এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা হামলা চালিয়ে পাঁচ তুর্কি সেনাকে হত্যা করেছে বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সোমবার ওই হামলা চালানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার তুরস্কের ৮ সেনা সদস্যকে হত্যা করে সিরিয়ার বিমান বাহিনী। এ বছরের প্রথম থেকেই তুর্কি সেনাদের টার্গেট করে হামলা চালিয়ে আসছে সিরিয়া। এ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। পাশাপাশি সিরিয়ার মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে তুরস্কের।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবের তুর্কি ঘাটি তাফতানাজে সোমবার ওই হামলা চালানো হয়। তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী ও জঙ্গি সংগঠনগুলো নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার সর্বশেষ অঞ্চল ইদলিব।
এটি পুনরায় দখলে উঠে পরে লেগেছে সিরিয়া সরকার। এ জন্য রাশিয়া ও সিরিয়ার যৌথ বাহিনী সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করছে ইদলিবে। ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছে গুরুতপূর্ন বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম। তবে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান। তিনি বিদ্রোহীদের পক্ষে পাল্টা অভিযান চালাতে সিরিয়ার অভ্যন্তরে সেনা অভিযান পরিচালনা করেন। এবার সেই সেনারাই অনবরত সিরিয়ার হামলার টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। এ নিয়ে রাশিয়ার কাছে বেশ কয়েকবার বিচার দিয়েছে তুরস্ক। রাশিয়া ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামছে না।
সোমবারের হামলার পর তুরস্কও পাল্টা হামলা চালায়। দেশটির প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ওই হামলায় তারা সিরিয়ার অন্তত ১০০টি স্থাপনায় আঘাত করেছে। তবে এতে সিরিয়ার সেনাদের হতাহত হওয়ার কোনো দাবি তারা করেনি। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভ¬ুত চাভুসগলু ঘটনার পর বলেন, আমাদের বীর সেনারা জবাব দেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করে যাবে।