ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জার্মান সামরিক বাহিনীতে ইমাম নিয়োগের আহ্বান

  • আপডেট সময় ১১:২২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

জার্মান সামরিক বাহিনীতে প্রায় দেড় হাজার মুসলমান কাজ করছেন৷ ধর্মীয় পরামর্শ পেতে তারা কয়েক বছর ধরে ইমাম নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন৷ তবে এখনো দাবি পূরণ হয়নি৷ খবর ডয়চে ভেলে।
মরোক্কান মা-বাবার ঘরে জন্ম নেয়া নারিমান রাইনকে ২০০৫ সাল থেকে জার্মান নৌবাহিনীতে কাজ করছেন৷ ইতোমধ্যে তিনি দুইবার আফগানিস্তানে মোতায়েন ছিলেন৷ তিনি বলেন, খ্রিস্টান সৈন্যদের পরামর্শ দেয়ার জন্য সামরিক বাহিনীতে যাজকরা আছেন, কিন্তু মুসলিমদের জন্য কোনো ইমাম নেই৷ সামরিক বাহিনীতে এই ধর্মীয় বৈষম্য দূর করতে তিনি কয়েক বছর ধরে ইমাম নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন, কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন৷
রাইনকে বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় তিনি সবসময় একটি বিষয় মাথায় রাখেন যে, যে-কোনো সময় তাঁর মৃত্যু হতে পারে৷ তিনি চান, মৃত্যুর পর ইসলামি রীতি অনুযায়ী তার শরীর ধোয়া হোক এবং কাফনের কাপড়ে মোড়ানো হোক৷ এজন্য আফগানিস্তানে থাকার সময় তিনি সবসময় তাঁর কাছে কাফনের কাপড় রাখতেন বলে জানিয়েছেন৷
এদিকে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইমাম নিয়োগ নিয়ে ‘জার্মান ইসলাম কনফারেন্স’-এর (ডিআইকে) সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ তবে ডিআইকের প্রতিনিধিদের অভিযোগ, সরকার অনীহার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে৷
জার্মানির বিভিন্ন মুসলিম সংস্থা নিয়ে গঠিত জাতীয় ইসলাম পরিষদের প্রধান বুরহান কেসিচি জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একবার ডিআইকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ তারা ইমাম বিষয়ে উপদেষ্টামন্ডলিতে কারা থাকতে পারেন তাদের নাম চেয়েছিল৷ তবে পরে আর যোগাযোগ করেনি৷ ‘মনে হচ্ছে তারা এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি চান না,’ অভিযোগ তার৷
জার্মানির শাসক জোটের অংশীদার এসপিডি দলের প্রতিরক্ষা বিষয়ক মুখপাত্র ফ্রিৎস ফেলগেনট্রয় ইমাম নিয়োগের বিষয়টি সমর্থন করেন৷ তবে কিছু বিষয়ে সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি৷ যেমন, তিনি বলছেন, মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করার একটি সূত্র নেই, কারণ, জার্মানিতে ইসলামী সংগঠনের সংখ্যা অনেক৷
বছর কয়েক আগেও জার্মান সরকার মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ‘টার্কিশ-ইসলামিক ইউনিয়ন ফর রেলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স’ বা ডিটিব-এর সঙ্গে কথা বলতো৷ কিন্তু তুরস্কের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর সেটি আর হচ্ছে না৷ জার্মানির অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান বিদেশে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে ডিটিবকে ব্যবহার করছেন৷
তবে নৌ কর্মকর্তা রাইনকে বলছেন, দুই দেশের সম্পর্কের কারণে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ধর্মীয় পরামর্শ পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকতে পারেন না৷ তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকে ইসলাম নিয়ে লেখাপড়া করেছেন৷ তাছাড়া সম্প্রতি অসনাব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ইমামরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে বিদেশি কোনো সরকারের সম্পর্ক নেই৷ এই ইমামদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন রাইনকে৷

