ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ল্যুভর জাদুঘরে চুরি ফ্রান্সে “আশা এবং আমার সংগ্রাম” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা দেড় হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১২তম মুসলিম চ্যারিটি রান বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করণীয় তরুণদের বিদেশমুখিতা: সুযোগ না সংকট? ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এক সতর্কবার্তা”

ফ্রান্সের তুলুজে বৈশাখী উৎসব

  • আপডেট সময় ১০:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মে ২০১৮
  • ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
দেলওয়ার হোসেন সেলিম (প্যারিস, ফ্রান্স ) থেকেঃ ফ্রান্সের পিন্ক সিটি খ্যাত তুলুজ শহরে সাড়ম্ববে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ। বাংলাদেশী প্রবাসী খ্রিস্টান এসোসিয়েশন তুলুজ, ফ্রান্স – এর উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও উদযাপিত হলো ” বৈশাখী উৎসব – ১৪২৫ “।  রবিবার (৬ মে, ২০১৮) তুলুজের রাজস্হান ভিলায় বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়।
আনন্দঘন ও প্রাণবন্ত পরিবেশে উক্ত অনুষ্ঠানমালায় উচ্ছল মহিলারা স্বেচ্ছায় তৈরী করেন বাংলাদেশী আইটেমের খাবার সামগ্রী। এরমধ্যে ছিলো বাংগালীদের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য পান্তা ভাত, ইলিশ ভাজা, সাত পদের ভর্তা, নিমকি, মুরলি, মোয়া, গজা ইত্যাদি। উৎসবে অংশ গ্রহণকারীগন ও আমন্ত্রিত অতিথিরা এসব খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন।
সমবেত কন্ঠে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বাক্য “শুভ নববর্ষ ” উচ্চারণ করার পরপরই উৎসবের বিভিন্ন কার্যক্রম আরো উপভোগ্য হয়ে ওঠে। মহিলাদের হরেক রংয়ের শাড়ী এবং পুরুষদের বাঙ্গালী পোশাক লুন্গি পরা, মংগল শোভাযাত্রা, নাচ, গান, বাচ্চাদের খেলাধুলা , বাংলা ভাষার কোলাহল সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড বহু ফরাসি ও ভীন দেশী মানুষের নজর কাড়ে।
অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশী প্রবাসী খ্রিস্টান এসোসিয়েশন তুলুজ, ফ্রান্স – এর সভাপতি ডমিনিক যোষেফ কস্তা, সাধারন সম্পাদক মার্ক রায় , উপদেষ্টা জেরম্ বুলবুল গমেজ, কেশিয়ার শিতল ক্রূশ, ক্যান্টন কস্তা, পংকজ গমেজ, প্রনতি ক্রূশ ​​প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখ সকল বাংগালীর প্রাণের উৎসব। এই উৎসব বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সাংস্কৃতিক মেলবন্দন তৈরী করে। প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাঙ্গালীকে নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তোলে ধরতে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে এ ধরনের অনুষ্ঠান আরো বেশী করা উচিত।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ফ্রান্সের তুলুজে বৈশাখী উৎসব

আপডেট সময় ১০:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মে ২০১৮
দেলওয়ার হোসেন সেলিম (প্যারিস, ফ্রান্স ) থেকেঃ ফ্রান্সের পিন্ক সিটি খ্যাত তুলুজ শহরে সাড়ম্ববে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ। বাংলাদেশী প্রবাসী খ্রিস্টান এসোসিয়েশন তুলুজ, ফ্রান্স – এর উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও উদযাপিত হলো ” বৈশাখী উৎসব – ১৪২৫ “।  রবিবার (৬ মে, ২০১৮) তুলুজের রাজস্হান ভিলায় বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়।
আনন্দঘন ও প্রাণবন্ত পরিবেশে উক্ত অনুষ্ঠানমালায় উচ্ছল মহিলারা স্বেচ্ছায় তৈরী করেন বাংলাদেশী আইটেমের খাবার সামগ্রী। এরমধ্যে ছিলো বাংগালীদের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য পান্তা ভাত, ইলিশ ভাজা, সাত পদের ভর্তা, নিমকি, মুরলি, মোয়া, গজা ইত্যাদি। উৎসবে অংশ গ্রহণকারীগন ও আমন্ত্রিত অতিথিরা এসব খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন।
সমবেত কন্ঠে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বাক্য “শুভ নববর্ষ ” উচ্চারণ করার পরপরই উৎসবের বিভিন্ন কার্যক্রম আরো উপভোগ্য হয়ে ওঠে। মহিলাদের হরেক রংয়ের শাড়ী এবং পুরুষদের বাঙ্গালী পোশাক লুন্গি পরা, মংগল শোভাযাত্রা, নাচ, গান, বাচ্চাদের খেলাধুলা , বাংলা ভাষার কোলাহল সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড বহু ফরাসি ও ভীন দেশী মানুষের নজর কাড়ে।
অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশী প্রবাসী খ্রিস্টান এসোসিয়েশন তুলুজ, ফ্রান্স – এর সভাপতি ডমিনিক যোষেফ কস্তা, সাধারন সম্পাদক মার্ক রায় , উপদেষ্টা জেরম্ বুলবুল গমেজ, কেশিয়ার শিতল ক্রূশ, ক্যান্টন কস্তা, পংকজ গমেজ, প্রনতি ক্রূশ ​​প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখ সকল বাংগালীর প্রাণের উৎসব। এই উৎসব বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সাংস্কৃতিক মেলবন্দন তৈরী করে। প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাঙ্গালীকে নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তোলে ধরতে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে এ ধরনের অনুষ্ঠান আরো বেশী করা উচিত।