সাধারণ সম্পাদকের একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ড, পদ বানিজ্যের অভিযোগ আর ত্যাগী কর্মীদের প্রতি অবহেলা ফ্রান্স আওয়ামীলীগকে অনেকটাই স্থবির করে দিয়েছে। দায়িত্বশীল একজন নেতার বিরুদ্ধ এমন অভিযোগে ফ্রান্স আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিব্রতবোধ করছেন।
কমিটিতে স্থান দেয়ার নাম করে কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পর তাদের স্থান দিতে না পারায় অনেক কর্মী প্রকাশ্যে আলোচিত এ নেতার বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করছেন। বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নামেও চলছে চরম বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা। এখানেও নেপথ্যে আলোচিত এ নেতার হাত আছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন।
এমনকি প্রচার আছে নৈতিক স্খলন জনিত এমন নানা অভিযোগের কারনে প্রধানমন্ত্রী এ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ইতালী সফরে আসলে হোটেলের লবিতে ফুল দেয়ার সুযোগ পায়নি ফ্রান্স আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। গত ১১ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় সময় বিকালে প্রধানমন্ত্রীতে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল দাশ গুপ্তের নেতৃত্বে ইতালী আওয়ামী লীগসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ। সেখানে অপেক্ষাকৃত অনেক তরুন নেতৃবৃন্দকে দেখা গেলেও ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ সেলিম বা জ্যেষ্ঠ কোন নেতা স্থান পায়নি। এ নিয়ে ফ্রান্স আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মাঝে হতাশা কাজ করছে।
একদিকে সাধারণ সম্পাদকের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড অন্যদিকে তার দীর্ঘ মেয়াদে ফ্রান্সের বাইরে অবস্থান ফ্রান্স আওয়ামীলীগের স্বাভাবিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের মাধ্যমে দলকে গতিশীল করতে কর্মীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে তাকে সরিয়ে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সম্মান পুনরুদ্ধারের জন্য কর্মীবান্ধব দিলওয়ার হোসেন কয়েছকে সে পদে আনার জন্য অনেকে দাবী করছেন বলে জানা যায়।