ডেস্ক- কর্মীদের মতের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো তাদের সহজাত অভ্যাস। তারা নিজেদের খেয়াল খুশীমতো কমিটি গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী ও দলের গঠনতন্ত্রের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এবারও তারা দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। তারা ভুলে গেছে যে পথে এখন হাটছে সেটা কানাগলি। এ গলিতে ঢুকে এবার ফেসে গেছে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা। তাদের অবস্থা ফ্রান্স বিএনপি’র বিস্মৃতপ্রায় নেতাদের মতো হবে।
অগঠনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মীসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ফ্রান্স আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা সুনামউদ্দিন খালেকের সভাপতিত্বে এবং ফ্রান্স আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান এবং হাসান সিরাজের পরিচালনায় কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর নৌ কমান্ডো এনামুল হক, সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ আলী, ওয়াহিদ ভার তাহের, ছালেহ আহমেদ চৌধুরী, জসীম উদ্দিন ফারুক, নুরুল আবেদীন, ইব্রাহিম আকিল, নুরুল হক ভুইয়া, আশরাফুল ইসলাম, জহিরুল হক, শরফুদ্দিন স্বপন, শাহনেওয়াজ রশীদ রানাসহ ফ্রান্স আওয়ামী লীগের নেতৃৃবৃন্দ।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের ব্যস্ততম বানিজ্যিক এলাকা গার দু নরের টিটু ভাইয়ের রেস্তোরায় এ কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। দুই শতাধিক নেতা কর্মীর উপস্থিতিতে কর্মীসভার প্রারম্ভে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সকল মৃত নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। ফ্রান্স আওয়ামী রীগের সৃষ্টির সময় থেকে মৃত নেতৃবৃন্দ ও তাদের আত্মীয়দের মধ্যে মরহুম লতিফ কাজী, মরহুম তোফাজ্জল হোসে ফারুক, মরহুম আব্দুল আউয়াল, মরহুম নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বাবু, মরহুম শহীদুল আলম মানিক, মরহুম জাকির হোসেন ভুইয়া জানু, মরহুম নজরুল ইসলাম সাধু ভাই, মরহুম বেলায়েত হোসেন, মরহুম আব্দুল হালিম আকাশ, মরহুম শাহীন চৌধুরী, মরহুম ফজলে চাচা, মরহুম হুমায়ুন কবির, মরহুম কাজী লতিফের স্ত্রী, এম এ কাশেমের স্ত্রী, মালিক সাহেবের ছেলে, ওয়াহিদ ভার তাহিরের মা সহ সকল মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী হবার জন্য বিশেষ মোনজাত করা হয়।
বক্তারা বলেন, ফ্রান্স আওয়ামী লীগকে অচল করার জন্য একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তারা নেতৃবৃন্দের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে একতরফা নেতা বনে রয়েছে। এসব নেতা দিনের বেলা এক কাজ করে আর রাতের বেলা তাদের অন্য চেহারা দেখা যায়। স্বার্থের জন্য তারা সব ধরনের খারাপ কাজ করতে পারে।
কমীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারা নৈশ অভিযানে যায় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আগের সে দিন নাই। এখন কমীরা অনেক সচেতন হয়েছে। তাদের অন্ধকারে রেখে নিজেদের আখের গোছানোর চিন্তা করলে তা ভুল হবে। অবিলম্বে নতুন সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের বয়কট করার আহবান জানান বক্তারা।
সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে নতুন করে কমিটি না করা পর্যন্ত একটি সমন্বয় পরিষদ গঠন করা হয়। ফ্রান্স আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সুনামউদ্দিন খালেককে আহবায়ক করে নয় সদস্যের সমন্বয় পরিষদ গঠন করা হয়। সমন্বয় পরিষদের অন্য সদস্যরা হলেন, ওয়াহিদ ভার তাহের, সালেহ আহমেদ চৌধুরী, শাহনেওয়াজ রশীদ রানা, মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, জসিম উদ্দিন ফারুক, হাসান সিরাজ, নুরুল আবেদীন ও আশরাফুল ইসলাম।