শুকরিয়া আদায় করেন তিনি সহপাঠীদের প্রতি কৃতঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মেয়ের জন্য সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।