যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে দুইটি মসজিদের সামনে সশস্ত্র পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিতে। মসজিদ দুইটি বুধবার রাতে গুলতির হামলার শিকার হয়েছিল। গুলতি দিয়ে ছোঁড়া ধাতব টুকরো পাওয়া গেছে মসজিদের ভেতর। স্মল হিথে অবস্থিত মসজিদ কামরুল ইসলামের কর্তৃপক্ষ ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বুধবার রাত ১০টার দিকে। ২০ মিনিট পরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাছেই অবস্থিত আরেকটি মসজিদ আল হিজরাহ। সেখানে গিয়ে পুলিশ গুলতি দিয়ে ছোঁড়া ধতব টুকরোগুলো পায়। এসব ধাতব টুকরোগুলোর কারণে মসজিদ দুইটির জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। যে সময় গুলতি দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল সে সময় মসজিদে নামাজ চলছিল।
ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতে বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ধাতব টুকরোগুলো ছোঁড়া হয়েছে উচ্চ গতির গুলতি থেকে। এখন পর্যন্ত দায়ীদের বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী ও নামাজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ রাস্তায় টহল দিচ্ছে।’ মসজিদ কামরুল ইসলামের ইমাম উসমান হুসেইন বলেছেন, যখন জানলার কাঁচ ভাঙা হয় তখন মানুষ ‘ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল। নামাজিরা ভেবেছিলেন কেউ বন্দুক নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা খুব জোরে একটা শব্দ হতে শুনেছিলাম। সবাই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু আমরা জানি না এই হামলা কেন ঘটেছে।’
এই ঘটনা এমন এক সময় ঘটল যখন সন্ত্রাসী হামলায় এক সুদানির জড়িত থাকার সংবাদ নিয়ে সবাই আলোচনা করছে। গত মঙ্গলবার ২৯ বছর বয়সী ওই সুদানি মুসলমানকে আটক করা হয়েছে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে। ২৯ বছর বয়সী অভিযুক্ত ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী পার্লামেন্ট ভবন এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ওই ঘটনায় তিন ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন।
বার্মিংহাম সেন্ট্রাল মসজিদের ট্রাস্টি নাসার মাহমুদ মন্তব্য করেছেন, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করা মুসলমানরা ‘তুলনারহিত’ বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন। তিনি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার জন্য অনুমানের ভিত্তিতে মুসলমানদের দায়ী না করার আহ্বান জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতি।