ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ল্যুভর জাদুঘরে চুরি ফ্রান্সে “আশা এবং আমার সংগ্রাম” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা দেড় হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১২তম মুসলিম চ্যারিটি রান বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করণীয় তরুণদের বিদেশমুখিতা: সুযোগ না সংকট? ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এক সতর্কবার্তা”

ম্যাক্রোঁর মধ্যস্ততায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক হবে

  • আপডেট সময় ০৮:০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

ইরান ইস্যুতে আশার বাণী শুনিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে পরস্পরবিরোধী পক্ষগুলোকে সমঝোতামুলক আলোচনায় বসাতে চান তিনি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকলে তাহলে তিনি পারমাণবিক ইস্যুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। যদি ঘটনা এমনই হয় তাহলে ইরান ইস্যুতে পারস্য উপসাগরে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার একটা কিনারা হতে পারে। জি-৭ সম্মেলনের শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম নেতা ম্যাক্রনকে ইরানের সঙ্গে অচলাবস্থা ভঙ্গে একটি বৈঠকের বিষয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ম্যাক্রনকে মধ্যস্থতাকারী হতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে তাহলে এর জন্য অবশ্যই আমি রাজি থাকবো।

অন্যদিকে নিজের বক্তব্যে ইমানুয়েল ম্যাক্রন দু’বার বলেছেন, পরস্পর বিরোধী দু’পক্ষকে তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এক টেবিলে বসাবেন। একটি চুক্তি করার জন্য তাদের মধ্যে আলোচনা হবে। এমন একটি চুক্তি হবে, যার ফলে ইরানের তেলের ওপর অবরোধের শেষ হয়। অন্যদিকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতায় বিধিনিষেধ থাকে। উল্লেখ্য, একই রকম সুবিধা দিয়ে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ। সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রন বলেছেন, শর্ত এবং লক্ষ্য সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু এখন আমাদেরকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে এবং তা সেখানে উত্থাপন করতে হবে। আমি আশা করি, ট্রাম্পের সঙ্গে এই মতামত বিনিময়ের পর আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মধ্যে একটি সামিট করতে সক্ষম হবো।

ওদিকে সপ্তাহান্তে আকস্মিকভাবে ফ্রান্সের বিয়ারিতজে অনুষ্ঠিত জি-৭ এ গিয়ে উপস্থিত হন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ জাভাদ জারিফ। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন। ম্যাক্রনের সঙ্গে তার বৈঠক হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। তবে তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে অনুমোদন দিয়েছিলেন ম্যাক্রনকে। ম্যাক্রনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললেন। আমার কাছে তার বিষয়ে (আমন্ত্রণ জানানো) জানতে চাইলেন। আমি বললাম, যদি আপনি চান তাহলে করুন। আমি এটাকে অসম্মানজনক বলে মোটেও মনে করিনা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ম্যাক্রোঁর মধ্যস্ততায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক হবে

আপডেট সময় ০৮:০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯

ইরান ইস্যুতে আশার বাণী শুনিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে পরস্পরবিরোধী পক্ষগুলোকে সমঝোতামুলক আলোচনায় বসাতে চান তিনি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকলে তাহলে তিনি পারমাণবিক ইস্যুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। যদি ঘটনা এমনই হয় তাহলে ইরান ইস্যুতে পারস্য উপসাগরে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার একটা কিনারা হতে পারে। জি-৭ সম্মেলনের শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম নেতা ম্যাক্রনকে ইরানের সঙ্গে অচলাবস্থা ভঙ্গে একটি বৈঠকের বিষয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ম্যাক্রনকে মধ্যস্থতাকারী হতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে তাহলে এর জন্য অবশ্যই আমি রাজি থাকবো।

অন্যদিকে নিজের বক্তব্যে ইমানুয়েল ম্যাক্রন দু’বার বলেছেন, পরস্পর বিরোধী দু’পক্ষকে তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এক টেবিলে বসাবেন। একটি চুক্তি করার জন্য তাদের মধ্যে আলোচনা হবে। এমন একটি চুক্তি হবে, যার ফলে ইরানের তেলের ওপর অবরোধের শেষ হয়। অন্যদিকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতায় বিধিনিষেধ থাকে। উল্লেখ্য, একই রকম সুবিধা দিয়ে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ। সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রন বলেছেন, শর্ত এবং লক্ষ্য সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু এখন আমাদেরকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে এবং তা সেখানে উত্থাপন করতে হবে। আমি আশা করি, ট্রাম্পের সঙ্গে এই মতামত বিনিময়ের পর আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মধ্যে একটি সামিট করতে সক্ষম হবো।

ওদিকে সপ্তাহান্তে আকস্মিকভাবে ফ্রান্সের বিয়ারিতজে অনুষ্ঠিত জি-৭ এ গিয়ে উপস্থিত হন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ জাভাদ জারিফ। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন। ম্যাক্রনের সঙ্গে তার বৈঠক হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। তবে তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে অনুমোদন দিয়েছিলেন ম্যাক্রনকে। ম্যাক্রনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললেন। আমার কাছে তার বিষয়ে (আমন্ত্রণ জানানো) জানতে চাইলেন। আমি বললাম, যদি আপনি চান তাহলে করুন। আমি এটাকে অসম্মানজনক বলে মোটেও মনে করিনা।