সিলেট ডেস্কঃ দক্ষিণ সুরমা ফেঞ্চুগঞ্জ আসনের ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান এমপি মাহমুদুস সামাদ কয়েছকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করলেন সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আবু জাহিদ। এ নিয়ে তোলাপাড় শুরু হয়েছে সিলেটের রাজনৈতিক অংগনে ।
আজ মঙ্গলবার উপজেলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় আ‘লীগ দলীয় এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর সামনেই এমপি পদে নির্বাচনের ঘোষনা দেন জাহিদ।
এসময় তিনি বলেন, স্থানীয় উন্নয়ন বিরোধী, একই সাথে বিশাল জনগোষ্টি অধ্যূষিত দক্ষিণ সুরমা বিদ্বেষী মনোভাবের কারনে বিতর্কিত বর্তমান এমপি । তার কারনে দলের ভার্বমূতি তৃণমুলে চরম সংকটে। উন্নয়ন নেই, দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন নেই।
এদিকে সকাল ১১ টায় স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের অংশগ্রহনে অনুষ্টিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। সভার এক পর্যায়ে এমপি বলেন, সামনে নির্বাচন উন্নয়ন কর্মকান্ডের এখন সময় নেই। তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন। এখন উন্নয়ন করলে বিষয়টি বির্তকিত হবে।
এরপরই বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ। তিনি বলেন, দলীয় সমর্থনে তিনি জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, কিন্তু সংসদ সদস্যের বৈষম্যমুলক আচরনে কারনে জনগনের উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। এমপি উন্নয়নে পথে বন্ধ করলে, বাকী জনপ্রতিনিধিরা জনগনের কাছে কোন মুখে যাবে।
এমপির ইচ্ছে অন্চ্ছিার উপর যদি উন্নয়ন নিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে আমাদের অবস্থান কি ? তিনি বলেন আমরা হাওয়ার উপর নির্বাচিত হইনি। দল ও জনগনের নিকট আমাদের জবাবদিহিতা করতে হবে, তাই উন্নয়নের পথ কোন ভাবে রুদ্ধ করা যাবে না। আবু জাহিদ এসময় এমপির বির্তকিত বিভিন্ন তৎপরতার উল্লেখ করে বলেন, আমি আপনাদের জানিয়ে রাখলাম আগামী জাতীয় নির্বাচন আমি নির্বাচন করবো-ই। আমার এই এমপিকে আর চাই না। জনগনও চায় না, নৌকার সর্মথকরা চায় না।
দল বিচ্ছিন্ন ও জনবিচ্ছিন্ন এই এমপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে। এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ বলেন, আমি এমপির সামনে জনগনের ও দলের কথা বলছি। নিজের প্রার্থীতার কথা বলছি। বর্তমান এমপি নির্বাচন করতে চাইলে আমি দল ও উন্নয়ন বঞ্চিত জনগনের পক্ষে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবো। তা হবে একটি শিক্ষনীয় ইতিহাস।
বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা পান্না, চেয়ারম্যান মখন মিয়া, আবুল কালাম, হাবিব হোসেন, খলিলুর রহমান খলিল, ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা, মাওলানা সুলেমান প্রমুখ।