লণ্ডন, ৮ জানুয়ারি– ইন্ডিয়ান সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বিএসএফ’ এরগুলিতে সীমান্তে কিশোরী ফেলানী খাতুন ও স্বর্ণাদাস সহ সকলসীমান্ত হত্যা বন্ধ, সব ঘটনার তদন্ত এবং বিচার চেয়ে লণ্ডনেসন্মিলিতভাবে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেমানবাধিকার সংগঠন ‘ইআরআই’, ‘স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস’ ও‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’।
৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস উপলক্ষে গত ৬ জানুয়ারি, সোমবার, বিপুল সংখ্যক যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে উক্তকর্মসূচি পালিত হয়। প্রতিবাদকারীরা সেখানে দুপুর ১২:৩০ থেকেবিকেল ৩:৩০ পর্যন্ত অবস্থান করেন। এসময় তাঁরা ‘INDIAN AGGRESSION-RUINED OUR DOMINION’, ‘INDIAN ASSASSIBATION-RUINED OUR PROTECTION’, ‘INDIAN HEGEMONY- RUINED OUR HARMONY’, ‘ INDIAN CONSPIRACY-RUINED OUR DEMOCRACY’, ‘ INDIAN ATROCITY-RUINED OUR SECURITY’, ‘BSF’S BRUTALITY-THREAT TO HUMANITY’, ‘ MODI’S ACTIVITY-THREART TO HUMANITY’, ‘RSS’S ACTIVITY-THREART TO HUMANITY’, ‘দিল্লি নাঢাকা–ঢাকা, ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন–ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি শ্লোগানে হাই কমিশন প্রাঙ্গন প্রকম্পিত করে তুলেন।
মানবাধিকার কর্মী নওশিন মুস্তারী মিয়া ও হাসনাত হাবীব এর যৌথসঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা ‘ইআরআই‘ এরউপদেষ্টা ও ‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন‘ এর আহবায়ক হাসনাতআরিয়ান খান বলেন, ‘সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানীরলাশের সেই দৃশ্যের কথা আমরা ভুলতে পারি না। মাত্র ১৫ বছরবয়সী কিশোরী ফেলানী কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে তারবাবার সঙ্গে ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। কাঁটাতার পারহওয়ার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। সারাবিশ্বে যাআলোড়ন তুলে। এ রকম আলোড়নের পরও সেই হত্যাকান্ডের বিচারহয়নি। উপরন্তু গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রাতে মায়ের সঙ্গে ত্রিপুরায়থাকা ভাইকে দেখতে যাওয়ার সময় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তএলাকায় বিএসএফ ১৪ বছর বয়সী কিশোরী স্বর্ণা দাসকে গুলি করেহত্যা করে। সেই হত্যাকান্ডেরও বিচার হয়নি। বিএসএফের পাখিরমতো গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ হয়নি। শুধু কিশোরী ফেলানী বা স্বর্ণানয়, ইন্ডিয়ান সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিয়মিত বাংলাদেশের মানুষকেসীমান্তে গুলি করে হত্যা করছে। কোন হত্যাকান্ডেরই তদন্ত হয়নি, বিচার হয়নি। সীমান্ত হত্যার বিচার হয় না। এ রকম দুই দেশেরসীমান্তে একটি দেশ কর্তৃক নিয়মিতভাবে অন্য দেশের নাগরিককেগুলি করে হত্যা করার ঘটনা বাংলাদেশ–ইন্ডিয়া সীমান্ত ছাড়া বিশ্বেরআর কোথাও দেখা যায় না। সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে উঠলেই আত্মরক্ষারজন্য বাধ্য হয়ে গুলি চালানোর অজুহাত দাঁড় করায় বিএসএফ।বিএসএফের গুলিতে নিহত সব বাংলাদেশিকে অপরাধী মনে করেতারা। সবাইকে চোরাচালানকারী বা গরু পাচারকারী মনে করে।