ঢাকা ০১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত সামাজিক সংস্থা ‘সাফ’ এর নতুন কমিটি গঠন : নয়ন সভাপতি, আকাশ হেলাল সহসভাপতি, রুবেল সাধারন সম্পাদক পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে শাহাব উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান জিলুকে বহিস্কার প্যারিসে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত : চ্যাম্পিয়ন সিলেট ফাইটার্স

ইইউর বাইরের দেশের নাগরিকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করল ফ্রান্স

  • আপডেট সময় ১০:৩২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাসের (কোভিড–১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স। তবে আবারও দেশজুড়ে লকডাউন কার্যকর করার বিরোধিতা করেছেন তিনি। খবর বিবিসির।

নতুন ব্যবস্থার আওতায় আগামীকাল রোববার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরের অধিকাংশ দেশের নাগরিকদের জন্য ফ্রান্সের সীমান্ত বন্ধ থাকবে। তবে অপরিহার্য প্রয়োজনে দেশটিতে আসার বিষয়টি এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। আর ইইউভুক্ত দেশ থেকে আসা নাগরিকদের জন্য করোনা পরীক্ষাসংক্রান্ত নিয়মনীতি কঠোর করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী ক্যাসটেক্স বলেন, করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে ইতিমধ্যে রাত্রিকালীন কারফিউসহ অন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেসব দেখভাল করতে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করবে পুলিশ।

মহামারির সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে সম্প্রতি ফ্রান্সে বিধিনিষেধ জোরদার করা হয়েছে। তবু দেশটিতে সংক্রমণ কমছে না। সীমান্তে আরোপিত কড়াকড়ির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবেন না যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারাও। কারণ, দেশটি এখন আর ইইউর সদস্য নয়। এই জোটের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে দেশটি।

ফ্রান্সে তৃতীয়বারের মতো সারা দেশে লকডাউন কার্যকর করার প্রয়োজন দেখা দেয় গত সপ্তাহে। এর আগে শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির হার বেড়ে গেছে এবং এ ভাইরাসের নতুন ধরনে (স্ট্রেইন) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।

তবে গতকাল শুক্রবার প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে ক্যাসটেক্স বলেন, করোনা এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের বিরাট প্রভাব সম্পর্কে আমরা জানি। গত কয়েক দিনের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা মনে করছি, আমরা লকডাউনে নিজেদের আটকে না ফেলার আরেকবার সুযোগ দিতে পারি।’

বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খাবারের দোকান ছাড়া বড় শপিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে। আবার চালু করা হবে বাড়িতে থেকে অফিস করার নিয়ম।

ফ্রান্সে গতকাল করোনায় মারা যান আরও ৮২০ জন। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫ হাজার ৬২০ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৭ হাজারের বেশি লোক। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজারের বেশি আছেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত

ইইউর বাইরের দেশের নাগরিকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করল ফ্রান্স

আপডেট সময় ১০:৩২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

করোনাভাইরাসের (কোভিড–১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স। তবে আবারও দেশজুড়ে লকডাউন কার্যকর করার বিরোধিতা করেছেন তিনি। খবর বিবিসির।

নতুন ব্যবস্থার আওতায় আগামীকাল রোববার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরের অধিকাংশ দেশের নাগরিকদের জন্য ফ্রান্সের সীমান্ত বন্ধ থাকবে। তবে অপরিহার্য প্রয়োজনে দেশটিতে আসার বিষয়টি এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। আর ইইউভুক্ত দেশ থেকে আসা নাগরিকদের জন্য করোনা পরীক্ষাসংক্রান্ত নিয়মনীতি কঠোর করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী ক্যাসটেক্স বলেন, করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে ইতিমধ্যে রাত্রিকালীন কারফিউসহ অন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেসব দেখভাল করতে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করবে পুলিশ।

মহামারির সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে সম্প্রতি ফ্রান্সে বিধিনিষেধ জোরদার করা হয়েছে। তবু দেশটিতে সংক্রমণ কমছে না। সীমান্তে আরোপিত কড়াকড়ির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবেন না যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারাও। কারণ, দেশটি এখন আর ইইউর সদস্য নয়। এই জোটের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে দেশটি।

ফ্রান্সে তৃতীয়বারের মতো সারা দেশে লকডাউন কার্যকর করার প্রয়োজন দেখা দেয় গত সপ্তাহে। এর আগে শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির হার বেড়ে গেছে এবং এ ভাইরাসের নতুন ধরনে (স্ট্রেইন) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।

তবে গতকাল শুক্রবার প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে ক্যাসটেক্স বলেন, করোনা এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের বিরাট প্রভাব সম্পর্কে আমরা জানি। গত কয়েক দিনের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা মনে করছি, আমরা লকডাউনে নিজেদের আটকে না ফেলার আরেকবার সুযোগ দিতে পারি।’

বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খাবারের দোকান ছাড়া বড় শপিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে। আবার চালু করা হবে বাড়িতে থেকে অফিস করার নিয়ম।

ফ্রান্সে গতকাল করোনায় মারা যান আরও ৮২০ জন। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫ হাজার ৬২০ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৭ হাজারের বেশি লোক। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজারের বেশি আছেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।