ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বালাগঞ্জে আল ইসলাহ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন স্বদেশ গমন উপলক্ষে আবু বক্করকে সংবর্ধনা প্রদান ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় ফ্রান্সে যুবদলের আনন্দ উৎসব বালাগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন : মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে ধানের শীষ “Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা! আননূর মাদরাসার পক্ষ থেকে হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু-কে মেলবন্ধন স্মারক প্রদান বালাগঞ্জে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে “নবাগত ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ’র মতবিনিময় বালাগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ‘হাতের মুঠোয় সকল সেবা’ কার্যক্রম চালু বিমানের প্যারিস-ঢাকা ফ্লাইট পুনরায় চালুর জোরালো দাবী প্রবাসীদের

তিউনিশিয়া উপকূলে ৬৪ বাংলাদেশী অভিবাসী আটকা পড়ে আছেন

  • আপডেট সময় ০২:১২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

তিউনিশিয়া উপকূলে অভিবাসী বোঝাই বোটডুবিতে ভয়াবহ প্রাণহানীর মাত্র কয়েক দিন পাড় হয়েছে। এরই মধ্যে আবারও ওই এলাকায় ৬৪ বাংলাদেশী সহ ৭৫ অভিবাসী আটকা পড়েছেন। একটি উদ্ধারকারী বোট তাদেরকে উদ্ধার করেছে। কিন্তু তাদেরকে কেউ গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছে না। ফলে ১২ দিন ধরে তারা ওই উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে আটকা পড়ে আছেন। তাদের অবস্থা শোচনীয়। তাদেরকে খাদ্য ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব সুবিধা গ্রহণ করতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদের একটিই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে।
রেডক্রসকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রেডক্রস বলছে, লিবিয়া থেকে একটি গ্রুপে এসব মানুষ ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন সমুদ্রপথে। এর মধ্যে ৬৪ জন বাংলাদেশী। বাকিরা মরক্কো, সুদান ও মিশরের নাগরিক। তাদেরকে বহনকারী বোট ডুবে গিয়েছিল কিনা, এসব বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কারভাবে জানা যায় নি। তবে এটুকু জানা গেছে যে, তিউনিশিয়ার জলসীমায় এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে মিশরের একটি বোট। কিন্তু স্থানীয় মেডিনিন কর্তৃপক্ষ এসব অভিবাসীকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ, শরণার্থী রাখার জন্য তাদের যেসব সেন্টার রয়েছে তাতে অত্যধিক মানুষে ঠাসা। স্থান সংকুলান হবে না সেখানে। ফলে তারা ওইসব অভিবাসীকে তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না। এ জন্য জারজিস উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে আটকা পড়ে আছেন ওই অভিবাসীরা।

সরকারি একটি সূত্র বলেছে, অভিবাসীদেরকে খাবার ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা এর কোনোটিই নিতে রাজি নয়। তাদের একটাই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে। এটাই তাদের টার্গেট। উন্নত জীবনের আশা নিয়ে তারা সমুদ্রপথে তাই যাত্রা শুরু করেছে।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বলেছেন, উদ্ধারকারী বোটে আটকে পড়া অভিবাসীদের চিকিৎসা দিতে কিছু ডাক্তার পৌঁছেছেন সেখানে। অল্প কিছু অভিবাসী চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা যেকোনো রকম সহায়তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ১২ দিন সমুদ্রে আটকা থাকার পর এসব অভিবাসীর অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল ইউরোপের উদ্দেশে আফ্রিকান অভিবাসীদের পাচারের প্রধান ট্রানজিট হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে ইতালির নেতৃত্বে পাচার বিরোধী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এতে সহায়তা করছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। তা সত্ত্বেও থামানো যাচ্ছে না। এই তো গত মাসে কমপক্ষে ৬৫ জন অভিবাসী নিয়ে তিউনিশিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে একটি বোট ডুবে যায়। তাতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন অভিবাসী ডুবে মারা গেছেন। এ বছরের প্রথম চার মাসে এই রুটে কমপক্ষে ১৬৪ জন মানুষ ডুবে মারা গেছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

বালাগঞ্জে আল ইসলাহ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন

তিউনিশিয়া উপকূলে ৬৪ বাংলাদেশী অভিবাসী আটকা পড়ে আছেন

আপডেট সময় ০২:১২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯

তিউনিশিয়া উপকূলে অভিবাসী বোঝাই বোটডুবিতে ভয়াবহ প্রাণহানীর মাত্র কয়েক দিন পাড় হয়েছে। এরই মধ্যে আবারও ওই এলাকায় ৬৪ বাংলাদেশী সহ ৭৫ অভিবাসী আটকা পড়েছেন। একটি উদ্ধারকারী বোট তাদেরকে উদ্ধার করেছে। কিন্তু তাদেরকে কেউ গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছে না। ফলে ১২ দিন ধরে তারা ওই উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে আটকা পড়ে আছেন। তাদের অবস্থা শোচনীয়। তাদেরকে খাদ্য ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব সুবিধা গ্রহণ করতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদের একটিই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে।
রেডক্রসকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রেডক্রস বলছে, লিবিয়া থেকে একটি গ্রুপে এসব মানুষ ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন সমুদ্রপথে। এর মধ্যে ৬৪ জন বাংলাদেশী। বাকিরা মরক্কো, সুদান ও মিশরের নাগরিক। তাদেরকে বহনকারী বোট ডুবে গিয়েছিল কিনা, এসব বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কারভাবে জানা যায় নি। তবে এটুকু জানা গেছে যে, তিউনিশিয়ার জলসীমায় এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে মিশরের একটি বোট। কিন্তু স্থানীয় মেডিনিন কর্তৃপক্ষ এসব অভিবাসীকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ, শরণার্থী রাখার জন্য তাদের যেসব সেন্টার রয়েছে তাতে অত্যধিক মানুষে ঠাসা। স্থান সংকুলান হবে না সেখানে। ফলে তারা ওইসব অভিবাসীকে তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না। এ জন্য জারজিস উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে আটকা পড়ে আছেন ওই অভিবাসীরা।

সরকারি একটি সূত্র বলেছে, অভিবাসীদেরকে খাবার ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা এর কোনোটিই নিতে রাজি নয়। তাদের একটাই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে। এটাই তাদের টার্গেট। উন্নত জীবনের আশা নিয়ে তারা সমুদ্রপথে তাই যাত্রা শুরু করেছে।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বলেছেন, উদ্ধারকারী বোটে আটকে পড়া অভিবাসীদের চিকিৎসা দিতে কিছু ডাক্তার পৌঁছেছেন সেখানে। অল্প কিছু অভিবাসী চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা যেকোনো রকম সহায়তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ১২ দিন সমুদ্রে আটকা থাকার পর এসব অভিবাসীর অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল ইউরোপের উদ্দেশে আফ্রিকান অভিবাসীদের পাচারের প্রধান ট্রানজিট হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে ইতালির নেতৃত্বে পাচার বিরোধী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এতে সহায়তা করছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। তা সত্ত্বেও থামানো যাচ্ছে না। এই তো গত মাসে কমপক্ষে ৬৫ জন অভিবাসী নিয়ে তিউনিশিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে একটি বোট ডুবে যায়। তাতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন অভিবাসী ডুবে মারা গেছেন। এ বছরের প্রথম চার মাসে এই রুটে কমপক্ষে ১৬৪ জন মানুষ ডুবে মারা গেছেন।