বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেছেন, অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে কোনও আপস নয়। বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের থাকতে দেওয়া হবে না এ দেশে।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সংবাদ সম্মেলন ডেকে মঙ্গলবার আক্রমণ করেছিলেন পশিচমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এতে উৎসাহিত রাজ্য বিজেপি বুধবার এনআরসি ইস্যুতে আরও চডাল সুর। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ এবং ‘ভোট রাজনীতি’র অভিযোগ তুলে মিছিলের ডাক দিল যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চা। আর সে মিছিলের ২৪ ঘণ্টা আগে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য নিজের অবস্থান বদলে ফেলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে দেশের নিরাপত্তাকে অবহেলা করছেন। ২০০৫ সালে লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। স্পিকারের চেয়ারের দিকে একগোছা কাগজ ছুঁড়ে মেরেছিলেন সে দিন। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আজ বলছেন, বাংলায় কোনও অনুপ্রবেশকারী নেই।’’
আসামের মতো পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে বলে সোমবার মন্তব্য করেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ দিন সেই মন্তব্যকেও সমর্থন করেছেন রাহুল সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে যে মুসলিমরা এ দেশে ঢুকেছেন, তাঁদের আমরা অনুপ্রবেশকারী বলি। অন্প্রুবেশকারী মুসলিমদের এ দেশে থাকতে দেওয়া হবে না। তাঁদের আমরা ফেরত পাঠাবই।’’
শুধু মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী কেন? অন্যরা কেন নন? রাহুল সিংহের ব্যাখ্যা: ‘‘বাংলাদেশ একটা ইসলামি রাষ্ট্র। সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের জন্য সঙ্কট রয়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে এ দেশে চলে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের আমরা শরণার্থী মনে করি। ভারতীয় জনতা পার্টি বরাবরই শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে অনেক মুসলিমও এ দেশে ঢুকেছেন। কোনও সঙ্কটের কারণে নয়, তাঁরা ঢুকেছেন বেশি সুযোগ-সুবিধার লোভে। সেটা বরদাস্ত করা হবে না।’ রাহুল সিংহের মতে, শুধুমাত্র সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য মুসলিমরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকবেন, এটা মেনে নেওয়া হলে ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার ক্ষুন্ন হয়। সূত্র আনন্দবাজার পত্রিকা।