ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত সামাজিক সংস্থা ‘সাফ’ এর নতুন কমিটি গঠন : নয়ন সভাপতি, আকাশ হেলাল সহসভাপতি, রুবেল সাধারন সম্পাদক পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে শাহাব উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান জিলুকে বহিস্কার প্যারিসে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত : চ্যাম্পিয়ন সিলেট ফাইটার্স

সিলেটে আরিফুলকে ফুল দেওয়ার পর প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, দুজন আহত

  • আপডেট সময় ০৫:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অগাস্ট ২০১৮
  • ২৩৬ বার পড়া হয়েছে

সিলেটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একপক্ষের হামলায় আরেক পক্ষের এক নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্য দুজন। আজ শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার সামনের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের উপপরিচালক দেবব্রত রায় প্রথম আলোকে বলেন, ফয়জুর রহমান রাজু নামের একজন মারা গেছেন। বাকি দুজন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, ফয়জুর রহমান রাজু (২৮) মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, রাত সাড়ে নয়টার সময় আরিফুল হককে ফুল দিয়ে ছাত্রদলের একটি পক্ষ বাসা থেকে বের হয়ে কুমারপাড়ার মোড়ে দাঁড়ায়। এ সময় অতর্কিতে আরেক পক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনজনকে ধাওয়া দিয়ে ধরে কোপায়। পরে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহত অবস্থায় তিনজন প্রায় ১০ মিনিট রাস্তায় পড়েছিলেন। খবর পেয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মী ও পুলিশ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে ফয়জুর রহমানের অবস্থা ছিল গুরুতর। আহত অন্য দুজন হলেন উজ্জ্বল (২৮) ও সালাহ লিটন (২৮)। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফয়জুরের মৃত্যু হয়।

মহানগর পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার সাদিক কাউসার দস্তগীর প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ঘটনাস্থলে আছে। আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, গত ১৩ জুন রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকরামুল হাসান স্বাক্ষরিত কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। এতে ২৮ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটির আলতাফ হোসেন সুমন সভাপতি ও দেলোয়ার হোসেন দিনার সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। ২৯ সদস্যবিশিষ্ট নগর ছাত্রদলের কমিটিতে সুদীপ জ্যোতি এষ সভাপতি ও ফজলে রাব্বী আহসান সাধারণ সম্পাদক।
এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে জেলা ও নগর ছাত্রদলের একটি পক্ষ মিছিল ও সভা করে। কমিটি প্রত্যাখ্যানকারীদের অভিযোগ ছিল, ঘোষিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া কেউ-ই ছাত্র নন। এ নিয়ে দুই পক্ষকে সিটি নির্বাচন পর্যন্ত শান্ত থাকতে বলেছিল কেন্দ্র।
হামলার শিকার হওয়া পক্ষের সঙ্গে থাকা নগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল হোসেন বলেন, ছাত্রদলের পদবঞ্চিত পক্ষটি নির্বাচনে আরিফুল হকের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিল। এ ক্ষোভ থেকে হামলা হয়।
সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী জানান, হামলায় আহত তিনজনই ছাত্রদলের বিদ্রোহী পক্ষের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। হামলাকারীরা নতুন কমিটির পক্ষের।
মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে আরিফুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে বিজয়ী ঘোষণার পর বিজয় মিছিল হয়। সেই মিছিল বাসায় গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিদায় করতে একটি হোটেলে যাই। কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে মিটিংয়ে ছিলাম। এ সময় ঘটনাটি ঘটেছে।’

প্রথম আলো থেকে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত

সিলেটে আরিফুলকে ফুল দেওয়ার পর প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, দুজন আহত

আপডেট সময় ০৫:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অগাস্ট ২০১৮

সিলেটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একপক্ষের হামলায় আরেক পক্ষের এক নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্য দুজন। আজ শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার সামনের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের উপপরিচালক দেবব্রত রায় প্রথম আলোকে বলেন, ফয়জুর রহমান রাজু নামের একজন মারা গেছেন। বাকি দুজন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, ফয়জুর রহমান রাজু (২৮) মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, রাত সাড়ে নয়টার সময় আরিফুল হককে ফুল দিয়ে ছাত্রদলের একটি পক্ষ বাসা থেকে বের হয়ে কুমারপাড়ার মোড়ে দাঁড়ায়। এ সময় অতর্কিতে আরেক পক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনজনকে ধাওয়া দিয়ে ধরে কোপায়। পরে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহত অবস্থায় তিনজন প্রায় ১০ মিনিট রাস্তায় পড়েছিলেন। খবর পেয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মী ও পুলিশ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে ফয়জুর রহমানের অবস্থা ছিল গুরুতর। আহত অন্য দুজন হলেন উজ্জ্বল (২৮) ও সালাহ লিটন (২৮)। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফয়জুরের মৃত্যু হয়।

মহানগর পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার সাদিক কাউসার দস্তগীর প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ঘটনাস্থলে আছে। আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, গত ১৩ জুন রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকরামুল হাসান স্বাক্ষরিত কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। এতে ২৮ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটির আলতাফ হোসেন সুমন সভাপতি ও দেলোয়ার হোসেন দিনার সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। ২৯ সদস্যবিশিষ্ট নগর ছাত্রদলের কমিটিতে সুদীপ জ্যোতি এষ সভাপতি ও ফজলে রাব্বী আহসান সাধারণ সম্পাদক।
এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে জেলা ও নগর ছাত্রদলের একটি পক্ষ মিছিল ও সভা করে। কমিটি প্রত্যাখ্যানকারীদের অভিযোগ ছিল, ঘোষিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া কেউ-ই ছাত্র নন। এ নিয়ে দুই পক্ষকে সিটি নির্বাচন পর্যন্ত শান্ত থাকতে বলেছিল কেন্দ্র।
হামলার শিকার হওয়া পক্ষের সঙ্গে থাকা নগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল হোসেন বলেন, ছাত্রদলের পদবঞ্চিত পক্ষটি নির্বাচনে আরিফুল হকের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিল। এ ক্ষোভ থেকে হামলা হয়।
সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী জানান, হামলায় আহত তিনজনই ছাত্রদলের বিদ্রোহী পক্ষের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। হামলাকারীরা নতুন কমিটির পক্ষের।
মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে আরিফুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে বিজয়ী ঘোষণার পর বিজয় মিছিল হয়। সেই মিছিল বাসায় গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিদায় করতে একটি হোটেলে যাই। কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে মিটিংয়ে ছিলাম। এ সময় ঘটনাটি ঘটেছে।’

প্রথম আলো থেকে।