ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি” গহরপুর জামিয়ার ৬৮তম বার্ষিক মাহফিল বৃহস্পতিবার: সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হযরত শাহ জামাল (রহ.) দারুস সুন্নাহ নুরীয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার ওয়াজ ও দুয়া মাহফিল ৫ জানুয়ারি প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন বালাগঞ্জে শাহ আকিবুন নূর চৌধুরী বৃত্তি বিতরণ সম্পন্ন ফ্রান্সে প্রবাসে সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরনের পন্থা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত বালাগঞ্জে আল ইসলাহ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন স্বদেশ গমন উপলক্ষে আবু বক্করকে সংবর্ধনা প্রদান ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় ফ্রান্সে যুবদলের আনন্দ উৎসব বালাগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন : মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে ধানের শীষ

সামাজিক সুরক্ষা দেয়ার দিক দিয়ে ফ্রান্সের অবস্থান দ্বিতীয়

  • আপডেট সময় ০৯:৪২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ এপ্রিল ২০১৮
  • ৫৬৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বে কল্যানমুলক রাষ্ট্র ধারণার উদ্ভবের পর প্রায় সব দেশেই কম বেশী জনকল্যানমুলক কাজে সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। মোটা দাগে এগুলো সামাজিক সুরক্ষা হিসেবে পরিচিত। সামাজিক সুরক্ষা দেয়ার দিক দিয়ে ইউরোপের দেশসমুহে ফ্রান্সের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক এরপর রয়েছে ফ্রান্স এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পেন।

নাগরিকদের সবচেয়ে বেশী সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে থাকে ইউরোপীয় দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে ইউরোপ মহাদেশের অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে।

সামাজিক সুরক্ষা কম বেশ সব দেশ প্রদান করে। সামাজিক সুরক্ষার অংশ হিসেবে একজন চাকুরীজীবি কোন কারনে জাকরী ছেড়ে দিলে তিনি বেকার ভাতা পেয়ে থাকেন। ডেনমার্কে বেকারদের জন্য সবচেয়ে বেশী ভাতা দেয়া হয়।

ডেনমার্কে বেকারদের জন্য সর্বোচ্চ ১০২ সপ্তাহ বা দুই বছর পর্যন্ত বেকার সহায়তা ভাতা দেয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ মুল বেতনের ৯০ শতাংশ বলে জানা যায়।

এপরই রয়েছে বেলজিয়াম ও হল্যান্ডের নাম। এ দুটো দেশ ও যথেষ্ট পরিমাণ বেকার ভাতা দিয়ে থাকে।

ফ্রান্সের বেকার ভাতার পরিমান মুল বেতনের ৬০-৭৫ শতাংশ পর্যন্ত। ফ্রান্সে সর্বোচ্চ ১৬ থেকে ৫২ সপ্তাহ বা একবছর অবধি বেতার ভাতা দেয়া হয়ে থাকে।

অপরদিকে ইংলন্ডে প্রতি সপ্তাহে ৬৬ থেকে ৮৪ ইউরো পর্যন্ত বেকার ভাতা দেয়া হয়। সেটা মাসে ৩০০ থেকে ৩৮০ ইউরার সমান। এ ভাতা দেয়া হয় সর্বোচ্চ ২৬ সপ্তাহ বা ছয় মাস পর্যন্ত।

চিকিৎসা ছুটি :

ফ্রান্সে কোন চাকরীজীবি শারিরীক অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা ছুটি নিতে পারেন সর্বোচ্চ ২৬ সপ্তাহ।এ সময় তিনি মুল বেতনের ৫০ শতাংশ সহায়তা ভাতা পেয়ে থাকেন।চিকিৎসা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী সুবিধা পেয়ে থাকে হল্যান্ডের চাকরীজীবিরা। তারা সর্বোচ্চ ১০৪ সপ্তাহ স্ববেতনে ছুটি পেযে থাকেন। তাদের এ সময়ে মুলবেতনের ৭০ শতাংশ ভাতা দেয়া হয়ে থাকে।

জার্মানী ৭৮ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা ছুটি প্রদান করে থাকে। এ সময় মুল বেতনের পুরোটাই দেয়া হয় অর্থাৎ শতভাগ বেতন পেয়ে থাকেন একজন কর্মজীবি। আবার সুইজারল্যান্ডে সব চেয়ে কম মাত্র তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভাতা দেয়া হয়ে থাকে।

পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব কালীন ছুটির ক্ষেত্রে :

ইউরোপের ১৫ টি দেশের মধ্যে মাতৃত্ব বা পিতৃত্ব ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। এ দেশে সবচেয়ে বেশী ছুটি দেয়া হয়ে থাকে। ফ্রান্সে ও জার্মানীতে পিতৃত্ব অথবা মাতৃত্বকালীন ছুটির পরিমান সর্বোচ্চ তিনবছর। এ দেশ দুটিতে ১৫৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ছুটি দেয়া হয়ে থাকে। এক সন্তানের ক্ষেত্রে ফ্রান্সে ভর্তুকি দেয়া হয় প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো করে। এটা সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত দেয়া হয়। অপরদিকে ইংলন্ড ও আয়ারল্যান্ডে এ ছুটি সর্বোচ্চ ১৮ সপ্তাহ পর্যন্ত দেয়া হয়। তবে এ দেশদুটিতে পিতৃত্ব বা মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় কোন ভাতা দেয়া হয় না। আবার সুইজারল্যান্ডে পিতৃত্বকালীন ছুটির কোন অবকাশ নেই।

কমপক্ষে ১৪ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি :

ইউরোপীয় দেশগুলোতে মুতৃত্বকালীন ছুটি ১৪ সপ্তাহ হলেও ফ্রান্স এখানে ব্যতিক্রম। ফ্রান্সে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া হয় ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে বিনা ভাতায় মাতৃত্বকালীন ছুটি সবচেয়ে বেশী দেয়া হয় ইংলন্ডে ৫২ সপ্তাহ বা একবছর। এরপর  রয়েছে আয়ারল্যান্ড। এ দেশে মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় ৪২ সপ্তাহ।

মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বেতন ভাতার দিক দিয়ে অষ্ট্রিয়া, জার্মানী, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, স্পেন ও হল্যান্ড এগিয়ে রয়েছে। সে সময়ে এ দেশগুলোতে একজন কর্মজীবি মা মুল বেতনের পুরোটাই পেয়ে থাকেন মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়ে।

আয়ারল্যান্ডে ২৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সাপ্তহিক ২৩০ ডলার বা ১০৩৫ ইউরোপ প্রতি মাসে পেয়ে থাকেন।

বাৎসরিক ছুটি ভাতা :

সুইডেন, ফ্রান্স এবং ডেনমার্কে বাৎসরিক ২৫ দিন পর্যন্ত স্ব-বেতনে ছুটি দিয়ে থাকে। জার্মানী ও গ্রীস বাৎসরিক ২০ দিন স্ববেতনে ছুটি প্রদান করে থাকে।

ফ্রান্সে বার্ষিক সরকারী ছুটির সংখ্যা ১০ দিন। এ সময়ে প্রতিটি কর্মজীবি বেতন পেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে যোগ হয় বার্ষিক ২৫ দিন স্ববেতনে ছুটি। এ সংখ্যার দিক দিয়ে প্রথমে রয়েছে স্পেন। এ দেশে বার্ষিক সরকারী ছুটির সংখ্যা ১৪ দিন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি”

সামাজিক সুরক্ষা দেয়ার দিক দিয়ে ফ্রান্সের অবস্থান দ্বিতীয়

আপডেট সময় ০৯:৪২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ এপ্রিল ২০১৮

বিশ্বে কল্যানমুলক রাষ্ট্র ধারণার উদ্ভবের পর প্রায় সব দেশেই কম বেশী জনকল্যানমুলক কাজে সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। মোটা দাগে এগুলো সামাজিক সুরক্ষা হিসেবে পরিচিত। সামাজিক সুরক্ষা দেয়ার দিক দিয়ে ইউরোপের দেশসমুহে ফ্রান্সের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক এরপর রয়েছে ফ্রান্স এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পেন।

নাগরিকদের সবচেয়ে বেশী সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে থাকে ইউরোপীয় দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে ইউরোপ মহাদেশের অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে।

সামাজিক সুরক্ষা কম বেশ সব দেশ প্রদান করে। সামাজিক সুরক্ষার অংশ হিসেবে একজন চাকুরীজীবি কোন কারনে জাকরী ছেড়ে দিলে তিনি বেকার ভাতা পেয়ে থাকেন। ডেনমার্কে বেকারদের জন্য সবচেয়ে বেশী ভাতা দেয়া হয়।

ডেনমার্কে বেকারদের জন্য সর্বোচ্চ ১০২ সপ্তাহ বা দুই বছর পর্যন্ত বেকার সহায়তা ভাতা দেয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ মুল বেতনের ৯০ শতাংশ বলে জানা যায়।

এপরই রয়েছে বেলজিয়াম ও হল্যান্ডের নাম। এ দুটো দেশ ও যথেষ্ট পরিমাণ বেকার ভাতা দিয়ে থাকে।

ফ্রান্সের বেকার ভাতার পরিমান মুল বেতনের ৬০-৭৫ শতাংশ পর্যন্ত। ফ্রান্সে সর্বোচ্চ ১৬ থেকে ৫২ সপ্তাহ বা একবছর অবধি বেতার ভাতা দেয়া হয়ে থাকে।

অপরদিকে ইংলন্ডে প্রতি সপ্তাহে ৬৬ থেকে ৮৪ ইউরো পর্যন্ত বেকার ভাতা দেয়া হয়। সেটা মাসে ৩০০ থেকে ৩৮০ ইউরার সমান। এ ভাতা দেয়া হয় সর্বোচ্চ ২৬ সপ্তাহ বা ছয় মাস পর্যন্ত।

চিকিৎসা ছুটি :

ফ্রান্সে কোন চাকরীজীবি শারিরীক অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা ছুটি নিতে পারেন সর্বোচ্চ ২৬ সপ্তাহ।এ সময় তিনি মুল বেতনের ৫০ শতাংশ সহায়তা ভাতা পেয়ে থাকেন।চিকিৎসা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী সুবিধা পেয়ে থাকে হল্যান্ডের চাকরীজীবিরা। তারা সর্বোচ্চ ১০৪ সপ্তাহ স্ববেতনে ছুটি পেযে থাকেন। তাদের এ সময়ে মুলবেতনের ৭০ শতাংশ ভাতা দেয়া হয়ে থাকে।

জার্মানী ৭৮ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা ছুটি প্রদান করে থাকে। এ সময় মুল বেতনের পুরোটাই দেয়া হয় অর্থাৎ শতভাগ বেতন পেয়ে থাকেন একজন কর্মজীবি। আবার সুইজারল্যান্ডে সব চেয়ে কম মাত্র তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভাতা দেয়া হয়ে থাকে।

পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব কালীন ছুটির ক্ষেত্রে :

ইউরোপের ১৫ টি দেশের মধ্যে মাতৃত্ব বা পিতৃত্ব ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। এ দেশে সবচেয়ে বেশী ছুটি দেয়া হয়ে থাকে। ফ্রান্সে ও জার্মানীতে পিতৃত্ব অথবা মাতৃত্বকালীন ছুটির পরিমান সর্বোচ্চ তিনবছর। এ দেশ দুটিতে ১৫৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ছুটি দেয়া হয়ে থাকে। এক সন্তানের ক্ষেত্রে ফ্রান্সে ভর্তুকি দেয়া হয় প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো করে। এটা সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত দেয়া হয়। অপরদিকে ইংলন্ড ও আয়ারল্যান্ডে এ ছুটি সর্বোচ্চ ১৮ সপ্তাহ পর্যন্ত দেয়া হয়। তবে এ দেশদুটিতে পিতৃত্ব বা মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় কোন ভাতা দেয়া হয় না। আবার সুইজারল্যান্ডে পিতৃত্বকালীন ছুটির কোন অবকাশ নেই।

কমপক্ষে ১৪ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি :

ইউরোপীয় দেশগুলোতে মুতৃত্বকালীন ছুটি ১৪ সপ্তাহ হলেও ফ্রান্স এখানে ব্যতিক্রম। ফ্রান্সে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া হয় ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে বিনা ভাতায় মাতৃত্বকালীন ছুটি সবচেয়ে বেশী দেয়া হয় ইংলন্ডে ৫২ সপ্তাহ বা একবছর। এরপর  রয়েছে আয়ারল্যান্ড। এ দেশে মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় ৪২ সপ্তাহ।

মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বেতন ভাতার দিক দিয়ে অষ্ট্রিয়া, জার্মানী, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, স্পেন ও হল্যান্ড এগিয়ে রয়েছে। সে সময়ে এ দেশগুলোতে একজন কর্মজীবি মা মুল বেতনের পুরোটাই পেয়ে থাকেন মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়ে।

আয়ারল্যান্ডে ২৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সাপ্তহিক ২৩০ ডলার বা ১০৩৫ ইউরোপ প্রতি মাসে পেয়ে থাকেন।

বাৎসরিক ছুটি ভাতা :

সুইডেন, ফ্রান্স এবং ডেনমার্কে বাৎসরিক ২৫ দিন পর্যন্ত স্ব-বেতনে ছুটি দিয়ে থাকে। জার্মানী ও গ্রীস বাৎসরিক ২০ দিন স্ববেতনে ছুটি প্রদান করে থাকে।

ফ্রান্সে বার্ষিক সরকারী ছুটির সংখ্যা ১০ দিন। এ সময়ে প্রতিটি কর্মজীবি বেতন পেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে যোগ হয় বার্ষিক ২৫ দিন স্ববেতনে ছুটি। এ সংখ্যার দিক দিয়ে প্রথমে রয়েছে স্পেন। এ দেশে বার্ষিক সরকারী ছুটির সংখ্যা ১৪ দিন।