ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা! আননূর মাদরাসার পক্ষ থেকে হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু-কে মেলবন্ধন স্মারক প্রদান বালাগঞ্জে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে “নবাগত ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ’র মতবিনিময় বালাগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ‘হাতের মুঠোয় সকল সেবা’ কার্যক্রম চালু বিমানের প্যারিস-ঢাকা ফ্লাইট পুনরায় চালুর জোরালো দাবী প্রবাসীদের বালাগঞ্জে ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ হত্যা মামলার অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খলকু মিয়া আটক গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে সংবর্ধনা ও শিক্ষা সেমিনার অন্তর্বর্তীকালীন সকল সিদ্ধান্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নেওয়া উচিত- বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া

যে লেখার কোনো শিরোনাম হয় না মাহবুব শাহজালাল

  • আপডেট সময় ০৪:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

একদিন এক পোষা পাখিকে গান শেখাতে চেয়েছিলাম,
অনেক চেষ্টা করেও আমি তাকে গান শেখাতে পারিনি,
এ ছিল আমারই দুর্বলতা।
আমি কোনোকালেই গান গাইতে পারিনি।

কীসের জন্য গান গো তোমার? 
কোন পিয়াসীর সুর?
গানের কলি গাঁথছো কোথায়
কোন সে অচিনপুর?

তাই গান ছেড়ে এবার এলাম গল্পের আসরে।
অবোধ এক শিশু বায়না ধরলো
তাকে গল্প শোনাতেই হবে।
অর্ধেক গল্প বলার আগেই শিশুটি ঘুমিয়ে পড়লো।
হয়তো আমার গল্পে তার মন ভরেনি।

গল্পে আমায় দাও ভুলিয়ে
বুকের হাহাকার,
কল্পলোকের গল্প বানাও
ব্যর্থ রূপকার।

গল্পের আসর বাদ দিয়ে এবার রম্যলেখায় হাত দিলাম,
আমার মতো আনকোরা গুটিকয়েক পাঠকবন্ধু
হা হা রিয়েক্ট করে বুঝিয়ে দিল
আর যাই হোক আমার দ্বারা এসব হবে টবে না।

গেদু চাচা লিখে যায় 
লেখা নাকি রম্য,
ভাবনার লিখা যা তা 
নয় বোধগম্য। 

সব ছেড়ে এবার মন দিলাম কবিতার পাতায়,
এবার ভাবলাম অন্ততঃ পাঠক হৃদয়ে ঠাঁই পাবো
তাদের সকল ভাবনার ভুবন জুড়ে।

এক বাচিক শিল্পী বললেন,
না না, প্লিজ আমাকে পড়তে বলবেন না,
এসব লিখা পড়ে নিজের ইমেজ নষ্ট করতে পারব না।

একজন শিল্পীকে বললাম
কবিতাটা একবার পড়ে দেখবেন? প্লিজ,
উনি বললেন, ওহে লেখক, তুমি হয়ত জানো না,
একটা কবিতা পড়তে আমি হাজার টাকা নিই।

এক সিন্ধু হাহাকার নিয়ে
কবিতা ও কাব্যের গল্পটার ইতি টেনে
আনমনে এবার নিজেই শুদ্ধস্বরে উচ্চারণ করলাম,

রিক্ত হৃদের ভাবনা তোমার
সিক্ত করিবে কারে?
খ্যাতির আশা ত্যাজ্য করিয়া 
গড়ি লও আপনারে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা!

যে লেখার কোনো শিরোনাম হয় না মাহবুব শাহজালাল

আপডেট সময় ০৪:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

একদিন এক পোষা পাখিকে গান শেখাতে চেয়েছিলাম,
অনেক চেষ্টা করেও আমি তাকে গান শেখাতে পারিনি,
এ ছিল আমারই দুর্বলতা।
আমি কোনোকালেই গান গাইতে পারিনি।

কীসের জন্য গান গো তোমার? 
কোন পিয়াসীর সুর?
গানের কলি গাঁথছো কোথায়
কোন সে অচিনপুর?

তাই গান ছেড়ে এবার এলাম গল্পের আসরে।
অবোধ এক শিশু বায়না ধরলো
তাকে গল্প শোনাতেই হবে।
অর্ধেক গল্প বলার আগেই শিশুটি ঘুমিয়ে পড়লো।
হয়তো আমার গল্পে তার মন ভরেনি।

গল্পে আমায় দাও ভুলিয়ে
বুকের হাহাকার,
কল্পলোকের গল্প বানাও
ব্যর্থ রূপকার।

গল্পের আসর বাদ দিয়ে এবার রম্যলেখায় হাত দিলাম,
আমার মতো আনকোরা গুটিকয়েক পাঠকবন্ধু
হা হা রিয়েক্ট করে বুঝিয়ে দিল
আর যাই হোক আমার দ্বারা এসব হবে টবে না।

গেদু চাচা লিখে যায় 
লেখা নাকি রম্য,
ভাবনার লিখা যা তা 
নয় বোধগম্য। 

সব ছেড়ে এবার মন দিলাম কবিতার পাতায়,
এবার ভাবলাম অন্ততঃ পাঠক হৃদয়ে ঠাঁই পাবো
তাদের সকল ভাবনার ভুবন জুড়ে।

এক বাচিক শিল্পী বললেন,
না না, প্লিজ আমাকে পড়তে বলবেন না,
এসব লিখা পড়ে নিজের ইমেজ নষ্ট করতে পারব না।

একজন শিল্পীকে বললাম
কবিতাটা একবার পড়ে দেখবেন? প্লিজ,
উনি বললেন, ওহে লেখক, তুমি হয়ত জানো না,
একটা কবিতা পড়তে আমি হাজার টাকা নিই।

এক সিন্ধু হাহাকার নিয়ে
কবিতা ও কাব্যের গল্পটার ইতি টেনে
আনমনে এবার নিজেই শুদ্ধস্বরে উচ্চারণ করলাম,

রিক্ত হৃদের ভাবনা তোমার
সিক্ত করিবে কারে?
খ্যাতির আশা ত্যাজ্য করিয়া 
গড়ি লও আপনারে।