নিজস্ব প্রতিনিধি: সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও বালাগঞ্জের দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের খাঁপুর গ্রামের মৃত ইয়ারিছ মিয়ার ছেলে লোকন মিয়া তাঁর মানহানির অভিযোগে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে তাঁর নিজবাড়িতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লোকন মিয়া লিখিত বক্তব্যে
বলেন, গত ১৯ অক্টোবর বালাগঞ্জ উপজেলার ৩নং দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামের আনজু মিয়ার ছেলে আব্দুল মানিক ও আব্দুল মতিন সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। তারা আমার সামাজিক মর্যাদায় আঘাত করেছেন।
লোকন মিয়া বলেন, একজন সচেতন আইনমান্য নাগরিক হিসেবে আমি বিগত ২০১৬ ইং থেকে ২০২২ ইং পর্যন্ত সিলেট জেলা পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য ছিলাম। আমার দায়িত্বকালীন সময়ে সচেতনতার সহিত এবং সততা ও নিষ্টার সহিত দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ২০১৬-২০২২ ইং জেলা পরিষদের দায়িত্বপালন কালে অত্র ওয়ার্ডের অর্থাৎ বালাগঞ্জ উপজেলা এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জনগণের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। উক্ত সময়ে সরকারি কাজের বাহিরে নিয়ম বহির্ভূত কোন ধরণের কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।
লোকন মিয়া আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মতিন পাসপোর্ট করা প্রসঙ্গে যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা মিথ্যা এবং উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত। পাসপোর্টের বিষয়গুলো পুলিশ এবং পাসপোর্ট অফিসের কাজ। এই ব্যাপারে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আলাপুর হযরত বেলাল জামে মসজিদে আমার উদ্যোগে সরকারি টেন্ডারে জেলা পরিষদের মাধ্যমে সরাসরি কাজ হয়েছে। সেখানে আব্দুল মতিন চাঁদাবাজির দাবী করেছেন আমার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে আপনারা সাংবাদিকবৃন্দ মসজিদের সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে খোঁজ খবর নিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পবিত্র মসজিদে চাঁদাবাজি কোন ভাবে বিশ্বাস যোগ্য নহে, এটিও মিথ্যা এবং বানোয়াট। উক্ত বিষয়ে আব্দুল মতিন সম্পূর্ণ আমার সামাজিক অবস্থান এবং পাশাপাশি মানহানির চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
মূলত আব্দুল মতিন আমদের পারিবারিক আত্মীয়। আমার আপন বোন আফিয়া বেগমের কাবিনের জায়গা দখল করে গহরপুর ফিলিং স্টেশন স্থাপন করে দীর্ঘ দিন যাবত ব্যবসা করিতেছেন। আমার বোনের উক্ত জায়গা নিয়ে আমি লোকন মিয়া আব্দুল মতিনের সাথে কথা বলি এবং উক্ত জায়গা আমার বোনকে সমজাইয়া দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। এই জায়গা নিয়ে কোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আব্দুল মতিন ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ১৯/১০/২০২৪ইং তারিখে মিথ্যা বানোয়াট বিভ্রান্তি মূলক তথ্য সাজিয়ে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার নতুবা আমি আব্দুল মতিন এবং আব্দুল মানিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হবো।
এছাড়া স্থানীয় নর্থইষ্ট বালাগঞ্জ কলেজ নিয়ে আব্দুল মতিন শুরু থেকে দূর্নীতি করে যাচ্ছেন। ভবন নির্মান করেছেন তার নিজের ঠিকাদার দিয়ে। যার আয় ব্যয় হিসাব দিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
০৫/০৯/২০১৭ইং তারিখে কলেজের ভূমি দাতা শাইস্ত মিয়া একটি মামলা করেছেন। যাহাতে প্রতিষ্টাতা সনদ বাবদ ১০,০০,০০০/= (দশ লক্ষ) টাকা করে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
লোকন মিয়া বলেন, আব্দুল মতিন দেশে বিদেশে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমার বড় ভাই আবদাল মিয়ার কাছ থেকে ২,০০,০০০/= (দুই লক্ষ) টাকা নিয়েছেন যাহা কলেজের কোন হিসাবের খাতায় নেই বিদায় বিগত দিনে আমি এবং আমার ভাই আজাদ মিয়া তাহার সাথে কথা বললে সে একটি মামলা করে। পরে তা প্রয়াত এমপি মাহমুদুস সামাদ কয়েছ এর মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হয় এবং এই বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অবগত আছেন।
এছাড়াও কলেজ শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ তার নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। গত ১৫/০৭/২০২১৮ইং তারিখে অত্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোস্তফা মিয়া বালাগঞ্জ থানায় আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। তাহাতে উল্ল্যেখ করা হয় আব্দুল মতিনের অসমাজিক কার্যকলাপে বাধা প্রদান করায় তাকে মারধর করেন।