মোহাম্মদ জাফরুল হাসান: স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সড়ক পরিবহণ অইন সংশোধিত হয়। সংসদে যা সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ নামে পাশ হয়। এ আইনে বলা হয়েছে, সড়কে মানুষ হত্যা জামিন অযোগ্য অপরাধ। আমি ব্যাক্তিগতভাবে এ আইনকে সমর্থন করি। কাউকে হত্যাকরা অবশ্যই অপরাধ এবং জামিন অযোগ্য ও উপর্যোপরি শাস্তিযোগ্য।
বর্তমান সময়ে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতির কর্মসূচি দেশকে আস্থিতিশীল ও নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ কর্মবিরতি কিসের জন্যা? পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের এক নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, মূলত আট দফা দাবির জন্য এ আন্দোলন। এ দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম, সড়কে মানুষ হত্যাকে জামিনযোগ্য করার জন্য। আচ্ছা, সড়কে মানুষ হত্যা কী জামিন যোগ্য? যদি জামিন যোগ্য হয় তাহলে মানুষের জীবনের মূল্য কই?
আন্দোলনের নামে চলছে অস্থিতিশীলতা। চালক ও সাধারন মানুষদের মুখে পোড়া মবিল দিয়ে লেপ্টে দেওয়া হয়েছে। কান ধরে উঠ-বস করানোসহ বিভিন্ন উপায়ে আন্দোলনকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। একটি অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ায় মারা গেছে। পরিবহন শ্রমিকদের এই পোড়া মোবিলের হোলি খেলার মাধ্যমে মানুষকে অপমান অপদস্থ করা হচ্ছে।
আচ্ছা, এত সব ঘটে যাচ্ছে কিন্তু পুলিশের কোন ভূমিকা নেই কেন? পুলিশ কী জনগনের বন্ধু নাকি আন্দোলনকারীর? এবার ভাবা যাক প্রশাসনের কথা। প্রশাসন কী ঘুমে নাকী দেখেও না দেখার ভান করছে? কোমলমতী শীক্ষার্থীদের আন্দোলন পন্ড করার দায়িত্ব ছাত্রলীগকে দেয়া হয়েছিল, এবার কোমলমতী শ্রমিকদের আন্দোলন পন্ডকরার দায়িত্ব কার??
লেখল: প্রধান প্রতিবেদক, ফ্রান্স দর্পণ