যেনো সাক্ষী–সাবুদ বিচার–আচার ছাড়াই বিএসএফ চাইলেইভিনদেশি কোনো নাগরিককে অপরাধী হিসেবে সিল মেরে দিতে পারেএবং তারপর সেই কথিত অপরাধীকে বিনা বিচারে হত্যা করারঅধিকার রাখে!’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘মাত্র ১৪ ও ১৫ বছর বয়সীকিশোরী স্বর্ণা ও ফেলানী কিভাবে গরু পাচারকারী হয়? গরুর জন্ম কিসীমান্তে হয়? তাছাড়া গরু পাচারকারী হলেই কি কোন মানুষকে বিনাবিচারে হত্যা করা যায়? বাবার হাত ধরে সীমান্ত পাড়ি দিতে চাওয়ানিরস্ত্র কিশোরী ফেলানী খাতুন কিংবা মায়ের হাত ধরে সীমান্ত পাড়িদিতে চাওয়া কিশোরী স্বর্ণা দাস কী করে অস্ত্রধারী বিএসএফের জন্যহুমকি হতে পারে? আন্তর্জাতিক কোনো আইনেই নিরস্ত্র নাগরিককেগুলি করে মেরে ফেলার কোন বিধান না থাকা সত্বেও তারা কিভাবেনিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে মেরে ফেলে? ইন্ডিয়া সীমান্তব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্বীকৃত সকল আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় প্রটোকলঅগ্রাহ্য করে কিভাবে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ঘটায়? এই সাহস তারাকোথায় পায়?’ তিনি আরো বলেন,‘মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চেরতরফেই আমরা জানতে পারি, সীমান্ত হত্যার পেছনে যে গল্প ফাঁদা হয়, তা সঠিক নয়। এমনকি বিএসএফের আত্মরক্ষার অজুহাতগুলোওগ্রহণযোগ্য নয়। তারা কোনো নিয়মকানুন মানে না। তারা কোনপ্রটোকলই মানে না। সীমান্তে ইন্ডিয়া যে আচরণ করে এ আচরণআধিপত্যবাদী আচরণ, এ আচরণ আগ্রাসনমূলক আচরণ। এআচরণ কিছুতেই গ্রহণযোগ্য না। ইন্ডিয়া ব্রিটিশদের সহায়তায়আমাদের অঞ্চলগুলো দখলে নিয়ে নতুন সীমানা বানিয়ে কাঁটাতারদিয়ে আমাদেরকে ঘিরে ফেলেছে। অথচ এ অঞ্চলগুলোতে বাঙালি ওকাছাকাছি নৃ–গোষ্ঠীর মানুষেরা বসবাস করেন। সীমান্তবর্তীবাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে আত্মীয়তার সম্পর্ক ও আরো অনেক রকমযোগাযোগ। যেকারণে সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের এপার থেকে ওপারেযেতে হয়। দিল্লিতে বাঙালি ও কাছাকাছি নৃ–গোষ্ঠীর মানুষেরা বসবাসকরেন না। কাজেই ইন্ডিয়া তার সীমানা আগের জায়গায় অর্থাৎবিহারের কুশি নদীর তীর পর্যন্ত ফিরিয়ে নিলে বাংলাদেশের মানুষকেদিল্লি যেতে হবে না। যতদিন তা না হচ্ছে ততদিন তাদেরকে সংযতআচরণ করতে হবে। সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারা বন্ধ করতে হবে।সীমান্তে বিএসএফের গুলি বন্ধে ইন্ডিয়ান কতৃপক্ষ ইতিবাচক মনোভাবদেখাতে হবে। নিজেদের অধিকার ও স্বার্থের ব্যাপারে বাংলাদেশকে দৃঢ়অবস্থান নিতে হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে।বছরের পর বছর সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটছে। গত বছর ২০২৪ সালেও২৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মাসে প্রায় দুইজন করে বছরে ২৩/২৪জন করে হত্যা করা হচ্ছে। ইন্ডিয়ার কতৃপক্ষ এই বিষয়ে নির্বিকার।তারমানে তারা বাংলাদেশের মানুষকে মানুষ মনে করে না। আমাদেরপররাষ্ট্রনীতি এই ক্ষেত্রে আরো কঠোর হওয়া উচিত। তারা চায়না ওপাকিস্তান সীমান্তে এই দু:সাহস করে না। কারণ তারা জানে চায়না ওপাকিস্তান সীমান্তে যদি একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়, পাকিস্তানও চায়না তাদের দশজনকে গুলি করে জবাব দিবে। যেকারণে তারা এইদু:সাহস করে না। আমরা সীমান্তে কোনরকম হত্যা চাই না। সকলসীমান্ত হত্যার সঠিক তদন্ত চাই, দায়ী ব্যাক্তিদের বিচার চাই এবংঅবিলম্বে এই সীমান্ত হত্যা বন্ধের আহ্বান জানাই।’