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

জার্মান সামরিক বাহিনীতে ইমাম নিয়োগের আহ্বান

আপডেট সময় ১১:২২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

জার্মান সামরিক বাহিনীতে প্রায় দেড় হাজার মুসলমান কাজ করছেন৷ ধর্মীয় পরামর্শ পেতে তারা কয়েক বছর ধরে ইমাম নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন৷ তবে এখনো দাবি পূরণ হয়নি৷ খবর ডয়চে ভেলে।
মরোক্কান মা-বাবার ঘরে জন্ম নেয়া নারিমান রাইনকে ২০০৫ সাল থেকে জার্মান নৌবাহিনীতে কাজ করছেন৷ ইতোমধ্যে তিনি দুইবার আফগানিস্তানে মোতায়েন ছিলেন৷ তিনি বলেন, খ্রিস্টান সৈন্যদের পরামর্শ দেয়ার জন্য সামরিক বাহিনীতে যাজকরা আছেন, কিন্তু মুসলিমদের জন্য কোনো ইমাম নেই৷ সামরিক বাহিনীতে এই ধর্মীয় বৈষম্য দূর করতে তিনি কয়েক বছর ধরে ইমাম নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন, কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন৷
রাইনকে বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় তিনি সবসময় একটি বিষয় মাথায় রাখেন যে, যে-কোনো সময় তাঁর মৃত্যু হতে পারে৷ তিনি চান, মৃত্যুর পর ইসলামি রীতি অনুযায়ী তার শরীর ধোয়া হোক এবং কাফনের কাপড়ে মোড়ানো হোক৷ এজন্য আফগানিস্তানে থাকার সময় তিনি সবসময় তাঁর কাছে কাফনের কাপড় রাখতেন বলে জানিয়েছেন৷
এদিকে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইমাম নিয়োগ নিয়ে ‘জার্মান ইসলাম কনফারেন্স’-এর (ডিআইকে) সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ তবে ডিআইকের প্রতিনিধিদের অভিযোগ, সরকার অনীহার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে৷
জার্মানির বিভিন্ন মুসলিম সংস্থা নিয়ে গঠিত জাতীয় ইসলাম পরিষদের প্রধান বুরহান কেসিচি জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একবার ডিআইকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ তারা ইমাম বিষয়ে উপদেষ্টামন্ডলিতে কারা থাকতে পারেন তাদের নাম চেয়েছিল৷ তবে পরে আর যোগাযোগ করেনি৷ ‘মনে হচ্ছে তারা এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি চান না,’ অভিযোগ তার৷
জার্মানির শাসক জোটের অংশীদার এসপিডি দলের প্রতিরক্ষা বিষয়ক মুখপাত্র ফ্রিৎস ফেলগেনট্রয় ইমাম নিয়োগের বিষয়টি সমর্থন করেন৷ তবে কিছু বিষয়ে সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি৷ যেমন, তিনি বলছেন, মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করার একটি সূত্র নেই, কারণ, জার্মানিতে ইসলামী সংগঠনের সংখ্যা অনেক৷
বছর কয়েক আগেও জার্মান সরকার মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ‘টার্কিশ-ইসলামিক ইউনিয়ন ফর রেলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স’ বা ডিটিব-এর সঙ্গে কথা বলতো৷ কিন্তু তুরস্কের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর সেটি আর হচ্ছে না৷ জার্মানির অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান বিদেশে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে ডিটিবকে ব্যবহার করছেন৷
তবে নৌ কর্মকর্তা রাইনকে বলছেন, দুই দেশের সম্পর্কের কারণে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ধর্মীয় পরামর্শ পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকতে পারেন না৷ তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকে ইসলাম নিয়ে লেখাপড়া করেছেন৷ তাছাড়া সম্প্রতি অসনাব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ইমামরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে বিদেশি কোনো সরকারের সম্পর্ক নেই৷ এই ইমামদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন রাইনকে৷