বিসিএফ কমিউনিটির সকল স্তরের প্রবাসীকে নিয়ে এগিয়ে যাবার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকে। চেষ্টা করা হয় সততা এবং দায়িত্বশীলতার অনুশীলন। কাজে স্বচ্ছতাও বিসিএফ এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই টুকরো টুকরো সৌন্দর্য চর্চার মাধ্যমে বিসিএফ সবসময় এগিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এভাবেই বিসিএফ হয়ে ওঠে আস্থার প্লাটফর্ম।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) প্যারিস লাগোয়া অভিবাসী অধ্যুষিত ক্যাথসোমা ওভারভিলিয়েহ পন্তা এলাকায় সদ্য গড়ে ওঠা ‘বটতলা’ রেস্টুরেন্টে ‘ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের উপস্থিতির ঢল নামে। কমিউনিটি নেতা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, পেশাজীবি, পরিবার আর তাদের সন্তানদের এক চমৎকার মিলনমেলা হয়ে ওঠে ইফতার মাহফিলটি। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ছাপিয়ে সমবেত উপস্থিতির উৎসব হয়ে ওঠে ইফতার পর্বটি।
ইদানীং আয়োজিত ইফতার আয়োজনে সকলের স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতি সকলের দৃষ্টি কেড়েছে। কী সাংবাদিক সংগঠন, কী সামাজিক কিম্বা আঞ্চলিক সংগঠন – যারাই আয়োজন করুন না কেন – বিপুল উপস্থিতি আমাদের রাজনৈতিক ভিন্নতা, সামাজিক, আঞ্চলিক বিভাজন সবকিছুকে যেন ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রামাদানের এই শেষপ্রান্তে বিসিএফ এর আয়োজন সেই পর্যবেক্ষণকে প্রতিষ্ঠা করে। সামাজিক এবং ধর্মীয় আয়োজন জনে জনে, সংগঠনে সংগঠনে এবং রাজনৈতিক বিভক্তিরেখাকে সরু করায় ভূমিকা রাখে বৈ কী। ইফতার আয়োজনে অতিথিদের মাঝে কুশল বিনিময়, কোলাকুলি, ভাবের আদান প্রদান, কমিউনিটি কল্যাণ ভাবনার আদান-প্রদান সবকিছু যেন ‘বটতলা’র ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে বসেই পরিকল্পনার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।
বিসিএফ টীম সকাল থেকেই তৎপর ছিলো একটি ভাল আয়োজন করতে। সময় এবং স্থান সংকুলান বিবেচনায় সীমিত আকারে ইফতার আয়োজন করতে হয়। এই অতৃপ্তি আমাদের থেকেই যাচ্ছে। কেননা বিসিএফ তো সকলের, এটির আয়োজন এমন সীমিত করা সাজে না।
আমরা বরং সুযোগ নেবো ‘ঈদের দিন’ – ‘ঈদ ফেস্টিভ্যাল’, লা কর্নোভ পার্কে। সেখানেই দেখা হবে আমাদের সকলের সাথে সকলের। সেই পার্কে আমরা একটি ‘বাংলাদেশ’ তৈরি করবো। প্রবাসের ছকবাঁধা জীবন থেকে একটি দিন ছুটি নেবো। লা কর্নোভ পার্ক এর সবুজ মাঠে আমরা সেই দিনটি কমিউনিটির করে নেবো। ‘দেবো আর নেবো, মেলাবো মিলিবো’।