বিশেষ বক্তা সাংবাদিক হাসান আল জাভেদ বলেন, ‘পৃথিবীতে এমনকোন আন্তর্জাতিক সীমারেখা নাই যে যুদ্ধ ছাড়াই ১৫ বছরে ৬শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এটা শুধু ভারতীয় কিলারবাহিনী বিএসএফ দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। এর পেছনে একটাই কারণভারত সরকার বাংলাদেশকে আতঙ্ক ও চাপে রেখে তাদের অর্থনৈতিকও সাম্প্রদায়িক মিশন বাস্তবায়ন করা। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সকলঅপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে এটা ভারতকেভাবতে হবে।’
‘ইআরআই‘ এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রোকতা হাসানবলেন, ‘ভারত দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশের বর্ডারে আমাদের সাধারণজনগণকে, নিরীহ জনগণকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। আমরা চাইভারত সরকার এ ধরনের নির্মম হত্যাযজ্ঞ অতি দ্রুত বন্ধ করুক এবংদ্রুত ফেলানী হত্যার বিচার করুক। এছাড়া ভারত সরকার নানাভাবেউস্কানি দিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাচ্ছে, ভারতসরকারকে বলছি, তারা যেনো উস্কানি দেওয়া বন্ধ করে এবংসাংবাদিক নামধারী ময়ূখ রঞ্জন ও রিপাবলিক টিভির হলুদসাংবাদিকতা বন্ধ করে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা যেনো অপপ্রচারবন্ধ করে।’
‘স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস‘ এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদমিনহাজুল আবেদীন রাজা বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায়১,২০০ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছে সীমান্ত হত্যাকান্ডে। সীমান্তহত্যাকাণ্ড বন্ধের প্রতিশ্রুতি বারবার দেওয়া হলেও কোনো বাস্তবপরিবর্তন আমরা দেখতে পাইনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমরাআহ্বান জানাই, দয়া করে সীমান্তে বাংলাদেশি নিরীহ নাগরিকদেরহত্যাকাণ্ড বন্ধ করুন। বিএসএফের সহিংসতা বন্ধ করুন। যাতে করেকোনো বাংলাদেশিকে আর সীমান্তে প্রাণ হারাতে না হয়, আর কোনোপরিবারকে তাদের প্রিয়জনকে এভাবে হারানোর শোক বহন করতে নাহয়।’
মানবাধিকার কর্মী আইনুদ্দিন বলেন, ‘ভারত তার সীমান্ত রক্ষী দিয়েশুধু বাংলাদেশীদের হত্যা করেই থেমে নেই। তারা নিজেদেরকে বৃহৎগণতান্ত্রিক দেশ বলে পরিচয় দিলেও তারা আসলে কোন গণতন্ত্রেবিশ্বাসী নয়। তারা একদিকে যেমন সীমান্তে বাংলাদেশীদেরকে মারছেঅন্যদিকে ভারতে বসবাসরত মাইনোরিটি গোষ্ঠী তথা মুসলিম, খ্রিস্টানদেরকে প্রতিনিয়ত হত্যা করছে। তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়েদিচ্ছে।’
মানবাধিকার কর্মী তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতেহবে, শুধুমাত্র নিন্দা জানালেই এই সমস্যার সমাধান হবে না, “বাস্তবমুখী প্রতিবাদ ও প্রতিরোধই হতে পারে এই সমস্যার সমাধান“; যাহা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি দেশবাসীকে এগিয়েআসতে হবে।’
