দর্পণ রিপোর্ট : ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানচিত্রে নতুন সূর্যোদয় ঘটেছে। একটা ঘোর অমানিশা আর অনিশ্চয়তার বাংলাদেশে আশার আলো ছড়িয়ে দিয়েছে। সম্ভাবনা আর উন্নয়নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবার এমন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে ছাত্রজনতা। অনেক জীবন এবং ত্যাগের বিনিময়ে যে সুযোগ এনে দিয়েছে তা যেন আমরা না হারাই। কথাগুলো বলছিলেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন। তিনি বলেন, ছাত্ররা ইতিহাসের পরতে পরতে সময়ের প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে, জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে, অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। সেটা ৫২, উনসত্তর, একাত্তর, এরশাদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক জুলাইয়ের আন্দোলন ছাত্ররাই বিশাল ঐতিহ্যের ধারক। তারা কিন্তু এমন আন্দোলন করেছে দেশের উন্নয়ন আর পরিবর্তনের আকাঙ্খা নিয়ে। তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে প্রবাসীদের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে বলেন, জুলাই গণ অভ্যুত্থানে প্রবাসীদের অবদান, একাত্মতা, সংশ্লিষ্টতা এর আগে এতো দেখা যায়নি।
তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাসের নানা কর্মকান্ডের বিষয় তুলে ধরে বলেন, কাউকেই রাজনৈতিক পরিচয়ে দূতাবাস কখনও দেখা হয়না। দূতাবাস কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়। কিন্তু দূতাবাসকে সরকারের নির্দেশনা পালন করতে হয়। তিনি তার বক্তব্যে প্যারিসে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালানোর ব্যাপারেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা এমএ তাহের, কমিউনিটি নেতা ইমরান আহমেদ, এনসিপি ফ্রান্স শাখার সভাপতি ইফতেশাম চৌধুরী। বক্তারা আশংকা প্রকাশ করে বলেন,
জুলাইকে ব্যবসার উপলক্ষ করা হয়েছে, বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হচ্ছে। রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবে, দেশপ্রেমের জায়গা থেকে এক এবং অভিন্ন। তারা অভিযোগ করে বলেন,
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ব্যাপারটাকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। প্রবাসীদের ভোটার হবার দাবিটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়ালিদ বিন কাশেম।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলন এর ওপর চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে রাষ্ট্রদূতকে এনসিপি ফ্রান্স শাখার পক্ষ থেকে জুলাই আন্দোলনের একটি ছবি উপহার দেন।