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন– ‘ইআরআই‘রসেক্রেটারি জেনারেল ও ‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন‘ এর আহবায়ককমিটির সদস্য নওশিন মুস্তারী মিয়া সাহেব, অখন্ড বাংলাদেশআন্দোলনের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: মনিরুজ্জামান ওনজরুল ইসলাম খোকন, ‘ইআরআই‘এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসনাতহাবীব, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারিসায়েম আহমদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ হানিফ রব্বানী, ক্যাম্পেইনসেক্রেটারি আবু জেহাদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি তানিম আহমেদ, মাইনোরিটি রাইট সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারিশাহিন আহমেদ, মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক শাকিল আহমেদ সোহাগ, জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ মিলাদ, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারিসোহরাব উদ্দিন রোমান, ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি সেক্রেটারিরনি আহমদ, পাবলিসিটি সেক্রেটারি মামুদুল কারীম চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রিপন আহমেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারিশাহরিয়ার কালাম আজাদ, এক্সিকিউটিভ মেম্বার আব্দুল মান্নান, এক্সিকিউটিভ মেম্বার মাহমুদুল হক ইমরান, ‘স্ট্যান্ড ফর হিউম্যানরাইটস‘ এর সিনিয়র সহসভাপতি বেলাল খান, সহসভাপতিশেরওয়ান আলী, সহসাধারণ সম্পাদক মো: মাহি, সাংগঠনিকসম্পাদক এমদাদুল হক, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক রাহাদুলইসলাম, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহঅর্থ সম্পাদক সৈয়দজুয়েল, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান ও সিনিয়রসদস্য মো.রুমেল আলি প্রমূখ।
এসময় নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে আজিজুর রহমান, উজ্জলআলম চৌধুরী, ইফতেখার হোসাইন চৌধুরী সাকি, রাহাদুল ইসলাম, ইফুল ইসলাম, মোঃ ফজল আহমদ, আব্দুল আলিম, সৈয়দজুয়েল,মোঃ মিজানুর রহমান, মো.রুমেল আলি, সৈয়দ আশরাফুলআলম পিন্টু, আশরাফুল আলম শামীম, আল আমিন মিয়া, রুমনআহমেদ,নাহিদ চৌধুরী, আমিন আকবর, জুনায়েদ আহমদ, আব্দুলআজীম, আরিফ হোসেন, আব্দুল কাইয়ুম লায়েক, নাজমুল আহমদ, মো. আব্দুল হক, আমিন কবির সোহাগ, লায়েক আহমদ, সাইফুররহমান, আরিফ হোসেন, মাসুদুল হাসান, আবু জাফর আব্দুল্লাহ, মোর্শেদ আহমেদ খান, ওমর ফারুক, মির্জা সাইফুল, ওমর ইসলামসানী, মোঃ ফাহাদুজ্জামান, চৌধুরী মোঃ আব্দুল মোমিন, আব্দুলকাদির নাজিম, খালিদ মিয়া, সাইফুর রহমান রাজু, মোঃ মশিউররহমান, আরাফাত রহমান, শাকিল মিনহাজ, আলী উজ্জ্বল, ফয়সালআহমদ, মির্জা এনামুল হক, ফয়েজ উল্লাহ, মোঃ গুলজার হোসেন, মোঃ নূরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, আবিদুর রহমান, হাবিবুররহমান, জামিল আহমদ, শাহীন মিয়া, নাঈম, মাজিদ মিয়া, মাসুদুলমজিদ চৌধুরী, মোঃ মারুফ আহমেদ, মোঃ সাইফুর রহমান, মোহাম্মদশামসুল ইসলাম কবির, মামুন মিয়া, ইমরান আহমদ, এমদাদুল হক, মো: শরীফ আহমদ, মোঃ সাইদুল ইসলাম, আব্দুল আলী, মোঃআবুল, ফয়জুল হক, খন্দকার মোতাহের হোসাইন, রেদওয়ান আহমদরোমেল, শাহনুর আলম রাহাত ও জুনেদ আহমদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দউপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কিশোরী ফেলানীকে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামেরঅনন্তপুর–দিনহাটা সীমান্তে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। এর পরথেকে ৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিভিন্নসংগঠন।